ওরা বলে, রাতগুলো সে শুধু কেঁদে পার করে দেয়। ওরা বলে, সে খায় না কিছুই, কিছুই মুখে রোচে না তার। ওরা কিরে কেটে বলে আকাশও কাঁপছিলো তার কান্নার দমকে। ভুগছিলো সে ওর জন্যে, আর মরতে মরতেও গাইছিলো, আয় আয় আয় আয় আয়। ডুকরে ডাকছিলো সে, আয় আয় আয় আয় আয়। গাইছিলো সে, আয় আয় আয় আয় আয়। এমনই মরণ অনুরাগে মরছিলো সে। একটা বিষণ্ন ঘুঘু এসে খুব ভোরে শুন্য বাড়িতে গান গায়, যার ছোট্ট দরজাগুলো বিরাট করে খোলা।
বাংলা ব্লগের উন্মেষলগ্নের ব্লগারদের একজন অমি রহমান পিয়াল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘদিন নিয়মিত গবেষণা করে যাচ্ছেন তিনি। এ গবেষণার আধেয় পোস্ট আকারে ব্লগে তুলে ধরলেও গ্রন্থ রচনায় মনোযোগী ছিলেন না তিনি। এ বইমেলায় তাঁর দুটি বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। দুটি বই ও দেশের সাম্প্রতিক কিছু প্রসঙ্গ নিয়ে বই-দেশিকের পক্ষ থেকে তিন সচল জিএমতানিম, স্যাম ও হিমু তার সঙ্গে খানিক আড্ডায় বসেছিলেন।
দুইদিন আগে এক লাফানোতে ওস্তাদ মানুষ খবর দিল, "জানিস নাকি ২ তারিখে সকালে কার্নিভাল আছে। যাবি?"
চিন্তা করলাম সারা সেমিস্টার পড়ি নাই, ছুটির দিনে একটু পড়লে পরের সপ্তাহের পরীক্ষাটা উৎরানো যাবে।তাছাড়া ছুটির দিনে সকাল ১০টায় ঘুম থেকে উঠলে লোকে কি বলবে? বলে দিলাম, "না!!"
জবাব আসল, "সাম্বা কিন্তু!!"
উত্তর দিলাম,"সেটা আগে বলতে হবে তো, ঘুম থেকে ডাইকা তুইলো।"
শেয়ার ব্যবসায় আমার হাতেখড়ি হয়েছিলো জাপানি স্টক এক্সচেঞ্জে, ১৯৮৭-৮৮ সালের দিকে। সেখানকার সূচককে এক ডাকে সারা পৃথিবীর বিনিয়োগকারীরা চেনেন Nikkei Index নামে। জেদ্দাতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করছিলাম মাথা গুঁজে, নির্ঝন্ঝাটে। একদিন সৌদি শেখের খাস কামরায় ডাক এলো। ভণিতা না করে বললেন, তোমার ইংরাজিটা ভালো, আজ থেকে আমার জাপানের শেয়ার কেনা বেচার ফাইলটা তুমি
ঢাকা থেকে ছাড়া সকাল দশটার একতা এক্সপ্রেস পথে পাক্কা আড়াই ঘণ্টা দেরি করায় পার্বতীপুর স্টেশনে পৌঁছাতে আকাশের রাত প্রায় ন’টা বাজলো। স্টেশনের উল্টোদিকের বাড়িগুলোর উপরে তখন রাতের তারাভরা স্বচ্ছ আকাশে চাঁদটা কেবল উঁকি মারছে। কুয়াশা না থাকলেও হিম হাওয়া বরফের ব্লেডের মতোন গাল চিরে যাচ্ছিলো।
“আচ্ছা, কাছেপিঠে কোন সুলভ হোটেল হবে কিনা জানেন নাকি ভাই?”, কুলিকে জিজ্ঞেস করে আকাশ।
“নিদ্রাকুসুম ইন-এ দেখতে পারেন।” রাস্তার মাথার দিকে ইঙিত করে লোকটা, “এই এক কিলোমিটার সামনে গিয়ে ডাইনে।“
ধন্যবাদ দিয়ে নিজের ট্রাভেল ব্যাগটা নিয়ে হাঁটা দেয় আকাশ। আগে এদিকে আসেনি কখনো, এখানে কাওকে চেনেও না। হেড অফিসের মজিবর সাহেব বলেছিলেন শহরটা দারুণ। “নিজের থাকার ব্যবস্থা নিজে করে নিবা বুঝলা? তারপর সোজা গিয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সাথে দেখা করবা।“
[পুরানো লেখা, শুধু রেস্ট্রিক্টেড করলাম এখন (০৩/০৩/২০১৫)]
বিকেলে ছায়া পড়ে আসে। দেখতে দেখতে ছায়ারা বেড়ে যায় সংখ্যায় ও আকারে, তারপরে মিলেমিশে যায়। একাকার অখন্ড ছায়ার উপরে ভেসে আসে অদ্ভুত নীলচে সাদা কুয়াশা। কুয়াশা আর কুয়াশা, চরাচরে ব্যাপ্ত ধোঁয়ান্ধকার। মিমারা আর নিশিতা কিন্তু জানে এই কুয়াশা পার হয়ে উড়ে যেতে পারলেই আছে আকাশভর্তি ঝমঝমে তারা আর একফালি উজ্জ্বল চাঁদ। আজ যেন কোন তিথি? শুক্লা তৃতীয়া নাকি শুক্লা পঞ্চমী?