মাথাভর্তি যন্ত্রণা। সারাদেশে একের পর এক দুর্ঘটনা। নির্মম মৃত্যু। হাহাকার। সাভার ট্র্যাজেডি কাঁপিয়ে দেয় ভেতরটা। আজকাল নিজের মুখোমুখি হতে ভয় হয়। আয়নার নিজের চেহারাটা দেখে অপরাধ বোধ হয়। কেন বেঁচে আছি, এই মৃত্যুপুরীতে! এ এক ট্রমাটিক পিরিয়ড। পত্রিকা, টিভি, ব্লগ, ফেসবুকে রাতদিন মুখোমুখি বসে থাকি দুঃসময় আর অসহায়ত্বের হাত ধরে। মুক্তি নেই!
বন্দী হয়ে আছি কতদিন; চারদেয়াল নয়, হাজার হাজার দেয়ালে বন্দী! ভাবলাম, আজ অন্তত ঘরের দেয়ালটা ছেড়ে কোথাও যাবোই। বাইরে ঝাঁ-ঝাঁ রোদ। মধ্য বৈশাখের দুপুরটা তেঁতিয়ে উঠেছে তীব্রভাবেই।
রিকশায় চেপে লালদীঘি। গন্তব্য জব্বারের বলীখেলা।
ক্ষুব্ধ কলম থেকে যে সমস্ত শব্দের উত্থান
ওগুলো কবিতা নয়, ক্ষোভ নয়--
যন্ত্রণার ইতিহাস যতটা কলমে থাকে
তার থেকে অধিক্ষণ থেকে যায়
স্পর্ধিত ঝড়ের লজ্জ্বায়।
ওগুলো যন্ত্রণাও নয়, তাই বলি
আমার অতীত থেকে যতকিছু গুল্ম-বৃক্ষচয়
সমূলে সামনে আসে; তার সাথে
মৃত মানুষের সহবাস
শ্যাওলায় মুখ ঘষে
উঠে আসে যেই সরিসৃপ
উঠে আসে গুপ্তঘাত, পরিতৃপ্ত যত পূর্বাপর
তাকে তুমি নিজের পায়ের পাতা থেকে
গতকাল (মে ০২, ২০১৩) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন CNN-এর ক্রিশ্চিয়ান আমানপুর-কে। সাক্ষাৎকারের বিষয় ছিলো সম্প্রতি সাভারের ভবন ধ্বস। সাক্ষাৎকারটি প্রচার হওয়ার পর থেকে খুব স্পষ্ট বিভাজন দেখতে পাচ্ছি প্রতিক্রিয়ায়। দলীয় আনুগত্যে অন্ধ এই প্রতিক্রিয়াগুলোর ভিড়ে আমার নিজের কিছু প্রশ্ন রেখে যাওয়ার জন্য এই পোস্ট। কিছু প্রশ্নের জবাব আমার জানা নেই, কেউ সেই বিষয়ে আলোকপাত করতে পারলে আগাম ধন্যবাদ রইলো।