জনতার সংগ্রাম চলবে--
রাজাকারের দিন এইবার শেষ
শাহবাগের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আপামর বাঙালী ভাই-বোন।
সেই একাত্মতার সাথে আমার নিজের সামান্য কিছু যোগ দিতে নিয়ে এলাম
আমাদের আকতার ভাই আর মৃদুল ভাইয়ের কিছু অগ্নিঝরা ছড়া আবৃত্তির চেষ্টা করেছি এইখানে।
আপনাদের ভাল লাগলে এইগুলো ছড়িয়ে দিন সকলের কাছে, সকলের মাঝে
ভোরের আর বেশি দেরী নেই---
জয় বাংলা
(ব্যক্তিগত বমি-বিষয়ক আলোচনা এবং সাইদীর ছেলেকে পুলিশে ধরার আলোচনার পর থেকে)
একাত্তরের খুনী-ধর্ষক জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে শাহবাগে ফুঁসে ওঠা বিক্ষুব্ধ জনতার শপথ ছিলো, জামাতি পণ্য ও প্রতিষ্ঠান বর্জন।
আর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ ইসলামী ব্যাঙ্কে নিজেদের হিসাব বন্ধ করেছেন বাগেরহাটের ইলিয়াস ভাই ও পিয়ারা আপা।
বেতারায়তন এই দুই সাহসী পথপ্রদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছে, তাঁরা কী ভাবছেন এ ব্যাপারে।
আসুন শ্রোতাবৃন্দ, শুনে দেখি।
তোমারা যারা শিবির কর লিখে ডক্টর জাফর ইকবাল ব্যাপক নন্দিত নিন্দিত হয়েছেন। শিবির কি জিনিস সেটা এতদিনে ডক্টর জাফর ইকবালের ভালো করেই জেনে যাবার কথা। সুতরাং তোমার যারা শিবির কর বলে সুন্দর কিছু কথা বলা মাত্র শিবিরের দুষ্টু ছেলেরা আমার সোনার পূর্ব পাকিস্তান আমি তোমায় ভালোবাসি গাইতে গাইতে লাইনে চলে আসবে, এটা কষ্ট কল্পনা। যাইহোক, কিছু অন্যরকমের মানুষ তবুও ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়, উলুবনে মুক্তো ছড়ায়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরে ভয়াবহ নির্যাতন চলে, অসংখ্য তাজা প্রান ঝরে যায়, জোহা হলকে বানানো হয় টর্চার সেল, অনেক নারী সম্ভ্রম হারান, এতই নির্যাতন চলে যে অনেকের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি কিংবা লাশ পেলেও চিনে নেয়া সম্ভব হয়নি, জোহা হলের পেছনে পাওয়া গেছে দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পিশাচ শিক্ষক এই নির্যাতনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অনেক স্বাধীনতাকামী, প্রগতি
ভুলে গিয়ে ভয় যত পরাজয় জীবনের ঢালা ছাঁচে,
বাঙালির দিন বদলে গিয়েছে ফেব্রুয়ারির পাঁচে!
ক্রুদ্ধ মানুষে ক্ষুব্ধ স্লোগানে শাহবাগ জুড়ে ঝড়...
আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছে প্রজন্ম চত্বর!
বাঁধতে পারে নি সাধের চাকরি, ঘরে বিছানার সুখ,
আমাকে টেনেছে অচেনা অদেখা রোদে পোড়া কিছু মুখ!
বিদ্রোহী আমি, ছিলাম কদিন আগেও স্বার্থপর...
আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছে প্রজন্ম চত্বর!
শিল্পী ফেলেছে রঙতুলি আর গায়ক ভুলেছে গান,
আসুন, শাহবাগ আন্দোলনে নিজেদের দেখা হৃদয়স্পর্শী ঘটনা আর ছবিগুলো জড়ো করি এখানে। বিশ্ব দেখুক আরেক মুক্তিযুদ্ধ।
ছাগ পরে রয় হরিন চর্ম
লাদির কুবাস যায়না তাতে ঢাকা
তাই বলি কি চোখ-নাক-কান খুলে
সবচেয়ে ভালো সাবধান হয়ে থাকা।
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল আজ একাত্ম যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে। স্লোগানে-সঙ্গীতে-প্রত্যয়ে মুখরিত রাত-দিন ক্লান্তিহীন শাহবাগ চত্ত্বর। যেই স্ফুলিঙ্গের সূচনা হয়েছিলো শাহবাগে আজ সেটা ছড়িয়ে গেছে সারা পৃথিবীতে। গতকাল পার্থ, সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেনসহ অষ্ট্রেলিয়ার বড় বড় শহরগুলোতে হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ। একই সময়ে অর্থাৎ গতকাল বিকেলে ব্রিসবেন থেকে প্রায় ৯৪ কি.মি.
কত কত দুর্ভাগা সময় পার করেছি আমরা। আমাদের চোখের সামনে মতিউর রহমান নিজামী নামের শুকরশাবক গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। শহীদ জননীর নামে একটা ছাত্রী হলের নামকরণ করতে পারিনি আমরা। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী জামায়াত নামের বর্বর দলটা মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা নামের প্রহসন করার সাহস দেখিয়েছে। সেখানে প্রতিবাদ করায় লাঞ্ছিত হয়েছেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা।