স্মৃতিকাতর হলেও খুব যে অসুখী আমি এমন নয়,
যে শহরের গন্ধ বিশ বছর গায়ে মেখেছি,
যে বড় নদীটাকে ক্রমশঃ সরু হয়ে যেতে দেখেছি
যে ভোরগুলো হাজার শব্দ নিয়ে জেগে উঠে
অলিগলিগলিসন্ধির ভেতর হারিয়ে গিয়ে দুপুর বিকেল রাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ত
যে বন্ধুদের ডাক হৃদয়ের গোপন দরজার চাবির মত কাজ করত
আজকাল তাদের আর আশেপাশে দেখিনা বলে খুব যে অসুখ করে আমার এমন নয়,
যে শহরের আকাশে শুধু কাক আর চিল ওড়ে সেখানে থাকি না বলে
হিমালয় ভাই আমার বড় ভাইয়ের মত। কিংবা এক অর্থে বড় ভাই-ই। এরকম ঘনিষ্ঠ একজনের গ্রন্থ নিয়ে রিভিউ লিখতে কিছুটা হিম্মতের দরকার হয়। পছন্দের মানুষ---কাজেই রিভিউ লিখতে গিয়ে একটা বায়াস চলে আসতেই পারে। সেই বায়াস থেকে নিজেকে শত হাত দূরে রাখতে সচেতন প্রয়াসের দরকার আছে বৈকি।
কিশোর আলো, সংক্ষেপে ‘কিআ’র অক্টোবর সংখ্যা হাতে পেলাম বাড়ি এসে। এর আগে সাক্ষী সত্যানন্দের এক মন্তব্যে এটার খবর পাই। তখন থেকেই কৌতূহল ছিলো। হাতে পেয়েই উল্টে পাল্টে অলংকরণগুলো দেখলাম। চমৎকার কাজ। আকান্তিস গ্রুপের পরিচিত অনেকের অবদান চোখে পড়লো। অবশ্য কদিন আগেই এবারের পূজার আনন্দমেলা উল্টে পাল্টে দেখার সুযোগ হয়েছিলো। অলংকরণ দেখলে মাথাখারাপ হয়ে যায়। ঐ লেভেলে যেতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে।
আমি মেধাবী সেটা আগেই জানতাম কিন্তু বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাবার পর সেটা বাকিরাও জানল। আম্মা এসে জড়ায়ে ধরে বলল, মানিক তুই বংশের মুখ উজ্জ্বল করলি। চাচা বললেন, গুড জব। এই বংশের ছেলেরা ডিপ্লোমা বিআইটি ইত্যাদি হাবিজাবিতে চান্স পাইলেও বুয়েটে এই প্রথম। পাড়া প্রতিবেশী সবাই হৈহল্লা করে দেখতে আসল পাড়ার মেধাবী ছেলেকে। কেউ গায়ে হাত বুলায়, কেউ মৃদু চিমটি কাটে, কেউবা ফিসফিস করে বলে, কি মেধাবী গো।