স্কুলে যাওয়ার পথে এক পাগলের সাথে প্রায়ই দেখা হত। নির্ঝঞ্ঝাট-নির্বিবাদী মানসিক ভারসাম্যহীন সিধা সাধা মানুষটা বিড়বিড় করতো আর বাতাসে আঙ্গুল নেড়ে কি জানি হিসাব করত। স্কুল ছাড়ার পরে আর কখনও তাকে দেখিনি। সে কিসের হিসাব মিলানোর চেষ্টা করতো কখনও জানা হয়ে উঠেনি। তবে তার চেহারায় একটা অদ্ভুত হাসি লেগে থাকতো সেটা এখনও মনে পড়ে।
কবে থেকে ওরা আমার পিছনে পড়ে আছে? পাঁচ-দশ-পনের, নাকি আরো বেশি সময়?
কারো ফাঁসির খবরে আনন্দিত হবার কিছু নেই। মানুষের মৃত্যুতে আনন্দ করার কিছু নেই। মৃত্যু এক অমোঘ পরিণতি যা সব বর্ণের সব রকমের মানুষকে এক করে দেয়। যতবড় আসামীই তার অধিকার আছে ন্যায় বিচার পাওয়ার। যতবড় অপরাধীই হোক না কেন, তার অধিকার আছে সম্মানজনক একটা শাস্তি পাওয়ার। অনেক সভ্য দেশ থেকেই মৃত্যুদণ্ডের মতো অমানবিক বিধান বাতিল করা হয়েছে। সারাবিশ্বে মানবতা আজ হুমকির মুখে। ঘৃণা, হিংসা, প্রতিশোধ আকাঙ্ক্ষা, চোখের
জয় বাংলা !
বাঙালিকে আঙুল দেখায়ো না।
বাঙালি হলে আজ খাসির মাংস রাঁধা আপনার জন্য ফরজ, যদি না আপনার কেল্লা পাজিস্তানমুখী হয়ে থাকে। কিন্তু খাসি রাঁধা মোটেও সহজ নয়। চরিত্রের মতই বেটার গায়ে বিটকেল গন্ধ।
কিন্তু তাই বলে কী আমরা খাসি খাবো না? অবশ্যই খাবো। তাই হতাশ হইও না যদি মুমিন হও।