শাহবাগের পোস্টার, ব্যানার আর দেয়ালচিত্র নিয়ে একটা সংগ্রহ তৈরি করছি। মনে হলো হঠাৎ, যে ইতিহাস তৈরি হচ্ছে চোখের সামনে, সেখানে "অ্যাসথেটিক্যালি অসাম" ছবির তোলার চেষ্টার চেয়ে এই আন্দোলনের দাবীগুলো সংরক্ষণ করা হয়তো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ইউনিভার্সিটি অভ ইলিনয় এট শিকাগোর (UIC) পক্ষ থেকে আমরা শিকাগো বাসীরা গতকাল এক হয়েছিলাম শাহবাগের সাথে কণ্ঠ মেলাতে। আমাদের সাথে যোগ দিতে, সচল জি এম তানিম, রানিয়া আর আসিফ এসেছিল ১৫০ মাইল দূরের শহর মিলওয়াউকি, উইসকনসিন থেকে। বাবার কোলে করে এসেছিলো এক বছর বয়সী নিভৃতিও।
সময় এসেছে গণআন্দোলনকে Twitter-এ নিয়ে যাওয়ার। আগ্রহীদের জন্য কিছু প্রাথমিক তথ্য লিপিবদ্ধ করছি এখানে। এটি খুব, খুব সহজ একটি মাধ্যম। কয়েক মিনিটের বেশি লাগবে না বুঝে নিতে।
লক্ষ জনতা কণ্ঠ মেলায় এই মেয়েটির সাথে
অর্গল ভাঙা বুকের আগুন মহাগর্জনে মাতে
অকৃতী জীবনে গৌরব কিছু এ কথা বলেই হোক
কান পেতে শোনো বিশ্ব, আমিও লাকির দেশের লোক।
(এই পোস্টারটি প্রিন্ট করার জন্যে অনেক বড় আকারেও দেওয়া যাবে, যদি কেউ চান)
দৈনিক প্রথম আলোর পোষা বাম ফারুক গুয়েবাড়াসহ আরো দুয়েকটি পল্টিবাজ গত কয়েক বছর ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাষায় ছাগুদের ধামা ধরে পেট ভরে দই খেয়ে এখন মুখে চুনের দাগ লাগিয়ে শাহবাগে হাজির হয়ে বিপ্লবী সাজার চেষ্টা করছেন। দৃশ্যগুলো কৌতুককর, কিন্তু সে কৌতুক হিমশৈলের চূড়া কেবল, সে কৌতুকের ভিত নেমে গেছে আশঙ্কাজনক কুমতলবের সাগরের গভীরে।
১.
আসেন এই পোষ্টারগুলি ছড়িয়ে দেই। আমরা শপথ নিয়েছি জামাতশিবিরের ব্যবসা বর্জনের, সেই শপথ সারা বাংলাদেশে, সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাক।
শাহবাগে জ্বলছে আগুন আকাশ ছোঁয়া
লক্ষ মানুষ লক্ষ প্রাণে মত্ত হাওয়া
রাজাকারের ফাঁসীর দাবি, মানতে হবে
ঝড় উঠেছে লক্ষ কণ্ঠে কলোরবে
গনগণে এই লাভার স্রোতে দেশটা ভাসে
আগুন দ্যাখো বসন্তের এই লাল পলাশে
আগুন দ্যাখো চতুর্দিকে বিশ্ব জোড়া
আসছে ধেয়ে মেঘের মতো বজ্র-ঘোড়া
মানতে হবে-রাজাকারের ফাঁসীর দাবি
আল-বদর আর আল-শামসরা কই পালাবি?
শুনতে কি পাস্ এই আগুনের পদধ্বনি?
রক্ত রাঙা মাটি তোদের পাপের খনি
বিদেশি মিডিয়া বা পত্রপত্রিকা যাদের বাংলাদেশে অফিস বা সংবাদদাতা নেই, তাদের বেশিরভাগই এখন নিউজ এজেন্সি এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) বরাত দিয়ে বাংলাদেশের খবর ছাপছে। এদের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ, মায়ামি হেরাল্ড ইত্যাদি। কিন্তু এপির ঢাকাস্থ সংবাদদাতা জুলহাস আলম তার সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলিতে রাজাকারদের বিচার এবং শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে নানারকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করছেন। ফলে, সারা