গোল্ডফিশ - ১
পাড়ার দুই মুরব্বী কথা বলছেন--
-- যাই কন ভাই, দেশটা খালেদা- হাসিনার চেয়ে এরশাদের সময় লাইনে ছিল, ভালই ছিলাম।
-- ঠিকই বলেছেন, মাইয়া মানুষ কি দেশ চালাতে পারে! আর্মির জেনারেল হচ্ছে বাপের ব্যাটা। সবাইরে পেদিয়ে লাইনে রাখত।
ঠিকই, আমরা আসলেই গোল্ডফিশের জাতি।
গোল্ডফিশ - ২
ঐ শুনেছিস, এরশাদ আবার দল বদল করেছে !
- কতক্ষণ আগে?
মানে? আজ দুপুরেই তো শুনলাম।
মিসেস হ আর মিসেস খ, এরা কখনো কোনো প্রশ্নেই একমত হতে পারেন না। এর কারণ কী, সেটি খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার ষোলো আনা সারমর্ম একের পর এক তুলে দেয়া হলো।
১) দুজনে দুই রকম সুগন্ধী ব্যাবহার করে থাকেন।
২) দুজনে দুই রকম দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকেন।
৩) দুজনেই একই কবির ভক্ত হলেও সেটি প্রকাশ করতে চান না।
অচেনা বিশাল শহরের আকাশছোঁয়া সব ইমারত কৃপণের মতো ছায়া গুটিয়ে জড়ো করে যে যার পায়ের কাছে। আকাশে অগ্রহায়ণের সূর্য সাগ্রহে তাকিয়ে আছে পৃথিবীর রৌদ্রকাতর গালের দিকে। লীনা ওড়না দিয়ে নিজের মুখটা মুছে নেয় আবার। এ নগরীর রুক্ষ উষ্ণতার অন্য রূপ সে জানে, তাই কাকার অপরাধী দৃষ্টির মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না সে।
তেরোটা বচ্ছর পর ভাতিজার কাছে ভাইঙা পড়ে কুন্তী- কৃষ্ণরে; পুতুল খেলার বয়সে নিজের বাপ মোরে দান কইরা দিছিল ভিনগ্রামে। বড়ো হইয়া বিবাহ করলাম এক সম্রাটরে কিন্তু রাজনীতির খপ্পরে পইড়া জঙ্গলে সংসার করলাম ষোলোটা বছর। বিধবা হইবার পর ভাসুরের চক্রান্তে আদাড়ে-বাদাড়ে ঘুইরা নাবালক পাঁচটা পোলারে বড়ো কইরা বানাইলাম রাজা। তারপর নাতি নাতনি লইয়া খেলার বয়সে পোলাদের অপকর্মে আরো তেরোটা বচ্ছর আমার বাচতে হইল দেবরের ভাতে...।
"চলতি পথে পাওয়া" সিরিজ টা নিয়ে একটু বলি আগে। নাম শুনে মনে হতেই পারে যে এটা হয়ত পথ চলতে গিয়ে দেখা বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা। হুম, হতে পারে। তবে তার চেয়েও বেশি হচ্ছে চলার পথে বসে থাকার সময় কতক বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখে বা এমনিতেই মনের ভেতর বিভিন্ন এলোমেলো চিন্তা ঘুরপাক খায়, তাদের বর্ণনা। লেখার ধরণ সাইকোডেলিক, অ্যাবস্ট্রাকটিভ, ম্যাজিক রিয়ালিস্টিক, স্যুরিয়ালিস্টিক আবার খুব সাধারণ বর্ণনাও হতে পারে। [url=http://w
গোলাপি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসে বিস্ময়ের হাসি !
২০০৫-০৬ ঘটনা। আমি তখন আরামবাগে বড় মামার বাসায় আরামেই থাকি আর ওমেকাতে কোচিং করি। কাজিন ভিকারুন্নিছা’র (নাম ভুল করলাম কি?) ধানমন্ডি শাখার ছাত্রী। ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়ে হয়ত। মাঝে মধ্যেই ওকে আনতে যেত হতো ধানমন্ডিতে। রাস্তায় জ্যামের কথা মাথায় রেখে হাতে বাড়তি সময় নিয়েই বেরিয়ে পড়তাম। কোন কোনদিন কাটায় কাটায় ছুটির ঘন্টা পড়ার মুহুর্তে পৌছতাম। আবার কোন কোনদিন রাস্তা ফাঁকা থাকলে বেশ আগেই পৌছে যেতাম।