আমার পত্রিকা পড়া শুরু হয় খেলার পাতা দিয়ে। এখন পর্যন্ত কোন পত্রিকা হাতে পেলেই খেলার পাতা উল্টাই। ক্রীড়ালেখকরা তাই অবশ্যই প্রিয় লেখকদের কাতারে থাকেন।
অশ্রু শিশির রাতে শেফালীর
কমলা রঙের স্নিগ্ধ বোঁটা
ধোঁয়ার অন্ধকার মানবিক ভুলগুলো
ঝরে পড়ে টুপটাপ--ক্ষমার আদলে
সন্ধ্যা কি ফিরে গেছে, ফিরে গেছে, ফিরে গেছে এসে?
একটি জোনাকি যদি ফুল বলে ভুল হয়
একটি আলোকবিন্দু-থাকবে তো
থাকবে তো, ফেলে আসা পথ- দুঃখ
যতখানি মনে হয়, অমসৃন হয়তো
ততখানি নয়- কতিপয় সমর্পণ
ততখানি জীবিতের বাসনার হুঁ হুঁ
দীর্ঘশ্বাস! ঢেকেছে সময়!
তোমার বাদামী চোখ, কিউপিড
কিছু কিছু দিন আসে যার পুরোটাই খারাপ। এমন দিনের শুরু হয় ঘড়ির অ্যালার্ম ঠিকমতো না বেজে। এরপরে তাড়াহুড়ো করে শেভ করতে গিয়ে গাল কেটে যায়। গাড়ীতে উঠে দেখা যায় তেলের কাটা শূন্যের কাছে। স্টারবাকস এ কফি নিতে গিয়ে দেখা যায় রুম ফর ক্রিম বলার পরেও ব্যাটারা টইটুম্বুর করে কফি ভরে দিয়েছে। পেছনের গাড়ীটা অযথাই হর্ন দিয়ে মেজাজ খারাপ করে দেয়। কিউবে যাবার পথে বসের সাথে দেখা হয়ে যায়, আড়চোখে একবার ঘড়ি
লামেহা অব্যয়বোঝাই ঝোলাটা কাঁধে তুলে নিয়ে রওনা দেয় সবুজ-জমি বালি-জমি পাথর-জমি পার হয়ে নীল পর্বতের দিকে। সে চলে, চলে আর চলে। ভোরবেলার কোমল টুকটুকে সূর্য ঝকঝকে রাগী হয়ে আকাশের কত উপরে উঠে গেছে, লামেহার চলা থামে না তখনো। অব্যয়গুলো তার ঝোলায় কোলাহল করে। আঁ আঁ আহ আহ ঈশ কিংবা সুতরাং এবং ইত্যাদিরা নানারকম সুরে গান ও কথা চালাতে থাকে। ঠিক দুপুরবেলায় ক্লান্ত লামেহা ঝোলা নামিয়ে শুয়ে পড়ে পান্থপাদপের ছায়ায়।
যুক্তরাজ্যে জামাত এবং তার ছাত্র সংগঠন শিবির কতটা সংগঠিত তা ব্লগ পাঠক মাত্রেই অবগত। ইস্ট লন্ডন মস্ক-এর নাম পত্রিকায় লিখবার সময় নামের পূর্বে ‘বিতর্কিত’ শব্দটি জুড়ে দিতে ভুল করে না সেখানকার সাংবাদিকেরা; আর আইএফই বা ইসলামিক ফোরাম অব ইয়োরোপ –কে তারা অনেকেই সরাসরি সন্ত্রাসী দল বলেই বিবেচিত করে। এমন কি আইএফই-র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকবার কারণে লেবার পার্টির একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মেয়র-কে দলচ্যুত করা
এর বেশি খুব একটা আশাও করিনি...
সময় সময়ের নিয়ম ভাঙ্গেনা,সময়ের পরিবর্তনে বিমূড় হয় স্থবিরতা আর চঞ্চলতার শেষ ঠাঁই হয় প্রয়াণে নয়ত মহাকালের অ্যালবামে।
তবে আমার দেয়ালের আয়তাকার কালো অংশটায় আধো আধো কাঁপাকাঁপা কোমল হাতের বানান ভুলে সমৃদ্ধ ছড়া-টা বোধ হয় সময়কে পাত্তা দিতে পুরোদস্তুর কৃপণ!
খুব সম্ভবত শেষ যে দিন-টায় ক্লাস হয়েছিলো সেদিন ছিলো এটার প্রকাশকাল।
[justify]
।।১।।
প্রবাসী হওয়ার অনেক হ্যাপা। সবচেয়ে বড় ঝামেলা হচ্ছে হাতে কোন সময় থাকে না। সর্বদাই ব্যস্ত থাকতে হয়। এইদেশে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে বসে দুদন্ড গল্প করার জো নেই – সব সময়েই তাড়াহুড়া। মার্কিন দেশ এক বিশাল বাজার বিশেষ, এইখানে আমরা সব সময়েই অদৃশ্য বাজারের থলি হাতে ঘোরাঘুরি করি।