[justify]গেল বছর পুরোটাটাই দৌড়ের উপ্রে গেছে। বিশেষ করে শেষের আটটা মাস ছিলো নাটকীয় সব উত্থানপতনে পূর্ণ। সময় পেলে প্রতিদিনই খানকয়েক ব্লগরব্লগর ড্রাফট করে রাখা যেত। কিন্তু থিতু হয়ে বসার সুযোগ এতই কম ছিলো যে খুচরো কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস ছাড়া অনলাইনের খসড়াখাতায় বিশেষ কিছু জমা পড়েনি। দৌড়াতে দৌড়াতেই দৃশ্যপট এত দ্রুত বদলে যাচ্ছিলো যে আমার স্ট্যাটাসাসক্ত মনও সব খবরাখবর স্ট্যাটাসে তুলে দিতে পারছিলো না সময়মতো
জামাত-শিবির আর নয়া-রাজাকার,
এ ছাড়া কি ছাগলের খোমা নেই আর!
তাই বুঝি হয়ে থাকে! এটা তবে কী!
নতুন এক ছাগলের ছবি এঁকেছি
ছোটবেলায় আমার পছন্দের একটা কাজ ছিল রেলস্টেশনে গিয়ে পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করা। সপ্তম-অষ্টম শ্রেণী থেকেই এই কাজটা করতাম। নবম শ্রেণীতে সাইকেল পাওয়ার পর ইশকুলের দিনগুলো ছাড়া বাদবাকি সব দিনই দুপুরের ঘুম বাদ দিয়ে সোজা ইস্টিশনে চলে যেতাম। ঢাকার কমলাপুর থেকে ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন অর্থাৎ মহুয়া এক্সপ্রেস নামের যে মেইল ট্রেনটি ছাড়ে, সেটি ময়মনসিংহ হয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর একটা
আম্মুর স্টিলের আলমারির এক কোনে দুনিয়ার জিনিস পত্রের সেরকম বিশাল এক গাঁট্টি ছিলো। তাতে উলের নকশার প্যাটার্ন থেকে শুরু করে পোকায় খাওয়া আশুতোষের বই, হাফ প্যান্ট-ল্যাঙট পরা মামাদের পিচ্চিবেলার ছবি, সৌমি ভাইয়ার উলের হাতমোজা, নানা ভাইয়ের হোমিও প্যাথেটিক ওষুধের ফাইল, কিচ্ছু বাদ ছিলোনা। সেসবের ভিড়ে আম্মুর একটা সার্টিফিকেট খুঁজে পেয়েছিলাম।
বাবার শরীরে একটা ঘ্রাণ ছিলো। ঘাম জমে জমে সম্ভবত ঘ্রাণটা তৈরি হতো। মায়া মায়া একটা ঘ্রাণ। বাবার কাপড় চোপড়ে সেই ঘ্রাণ। বাবার বিছানায় সেই ঘ্রাণ... আর কেউ সেই ঘ্রাণ পেতো কী না জানি না। আমি পেতাম। বাবার গামছায় লেগে থাকা ঘ্রাণ নিতে রোজ সকালে আমি মুখ ধুয়ে তার রুমে ঢুকতাম। বাবা সম্ভবত সেটা জানতেন। ভোরে ওঠা ছিলো বাবার অভ্যাস। ওজু পড়ে গামছায় হাত মুখ মুছে আলনার একটা পাশে সেটা মেলে দিতেন। আমি সেই গামছায় মুখ মুছতে মুছতে বাবার সাথে কথা বলতাম। গুরুত্বহীন আলাপ সেসব। আমি আলাপের আড়ালে ঘ্রাণ গিলতাম। বাবার ঘ্রাণ...
জীবন একটা হাওয়াই মিঠাই, হ্যাঁ, স্রেফ একটা হাওয়াই মিঠাই, ব্যাস। এর আগেও কিছু নেই, পরেও কিছু নেই। বলা যায়, এই উদ্ভট চিন্তাটা মাথায় হঠাৎ করেই এলো, এটাকে দীর্ঘদিনের চিন্তাপ্রসূত উপসংহার বলা যায়না মোটেই। তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, জীবনকে আমি বায়োস্কোপ থেকে শুরু করে একদম ছিবড়ে যাওয়া চুইংগামের মতো এরকম অনেক কিছুর সাথে তুলনা করেছি, শুধু তাই নয়, সেই কবিগুরু থেকে শুরু করে হালের গুরুকবিদের অনেকের ছন্দের
০।
এখনো বারটা বাজে নি কিন্তু বাইরে টুকটাক বাজি ফুটছে। ফেসবুকে হোম পেজের অধিকাংশ জুড়ে আছে বন্ধুদের নতুন বছর নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাস। এর মাঝে কেউ গত বছরের দেনা পাওনার হিসেব করছে, কেউ বা শুধু মাত্র শুভেচ্ছা জানিয়েই খালাস। একটু দূরে বিছানার উপর রাখা মোবাইল এর মাঝেই দুই তিনবার শব্দ করে নতুন মেসেজের অস্তিত্ব জানিয়েছে। ইনবক্স না খুলেই বলতে পারি শুভেচ্ছা জানিয়েছে কেউ না কেউ। আমি অবশ্য এত কষ্ট করে কাউকেই শুভেচ্ছা জানাই নি কারণ মায়ান ক্যালেন্ডার সত্য হইলে এইসব কিছুই মিছে
গোলরুটির চেয়ে গোলারুটিই বেশি মজার। বড় মামী এ ব্যাপারে ফার্স্টক্লাশ। নানারকমের গোলারুটি বানাতে তার জুড়ি নেই। আটা গুলে তার মধ্যে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে পিয়াজ রুটি। কাঁচা মরিচ দিয়ে মরিচ রুটি। আর কালো জিরা দিলে বেশ টোস্ট টোস্ট ভাব আসে।
ইংরেজ জোসি কন্ডের১ সাহেব ঘুরতে ঘুরতে আমাদের ঢাকা শহর আসেন ১৮২৪ সালে। তাঁর ১৮২৮ সালে প্রকাশিত বই The modern traveller: a popular description, geographical, historical, and topographical of the various countries of the globe, Volume 3 এর ১৩৪ পৃষ্ঠা হতে আমাদের প্রিয় ঢাকা শহরের বর্ণনার ভাবানুবাদ।
ডিসেম্বরের মিষ্টি একটা বিকেলে যখন আমার রুমের পেছনের বাউবাব গাছের মাথা থেকে “ ইয়াহু” বলে বাতাসে লাফ দিয়ে পড়ে তুলোর মখমল-কোমল ফুলেরা তখন এক মুহুর্তের জন্য ভুলে যাই দুঃখের বিলাসী কবিতার পংক্তিগুলো।