আমার সকালটা শুরু হলো সজল খালেদের মৃত্যু সংবাদের মাধ্যমে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট চূড়াকে পদানত করে ফিরে আসার পথে মৃত্যু তাকে কেড়ে নিয়েছে।
পরিচিত মানুষের মৃত্যু সংবাদের মতো বিষাক্ত আর কোনো তথ্য নেই।
এভারেস্ট জয়ের পর অবরোহণের পথে সজল খালেদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমি মর্মাহত। আমি নিশ্চিত, আমার মতো আরো বহু মানুষ খবরটিকে প্রথম সাক্ষাতে অবিশ্বাস করেছেন।
ঢাকা শহরে আমার মত হতদরিদ্র মানুষদের নিত্যদিনের চলাফেরায় বাসের বিকল্প নেই। সিএনজি চালকদের ভাবসাব দেখে কিছুটা আঁচ করা যায় আগেকারদিনের রাজাবাদশাদের আচরণ কেমন ছিল। আর রিকশা দ্বারা সব দূরত্ব অতিক্রম্য নয়। অফিস বাসা আসা যাওয়ায় আজকাল অন্য বিকল্প ব্যবস্থা পাচ্ছি না দেখে নতুন করে লাল রঙের বি আর টি সি বাসের শরণাপন্ন হলাম।
বাংলা একটা সিনেমা তে দেখেছিলাম- নিরপরাধ আকজন আসামিকে ছেড়ে দিতে উৎকোচ না পেয়ে পুলিশ অফিসার নিজের পিঠ চুলকে নিয়েছিলেন আসামিকে দিয়ে। যাইহোক বাংলা সিনেমার গল্প আজ থাক। বরং গতরাতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা বলি। গতকাল আমার ছোট ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম উত্তরা তার হোমিও ঔষধ আনতে। ডাক্তারের সাথে দেখা করে ঔষধ নিলাম। রওয়ানা দিলাম গরিবের প্রাইভেট কার (সিএনজি) নিয়ে। চালক বললেন, "মামা মিরপুর যাইবেন তো, বেড়িবাঁধ দিয়া যাই।