আলিনগর আর কালীনগর পাশাপাশি। আলিনগরে দশজনে আটজনই হোসেন। সবাই হোসেন এইটা বলা অবশ্য ঠিক হল না, কেউ হোসেন কেউ হুসাইন কেউ হুসেন। নানান তরিকার বানান। যে যার পদবী মেনে চলে, পদবী খুব ভারি জিনিস আলিনগরে। হোসেন ছাড়া সেখানে আছে কিছু আহমেদ, আর গুটিকয় খান কিংবা রহমান। ও না থাকার মতই। আলিনগরে হোসেনই জাতীয় পদবী।
ভুলপথে বিস্তর হেঁটে যেতে পারি,
ভুল ঠিকানাও হতে পারে ঘরবাড়ি,
ভুল করে ভুল হাতে দিতে পারি ফুল,
ভুল হাত ভালবেসে ভুলের মাশুল।
ভুল খামে এঁটে দিয়ে ভুলভাল চিঠি -
ঠিকানাও ভুল সেঁটে ভুল বাসে উঠি।
নদ-নদী কী বুঝে যে ভুল পথে ছোটে,
পাড়ি দিয়ে মহাদেশ, লোনাজল জোটে!
মগজে বিষাক্ত সংস্কার,
চেতনায় বিশ্বাসের বিষ,
কিছু অভ্যাস, প্রাত্যহিক অহংকার,
ঘটনাটা ঘটে ১৯৬২ সালে তানজানিয়ায় । শুরুটা একেবারেই নির্দোষ এক কৌতুক দিয়ে । ছাত্রী হোষ্টেলে এক ছাত্রী তার রুমমেটকে এক কৌতুক শোনায় । Jokes এর শুরু, পাত্রপাত্রী, পরিবেশনা যাই হোক- punch লাইনে গিয়ে হাসির একটা ব্যাপার থাকবে সেটাই স্বাভাবিক । কিন্ত এ কৌতুক জন্ম দিল অন্য আরেক কৌতুকের । যে শ্রোতা সেতো হাসলোই, অদ্ভূত ভাবে লক্ষ্য করা গেল দূরের একজন যে কিছু শোনেনি সেও বেঘোরে হাসতে লাগলো । এ দেখে হাসি শুর
…
(১)
ইদানিং মজার একটি বিষয় নিয়ে খুব শোরগোল শুরু হয়েছে দেশের সবক’টি পর্যায় থেকে। বিষয়টি আর কিছু নয়, নাস্তিক্যবাদ। তবে যারা এটিকে নিজেদের মতো করে উদ্দেশ্যমূলক নাড়াচাড়া করছেন, তা যে খুব খারাপ অর্থেই বা লক্ষ্য নিয়ে করছেন এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁদের বক্তব্য-বিবৃতি শুনে মনে হয়, কোন সংক্রামক ব্যাধির মতোই নাস্তিক্যবাদ নামের অতি জঘন্য একটি জিনিসের দ্রুত প্রাদুর্ভাব ঘটে এই দেশ এই জাতি বুঝি রসাতলে ডেবে যাচ্ছে। সত্যি কি তাই ?
অনেক দিন আগের কথা। আমি তখন ক্লাস এইটে। একদিন দেখি আমার এক চাচা ও তার বন্ধু 'লাল-সালু' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদের সংলাপগুলো আওরাচ্ছে আর হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমার ঐ চাচা তখন ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী ছিল। আমার মনে আছে, আমার ঐ চাচা যখন বিএ (ডিগ্রি)র শিক্ষার্থী ছিল, তখন এমনি করেই একদিন সৈয়দ আবুল মনসুর আহমেদের 'হুযুর কেবলা' নিয়ে দারুণভাবে আমোদিত হয়েছিল। কিন্তু আমার সেই চাচা এখন আর মজিদ ব
গ্রীক পুরাণ পড়তে গিয়ে একটা ব্যাপারে শান্তি পেয়েছি এই জেনে যে, শুধু আমরা বাংলাদেশীরাই ইতিহাসের ব্যাপারে গিট্টু লাগাতে ওস্তাদ নই। এই ব্যাপারে আরো বহু ওস্তাদ আছেন। সেই গ্রীক আমলেরই এমন এক ওস্তাদোকা ওস্তাদ হলেন ওভিড। ওভিড গ্রীক পুরাণ রচয়িতাদের মধ্যে সেরাদের কাতারেই পরেন কিন্তু তার কিছু কাহিনী অন্যদের কাহিনীর বিপরীত দাবী জানায়। এই ওভিড একাই মজার এক কাহিনী বর্ণনা করলেন যেখানে পার্সিয়াস সেরিফাসে ফেরার পথ
আমাদের দেশে কি আর কোনওদিন বিপ্লব হতে পারে? যে জাতির একটা স্লোগান থাকে না, তারা কি কোনওদিন বিপ্লব করতে পারে? আমাদের আজকে কোন একক স্লোগান নাই। “রাজাকারের ফাঁসি চাই” এই স্লোগানের নিচেও আমরা বিভক্ত। এই স্লোগানটাও আমাদের জাতীয় স্লোগান হতে পারল না। ‘জয়বাংলা’র পরিণতি বরণ করতে হল একেও। আমার মনে হয়, ৭১ পর্যন্ত যা হবার হয়ে গেছে, এই বাংলাদেশে আর কোনওদিন কোনও বিপ্লব হওয়া সম্ভব নয়। হবেও না।
হঠাৎ ঝড়ে জাহাজ ভোলে দিক
আকাশ মোছে তারার হাতের ছাপ
সাগর ফোঁসে গোখরো সাপের ছাও
ঢেউয়ের মেয়ে খলখলিয়ে হাসে
নাবিক তুমি একলা কোথায় যাও?
সন্ধ্যা আসে আশ্চর্য লাল আর কমলা মেঘের ডানা মেলে, কিন্তু সে রঙ থাকে না, সব রঙ হারিয়ে ধূসর হয়ে যায় মেঘডানা। কী যেন একটা কথা আমার শোনার ছিল কার কাছে? কিছুতেই মনে পড়ে না তার মুখ, তার চোখ, তার নাম। সেই বা কেন বলে নি সেই কথাটা? এমনই এক সন্ধ্যেবেলা ছিল কি সেটা? বলি-বলি করেও যখন সে না বলে চলে গেল?
“মা, কি লিখব বাবাকে?” চার বছরের কনর প্রশ্ন করে আমায়। জবাব দিলাম লিখে দাও “বাবা তোমাকে ভালবাসি”। ওইটুকু ছেলে আমার, সবে লিখতে শিখেছে। কতটা আনন্দেই না লিখে ফেলল বাবাকে লিখা তার প্রথম চিঠি। পরদিন পাঠিয়ে দিলাম ডাকে। কনরের সেই চিঠি তাঁর বাবার হাতে পৌছুলো লন্ডনে, ওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কিছুদিন পড়ে। এরিকই খুলল সেই খামে ভরা চিঠি। কিছু মুহূর্ত পেরুলো নিঃশব্দে, যা কোনদিন ভুলবার নয়।