জানিনা কোন মহাধাম থেকে আসে, এই অধমের শয়নকক্ষে
ফুলের ঢেউগুলো ঢোকে। যেভাবে সমুদ্র :
বেলাভূমিকে প্লাবিত করে
স্নানরত মানুষের পায়ের তলা থেকে বালুরাশিকে টানে,
তেমনি ঢেউগুলো আমার মধ্যে আসে
কী যেন রাখে, আবার সরিয়ে নিয়ে যায় ;
কেউ চায় কী আমাকে,
যুগপৎশূন্য-পূর্ণ করতে?
এ যেন অনন্ত সেই খেলা, সাগর আর সৈকতের।
এতোকাল ধরে যতফুল, বাগিচায় বনভূমিতে নিসর্গে
প্রথম আলো অদ্ভুদ। আরো অদ্ভুদ তাদের পাকিরাও ভালো প্রজেক্ট।
আনপড় পাঠকেরা এই প্রজেক্ট সম্পর্কে না জানতে পারেন। তাদের জন্য একটা ছোট্ট সূচনা।
পাকিরাও ভালো প্রজেক্ট প্রথম আলো ঘোষিত অফিসিয়াল কোন প্রজেক্ট নয়। সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্লগজগত থেকে এইরকম প্রজেক্ট বাস্তবে আছে এরকম অনুমানের সূচনা। প্রথমআলো গ্রুপ নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তান থেকে বুদ্ধিজীবী ভাড়া করে আনে। এরা হাবিজাবি মিশিয়ে পাকিস্তানের হাতেগোনা কিছু লোকের বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালোমন্দ কথা বলে এরকম লোকেদের হাজির করে। নিয়মিত এরকম পাকিস্তানি ভালো লোক মিডিয়াতে হাজির হলে, এবং সেইসাথে সেখানকার লোকেদের একাত্তর প্রশ্নে অবস্থান চেপে গেলে জনমানসে সব পাকিস্তানি আসলে খারাপ না এরকম একটা ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য হয়। পুনর্মিত্রতার এই প্রজেক্ট বেশ কিছুদিন ধরে চলছে।
এ জগতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠা সুন্দরী নারী কে? তিনি কি ক্লিওপেট্রা? কিংবা হেলেন বা মেরিলিন মনরো, গ্রেটা গার্বো, সায়রা বানু, মধুবালা, সুচিত্রা সেন, ঐশ্বরিয়া? কে? মহাভারতের বর্ননা অনুযায়ী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠা গ্ল্যামার গার্ল হলেন একজন শ্যামাঙ্গিনী ভারতীয় নারী, কারো কারো মতে তিনি বাঙ্গালীও বটে। আমাদের তো আর অত পুন্য নেই যে তাঁকে চাক্ষুষ দেখব, তবে বহু শতাব্দী আগে একজন সৌতি গল্পকথক যে ভাবে তাঁর বর্ননা করে গেছেন, সেই বর্ননায় তিনি এখনও জীবন্ত সবার মাঝে।
লাবন্য আপার সাথে পরিচয় সেই ২০০০ সালে। একটি পত্রিকা অফিসে। তথন সবেমাত্র ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি। হলে থাকি। রাস্তাঘাট তেমন একটা চিনে উঠতে পারিনি। কোথায় কী আছে তাও জানি না ঠিকমতো। লাবন্য আপা আমাকে ঢাকা শহর ও তার সাহিত্য-সংস্কৃতির অলিগলি চেনানোর দায়িত্ব নিলেন। নাহ্, লাবন্য আপা আমাকে নিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াননি। ভোরের কাগজের পাঠক ফোরামের সেই আড্ডায় বললেন, তুই প্রতিদিন পত্রিকার ‘আজকের ঢাকা’ বলে এক কলাম এক
বইটা বহুদিন আগে বাংলাদেশের এক নামজাদা রবীন্দ্রগেঁড়ের বাসায় দেখেছিলাম। পাতা উলটে বুঝেছিলাম যে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়নরীতির প্রায়োগিক দিকটি নিয়ে বইটা লেখা। কিন্তু সেই বিশিষ্ট রবীন্দ্রগেঁড়েটি বই ইত্যাদি ধার করলেও ধার দিতে চান না, দিলে যদি তাঁর চে’ বেশি শিখে ফেলে?
পুড়ে গেলে কিছু থাকে না
পংক্তি বিলীন মাঠ
তুলো ওড়া রাত্রিবদ্ধ পাপে
মৃত মুহূর্তের ছাই-
উড়ে গেলে শক্ত ডানার পাখি
অনন্ত রেখার ধারে শব্দদূষণ
ঘুঙুর শাঁখ দীর্ঘশ্বাসের অধরা নিদ্রাপাঠ
উড়ে গেলে কিছু থাকে না
একটা মেয়ে কোন ছেলেকে পছন্দ করলে বা কোন ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করলে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বলার আগেই আশে-পাশের মানুষ সেটা টের পায়। আমরা যে ভাবে একজনের উপড়ে আরেক জন রাতে শুই, সে অবস্থায় অন্যের অগোচররে স্বপ্ন দেখাও অসম্ভব। আমার বিরহ গোপন থাকা সম্ভব নয়। কোন কাজে আসুক আর না আসুক, আমাদের যে কোন ব্যাপারে মাহবুব ভাই খোঁজ-খবর নিয়ে পরামর্শটাও দিয়ে যান। জ্বর-জাড়ি হলে রাতে কোন ঔষধের দোকান খোলা থাকে সেটা যেনে নিয়ে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি—চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
--জীবনানন্দ দাশ