[justify]ছোটবেলায় প্রাইমারী স্কুলে পড়তে আমার দুইজন বন্ধু ছিল। একজনের নাম দীপক আর আরেকজনের নাম ছিল রত্না। ওরা ”হিন্দু” ছিল তখন জানতাম, কিন্তু ”হিন্দু” মানে আসলে যে কি তখন বুঝতাম না। কিভাবে জানতাম ওরা যে হিন্দু সেটা আজ আর মনে নেই, হয়ত কারো কাছ থেকে শুনে থাকব, কিন্তু তখন হিন্দু শব্দটা ছিল অনেকটা নামের মতই, কোন বিশেষ অর্থবহ কিছু ছিলনা। আমার বাসায় কখনও শেখানো হয়নি আসলে হিন্দু মানে কি অথবা আমার নিজের ধর্মের মানে কি!
ফেব্রুয়ারী মাসটা কেটেছে কেমন একটা ঘোর লাগা আনন্দে, উত্তেজনায়। আমরা পেরেছি। আমরা উচ্চকন্ঠে সবাই মিলে নিজেদের দাবী প্রকাশ করেছি। আমি থেকে প্রত্যেকটা মানুষ আমরা হয়ে গিয়েছি। প্রতিদিন এই আমরা একটু একটু করে আরো বড় হয়েছি। রাস্তায়-ঘরে-ক্লাসে-ব্লগে-ফেসবুকে সবাই একই কথা বলেছি। সবাই মিলে একই স্বপ্ন দেখেছি। বিয়াল্লিশ বছরের কলঙ্কমুক্তির স্বপ্ন। সবার ভেতরে দেখেছি অন্যরকম এক আত্মবিশ্বাস, প্রত্যয়ে দেখেছি
[justify]একজন জুলেখা বিবি কিংবা রহমত আলী’র শুধু নাড়ী নয়, পুড়েছিল ঘর-বসতি-সমাজ, যেমন পুড়ছে আবার। সরুদাসী কিংবা সনাতন ঘরামী’র পুড়েছিল অস্তিত্ব, এখন যেমন। বাংলাদেশের আপামর মানুষ হাপুস নয়নে কাঁদে, চিৎকার করে বুক ফাটায়, আহাজারি করে সরল স্বভাবে -- সেই মানুষগুলো কাঁদতে ভুলে গিয়েছিলো পৈশাচিক বর্বর আক্রমণে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী’কে লুঙ্গি খুলে মুসলমানিত্ব দেখিয়ে মুসলমান হিসেবেও পালাতে পারেনি ল
যদি তুমি বড়োসড় আকারে মিথ্যা বলতে পারো এবং সেটা চালিয়ে যেতে পারো, শেষে এসে জনতা তোমার কথা বিশ্বাস করতে শুরু করবে।
একদিনের জার্মান চ্যাঞ্চেলর এবং হিটলারের প্রচারমন্ত্রী পল জোসেফ গোয়েবলসের বলা এই কথাটি আজ অবধি সত্যি হিসেবে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গণজাগরন নিয়ে আমাদের সাইবার প্রচারজগতে গোয়েবলসের কথার সত্যতা চোখে পড়ার মত।
[জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমার এই ছেলেমানুষি লেখা দেবার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমার নিজের মন ভাল করার জন্যেই আমি বেশির ভাগ সময় লিখি এই শৈশব কথন। অনেকদিন কিছু লিখি না। আজকে একটু লিখতে ইচ্ছে হলো অনেকদিন পর। তাই শৈশব লেখা দিয়েই শুরু করলাম আবার। সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি।]
ট্রেন ভ্রমণ
মুহূর্তে সৃষ্টি হচ্ছে দেবতার গ্রাস,
মাথার ডান পাশে যেখানে স্তব্ধ বিকাশের পথ|
মনুষ্য জীবন বাঁচার পথ খুঁজে সামাজিক প্রতিক্রিয়ায়;
সৃষ্টি সুখের উল্লাস ক্ষত বিক্ষত হয়
মধ্যযুগের জানোয়ারের অশ্লীল থাবায়|
শাহবাগের সাথে একাত্মতায় এল রাজাকার বধাবলীর দ্বিতীয় পর্ব। এইখানে আছে সচলায়তনে প্রকাশিত নানান রাজাকার বিরোধী ছড়ার একটা সংকলন। আমি আলাদা করে তাদের নাম আর উল্লেখ করছি না।
তাঁদের সকলের কাছে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা তাদের রচনা আমাকে ব্যবহার করতে দেবার জন্যে।
জয় বাংলা!!!
ছড়া আবৃত্তিঃ অনিকেত
রচনাঃ সচলায়তনের নানান ছড়াকার
যন্ত্রানুষঙ্গ আয়োজন, পরিচালনাঃ অনিকেত
ঝুলবে ফাঁসির কাষ্ঠে দেলা
ওই দেখো সব দেলা'র চেলা
আজকে পাগল তাই
যা করেছিস সব যা ভুলে
পড়রে বাপের সঙ্গে ঝুলে
আর নিস্তার নাই।
জীবনটা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়া উপন্যাসের কোনো চরিত্র না। যেখানে সুখ-দুঃখ, ভালোলাগা-মন্দলাগা, হাসি-কান্নার মত ছোটবড় প্রতিটি অনুভূতির গাঁট ধরা থাকবে অভিজ্ঞ কোন হাতের যাদুকরীতে। জীবনের প্রতিটা বাঁক বরং আরো অনেক বেশি বর্ণিল, আপেক্ষিক, অনিশ্চিত ও বৈচিত্র্যময়। কোথাও চরম আবার কোথাও নির্মল যা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। তারপরেও ভালো লাগা উপন্যাসের প্রিয় কোন চরিত্রের মাঝে প্রায়শই আমরা ফুটে উঠতে দেখি নিজের প্রতিচ
এক. প্রশ্নবোধক
সব কিছু বলে দিতে হয়!
বোঝ না?
এত চিৎকার এত প্রতিধ্বনি
কিছু কি শোন না?
রাজনীতি শিখে গ্যাছো, তাই না?