কাদের মোল্লার ফাঁসির মধ্য দিয়ে নাকি পাকিস্তানের পুরনো ক্ষতকে জাগিয়ে তোলা হয়েছে। এই কাদের মোল্লার নাকি অপরাধ ছিল সে অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রতি অনুগত ছিল। আজ ৪২ বছর পর যদি তোদের এমন বধোদয় হয়ে থাকে তাহলে কেন এতগুলো বছর এই পিশাচগুলোকে এদেশে ফেলে রাখলি তোরা? নিয়ে যেতে পারলি না তোদের পাকিস্তানে। উপরন্তু আমাদের ক্ষতের উপর মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে রাজাকারকুলশিরমণি গোলাম আজমকেও পাঠিয়ে দিলি বাংলাদেশে। এখন তো সত্যিই জানতে ইচ্ছে করে এসবের মাঝে কি অন্য কোন মতলব লুকিয়ে ছিল?
ডেইলি টিভি খুল্লেই দেখি অমুক কম্পানির সাবান ভালা আর আমরা যেই সাবানে কাপড় ধুই ঐটা ‘সাধারন’ সাবান — ঐটা ভালানা। এই রকম কইরা শ্যাম্পু, বিস্কুট, আচার, আটা, ময়দা, কয়েল, ফ্রিজ, টিভি এমনকি বাড়ি বানানির রডেরও যে বিজ্ঞাপন দেয় তারটা ভালা বাকি বেবাকতেরগুলা ‘সাধারণ’ — ঐগুলা খারাপ। বাজারে গিয়া খুইজ্জাই পাই না ‘সাধারণ’ কম্পানির মাল কোনটা!
লিখতে বসলাম। জানিনা কি লিখতে বসেছি। লিখতে ইচ্ছা করছে তাই লেখা শুরু করা। লেখা শুরু করাটাও আরেক ঝামেলা। কি দিয়ে শুরু করবো। শুরু করতে যেয়ে আর শুরু করা হচ্ছে না। যাই হোক, শুরু যখন হোলই শুরুই করি। কাদের মোল্লার চা খাওয়া দিয়েই শুরু করি।
আমি সময়মত কিছু বলতে বা লিখতে পারিনা। কাদের মোল্লায় ফাঁসি নিয়ে উত্তেজনার দিনগুলোতে সবকিছু বাদ দিয়ে আমার চোখের সামনে ভাসতো আমাদের স্বাধীনতা উত্তর অসহায় পরিবারটি। আশির দশকেও মামাবাড়ির ঘরগুলো খড়ের, মাথার ওপর কিছু নতুন টিনের চাল। চারদিকে বলতে গেলে খোলাই। আমরা ওখানে যেতে চাইতাম না। মাকে জিজ্ঞেস করতাম -- মামারা এতো গরীব কেনো?
- মেয়ে আমেরিকান
আম্মা শুনে চোখ কপালে তুলে বলে,
- সাদা চামড়া?
- নাহ
হাঁফ ছেড়ে বলে,
- তাহলে কি আমাদের দেশী? আমেরিকায় বড় হয়েছে?
আমি বলি,
- নাহ আফ্রিকান আমেরিকান।
আম্মা আবারও চোখ কপালে তুলেন। একটু হেঁচকি তুলে কান্নার ভঙ্গী করেন। কিন্তু কান্না আসে না। 'ও মতিনের বাপ, এদিকে আসো। আমি শেষ' বলে বিকট চিৎকার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু গলার আওয়াজ বেশিদূর যায়না। আব্বা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাটুকে গলায় বলেন,