Archive - 2012 - ব্লগ

January 7th

মরুযাত্রা ৮ম পর্ব : পিরামিড ছাড়িয়ে দেবতার খোঁজে

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৬/০১/২০১২ - ৭:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকেরই ধারনা পিরামিড মানেই ইজিপ্ট, ইজিপ্ট মানেই পিরামিড। ...এ দুইয়ের কোনটাই যে আসলে সত্য নয়, তা আপার ইজিপ্টে না গেলে পুরোপুরি বুঝা যায় না। মিশরের মত না হলেও পিরামিড আরো অনেক দেশেই আছে, আর মিশরেও পিরামিডের বাইরে অনেক কিছুই রয়েছে যা পিরামিডের চেয়ে খুব কম কিছু না...


January 6th

পাগমার্ক

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ০৬/০১/২০১২ - ৫:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নজমুল আলবাব শুকনো মুখে বেরিয়ে আসে জঙ্গল ছেড়ে। তারপর হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে এসে নৌকায় ওঠে হাঁচড়ে পাঁচড়ে।

বলি, "ছবি তুলতে পাল্লেন কিছু?"

নজমুল আলবাব বিড়বিড় করে কী যেন বলে। সম্ভবত গালি দেয় আমাকে।

বনরক্ষী ফজলু শেখ চুপচাপ বসে ছিলো নৌকার পাটাতনে, আলবাব তাকে বলে, "ভাই পা ধুইতে হবে।"

ফজলু শেখ সংক্ষেপে বলে, "ধুয়ে ফেলেন।"


বোধহীন কুয়া অথবা বায়ুশূন্য কাচের ঘর

ধুসর জলছবি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর জলছবি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৬/০১/২০১২ - ৪:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকের দিনটা অনেক বড়, শেষ হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর কোথাও দাওয়াত থাকলে ওর দিনটাকে আরও বড় মনে হয়। আজ ওর সবচেয়ে প্রিয় কলিগ লোরা আপুর মেয়ের জন্মদিন। না এসেও উপায় ছিল না। ঘরভর্তি মানুষ, সবাই কথা বলছে কেউ কারোটা শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। ভিড়, হইচই ওর কোনকালেই পছন্দ না, ইদানীং তো একেবারেই সহ্য করতে পারে না। কথা যা বলে মনে মনে, নিজের সাথে।


কৈঞ্ছেন্দেহি - ২

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি
লিখেছেন অকুতোভয় বিপ্লবী (তারিখ: শুক্র, ০৬/০১/২০১২ - ২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছড়া কাটাকাটি না করে দিয়েই দিলাম একেবারে।

কৈঞ্ছেন্দেহি এইডা কে? চোখ টিপি


প্রতিবাদ হবে রক্তপলাশে রক্ত জবায়

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ১০:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি উনাকে বলছি যিনি বদলে যাওয়ার কথা বলছেন। আমি উনাদের বলছি যারা রাজদণ্ড হাতে নিয়ে বসে আছেন। আমি উনাকে বলছি যিনি শুধুমাত্র বুদ্ধি দিয়ে কথা বলেন। আমি উনাদের বলছি যারা ভাষাকে কন্ঠরুধ করেন। বলছি নিজের ভেতর পরিবর্তন না করে কি করে বদলে দেওয়ার কথা বলছেন? নিজের ঘরের মধ্যে দুর্বৃত্তদের আশ্রয় দিয়ে কি করে বদলে দেওয়া সম্ভব?


ফেরা - ০৭

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ১০:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১১
আগুন

মাথার ভেতরে এক অদ্ভুত শূন্যতা অনুভব করে। চট করে কিছু মনে পড়ে না। কোথায় আছে কেন আছে বুঝে উঠতে বেশ সময় লাগে। চোখের পাতা খুলতেও কষ্ট হচ্ছে ওর। নিজের শরীরের ওজনও যেন অনুভব করতে পারছে। ধীরে ধীরে সব মনে পড়ে আবার। চোখ খোলে। কিন্তু কিচ্ছু দেখতে পায় না। শুধু নিকষ কাল, একেবারে অন্ধকার, আলোর ছিটেফোটাও নেই কোথাও। প্রচণ্ড ভয়ে আত্না শুকিয়ে আসে। ওরা কি ওকে অন্ধ করে দিয়েছে তাহলে?


নববর্ষের ত্যানা

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ১০:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- আমাকে কি আপনার বেহায়া মনে হয়?
কাতর স্বরে মতিন বদরুল ভাইকে প্রশ্ন করে।
- ইট ডিপেন্ডস। ফার্স্ট আমাদের জানতে হবে হায়া কথাটার মানে কি? হায়া জিনিসটার মানে জানোস নাকি কেউ?
-ধুরো, আপনে খালি ত্যানা প্যাঁচান। সোজাসুজি বলেন না।


দেশটা ডিজিটাল!

স্বপ্নাহত এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নাহত (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ৯:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশটা ডিজিটাল!
আহা, দেশটা ডিজিটাল!
শেখ হাসিনা মুরগী দ্যাখায়
খাওয়াইতেসে ডাল!
আহা, দেশটা ডিজিটাল!

শেয়ার, তেল আর মরিচ, বাগুন
সব বাজারেই বেজায় আগুন
তাইনা দেখে মোহন বাঁশি
বাজায় আবুল মাল
দাঁত ক্যালায়া কয় টিভিতে
“সিন্ডিকেটের চাল”
আহা, দেশটা ডিজিটাল!


ফ্রেডরিকসনগর

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পশ্চিমবাংলার হুগলী জেলার শ্রীরামপুর শহরকে ১৭৫৫ সালে ড্যানিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ডাকা শুরু করে ফ্রেডরিকসনগর। ৯০ বছর চলে ওই নাম, পরে ক্রমাগত লোকসান সইতে না পেরে তারা ১৮৪৫ সালে ইংরেজদের কাছে কুঠি বেচে দিলে শহরের নাম আবার শ্রীরামপুর বহাল হয়। নিচের লিখাটি ১৮৮৮ সালে প্রকাশিত জর্জ টয়েনবির A sketch of the administration of the Hooghly district from 1795 to 1845 বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের কিছু অংশের ভাবান

পশ্চিমবাংলার হুগলী জেলার শ্রীরামপুর শহরকে ১৭৫৫ সালে ড্যানিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ডাকা শুরু করে ফ্রেডরিকসনগর। ৯০ বছর চলে ওই নাম, পরে ক্রমাগত লোকসান সইতে না পেরে তারা ১৮৪৫ সালে ইংরেজদের কাছে কুঠি বেচে দিলে শহরের নাম আবার শ্রীরামপুর বহাল হয়। নিচের লিখাটি ১৮৮৮ সালে প্রকাশিত জর্জ টয়েনবির A sketch of the administration of the Hooghly district from 1795 to 1845 বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের কিছু অংশের ভাবানুবাদ।


গল্প অপচেষ্টা (২): বাঁধাইকর

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০১/২০১২ - ৮:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের মফস্বলে ওই একটিই বাঁধাই ঘর ছিল।

বাঁধাইকর ছিল কালো একটা লোক। শুকনো, অথচ কেমন খানিকটা তেলতেলে লোকটা মোটা ফ্রেমের চশমা পরে সারাদিন মুখ গুঁজে বই সেলাই করে চলত! লোকটার সরু লম্বা আঙুল দেখে সেগুলোকে মায়াবী ভাবার কিছু ছিলনা! কিন্তু কীরকম মায়া করে লোকটা বইয়ের পুরনো মড়মড়ে পাতাও নরম মাংসের মতো সেলাই করে ফেলত! বই যেন না, পুরনো কাপড়! বইগুলোও যেন গলে পড়ে যেত লোকটার হাতে! সুলতা বৌদি আমার চুলে আঙুল দিয়ে বিলি কাটলে যেমন আমার অদ্ভুত আদর লাগত, সেরকম। অথবা সেইবার যখন আমি আর তনি ওদের পোড়ো ভিটের শুকনো ডোবায় পালিয়েছিলাম! তনি কেবল আমার হাত জাপটে ধরে আমার গায়ে হেলান দিয়ে পড়ে ছিল! আর আমি ওকে যতই ধাক্কাই উঠতে চাচ্ছিলোনা, সেরকম!