সপ্তাহখানেক আগের কথা। একটি ইমেইল এসেছে। মার্কিন দুতাবাস থেকে। ঢাকায় আসছেন ওয়েন্ডি আর শারম্যান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি। তিনি বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ওপর একটি বক্তৃতা দিবেন। ২৭ মে সোমবার রূপসী বাংলা হোটেলের উইন্টার গার্ডেনে সেই বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। বক্তৃতার শিরোনাম: এক সীমাহীন অংশীদারিত্ব: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক। সেই অনুষ্ঠানে আমার দাওয়াত। তাও আবার ব্
আমার গোল্ডফিশ মেমরি। মানুষের নাম চেহারা মনে থাকে না। দেখা যায় চেহারা দেখে চিনেছি কিন্তু কিছুতেই নাম মনে আসছেনা। কার সাথে কোথায় পরিচয় সেটাও মনে করতে পারিনা। দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে টাইপ কিছু হলে লজ্জায় পড়ে যাই, ডাকবো কিভাবে, নামই তো মনে নাই! আর যেখানে যার সাথে পরিচয় তার বাইরে অন্য কোনও পরিস্থিতিতে দেখা হলে আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনাকে আমি চিনতে পারবো না। কখনও পারিনাই, দুই একজন স্পেশাল কেইস ছাড়া মনে হয় কখনই পারবো না।
২৫ মে কি শনিবার ছিল?
জানিনা কী লিখবো; ভয়ানক কষ্ট হচ্ছে আসলে। একজন দীর্ঘদেহী প্রানবন্ত মানুষের হাসপাতালে জীবন্মৃত্যর সন্ধিক্ষণে শুয়ে থাকার দৃশ্যটা চোখের সামনে সব ঝাপসা করে দিচ্ছে বার বার!
সচলদের মধ্যে আমার ব্যক্তিগত আলাপ সবার আগে সিমনের সাথে। ফেইসবুকে এড করেছিল। ২০০৯ এর দিকে প্রথম ব্লগ চিনি আমি।
[justify]বাবাইর তখন তিন বছর। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি। ২ অথবা ৩ তারিখ হবে। শুদ্ধস্বর-এ বসে আমরা আড্ডা দিলাম। তারপর জ্যোতি, তারেক, আমি, তুলি, টুটুলভাইসহ কয়েকজন একসাথে বই মেলার পথ ধরলাম। আজীজ মার্কেট এর সোজা উল্টাদিকে রাস্তা পার হয়ে যাদুঘরের পাশের ফুটপাথে উঠতেই দেখি মন্থর গতিতে হাঁটছে, দেখে খুশি হবার বদলে আমার মুখটা শুকিয়ে গেলো। কারণ ঢাকায় যাবার কথা জানানো হয়নি। তার উপর সাথে বাবাইকে নিয়ে গেছি।
সিমন একদিন অফিস ফাঁকী দিয়ে শাহবাগে মিছিল করছিলো, যতদূর মনে পড়ে টিভি ফুটেজে সেটা দেখে তার অফিস তাকে তিনদিনের একটা শাস্তি দিয়েছিলো। তিনদিন তার অফিসে যাইতে হয় নাই। সেই তিনদিন সে প্রায় পুরোটা সময় শাহবাগ আন্দোলনে ছিলো। (তখন তার অফিসকে গালি দিলেও সিমনের সড়ক দুর্ঘটনার পর তার অফিস যেভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে... তা অকল্পনীয়। সিমনের অফিস কর্তৃপক্ষকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি)
সিমন এর ফোনটা পাই কালকে সন্ধে সোয়া আটটায়, স্ক্রীনে ওর নাম আর ছবি ভেসে উঠেছিলো, কিন্তু হ্যালো বলার সাথে সাথে অপরিচিত কে যেনো হড়বড় করে বলতে থাকে, এই নাম্বার যার তাকে কি আপনে চিনেন? আপনার কে হয়? বললাম, আমার ভাই হয়। ক্যান কি হইছে? লোকটা জিজ্ঞেস করে- আপন ভাই? বললাম- হ্যা আপন ভাই। কি হইছে বলেন। -
একটা অ্যাম্বুলেন্স নিয়া কারওয়ান বাজার চলে আসেন। তাড়াতাড়ি।
২৭ মার্চ, ১৯৭১
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ
সম্পাদকীয়
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলমান রাষ্ট্র পাকিস্তান নিয়ে অনেকদিন ধরে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা আজ বাস্তবে পরিণত হল; পাকিস্তানের দু’অংশ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
[justify]ছেলেটির নাম সান্তিয়াগো। ভেড়ার পাল নিয়ে যখন সে পরিত্যক্ত গীর্জার কাছে পৌঁছালো তখন গোধূলীর আবছায়া নেমে এসেছে চরাচরে। কালের আঁচড়ে জীর্ণ গীর্জার ছাদ ধ্বসে পড়েছে অনেক আগেই। এককালে যেখানে তোষাখানা ছিল, এখন সেখানে সগর্বে মাথা ঊঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সুবিশাল সাইক্যামোর গাছ।
[justify]রুমটায় খুব অস্বস্তি হচ্ছে আমার। যেন এখানে কিছু একটা অশুভ ব্যাপার আছে, যেন কেউ এ রুমটাকে কোন এক অভিশাপ দিয়ে গেছে। গা গুলানো একটা ভাপসা গরম এখানে, যেন এক টুকরো নরক। ছাড়াছাড়াভাবে কিছু স্মৃতি মনে পড়ল আমার। গত কদিন ধরে নতুন ধরনের এক হতাশায় ভুগছি আমি। জীবনের অর্থ, বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা, মহাবিশ্বের অপার বিশালতা- এসব বড় বড় ব্যাপার নিয়ে ভাবার চেষ্টা করছিলাম আমি। এক সময় বুঝতে পারলাম য