[justify]সাতচল্লিশে দেশভাগের ঠিক এক বছর পর সবার মুখ উজ্জ্বল করে এই ধরায় এসেছিল জহির। তার চাচা, মামাদের পরিবারের মধ্যে সেই ছিল বংশের প্রথম এবং সবার বড় সন্তান। যদিও জহিরের বাবা বিশা শেখ ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের ঘোরতর কর্মী কিন্তু নিজ ভিটেমাটির টানে তিনি থেকে গিয়েছিলেন এই আসাম রাজ্যে। দেশভাগের পর যখন মাওলানা ভাসানী চলে গেলেন পূর্ব পাকিস্তানে তখন তাঁর অনুসারী অনেকেই দেশত্যাগ করলেও জহিরের বাবা তাদের ক
আমাদের প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পূব পাশে আকাশী রঙের যে বিল্ডিংটা দুপাশের অন্যান্য হেঁজিপেঁজি দোকানপাটের মাঝখানে একলা একা দাঁড়িয়ে আছে, যাতে সারাটা সকাল বোরিং ক্লাশের পর ভীষণ ক্লান্ত হয়ে সারি সারি বইয়ের আলমারীর মাঝে মুখ লুকাতাম,- দ্বিতীয় শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার পর ১০ টাকা ফি দিয়ে ঐ পাঠাগারে ভর্তি হবার পর থেকেই যে সাহিত্যের প্রতি আমার ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে তা কিন্ত নয়। কিংবা, কবে কখন কীভাবে সাহিত্যের প্র
চল্লিশ বছর হয়ে গেল তবু কিছু লোক এখনও একাত্তরে যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে খোঁচাখুঁচি চালিয়ে যায়। এইসব নাস্তিক-ইসলামবিরোধী-আওয়ামীলীগার-ভারতের দালাল এখনও প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছে যে তাদের ‘মুক্তিযুদ্ধে’ নাকি তাদের তিরিশ লাখ লোক মারা গেছিল। একথা যে সর্বৈব মিথ্যা, তা এটা স্মরণ করলেই বোঝা যাবে – প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বলেছিলেন, “Kill 3 million of them and the rest will eat out of our hands” – তাই বাংলাদেশ যে স্বাধীন হয়ে যেতে পেরেছিল, এটাই যথেষ্ট প্রমাণ যে দয়ালু পাকিস্তানি সেনারা তাদের তিন মিলিয়ন ছুডুভাইকে আসলে মেরে উঠতে পারেনি।
তবুও ব্যাটারা থামে না, তাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার চালিয়েই যায়। তাদেরকে ডাউন দেবার জন্য কিছু কট্টর প্রমাণওয়ালা বিপরীত প্রোপাগাণ্ডার দরকার পড়েছে। এক শ্রদ্ধেয় বড়ভাই আমাকে বোসম্যাডামের বইটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এর চেয়ে নিরপেক্ষ, বাস্তবনিষ্ঠ অনুসন্ধানপূর্ণ বই আজকাল পাওয়াই অসম্ভব, এবং এটা অকাট্যভাবে আমাদের কথা প্রমাণ করে দিয়েছে; আমি যেন এটা নিয়ে কিছু লিখি যাতে ঈমানদার ভাইবোনেরা ব্যাপকহারে শেয়ার দিতে পারেন।
-তোমাকে তো আজকাল পাওয়াই যায় না। ফোন ত করোই না আমি করলেও ধরনা। মোবাইল বাজতেই থাকে। কি করছ আজকাল?
-ক্লাস থাকে। সামনে পরীক্ষা...তার মধ্যে চলছে শাহবাগ...এই জন্যেই আরকি।
-শাহবাগে যাও তুমি?
-যাই তো। না গেলে কি ভাবে হবে? যুদ্ধপোরাধীদের পার পেয়ে যেতে দেয়া যাবে না।
এই হল আমার মেডিকেলে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের অবস্থা। সে রাজাকারের বিচারের দাবীতে শাহবাগ যায়। স্লোগান দেয়।
ওর আরেকটা পরিচয় ছোট্ট করে বলে রাখি.....ও একজন কোরআন এ হাফেয। সমস্ত কোরআন শরীফ বুকে ধারণ করেই সে শাহবাগে যায় এবং "ফাঁসি চাই" বলে স্লোগান দেয়।
-শাহবাগে নাকি অনেক আজেবাজে কিছু হয় আর মানুষ নাকি শব ফটোশপে বসানো?
-কে বলল উল্টাপাল্টা?
-ফেসবুকে দেখি আর আমার দেশের মাহমুদুর রহমানের টেলিফোনের লিক হওয়া কথায় জানলাম।
-আমি তো অতসব জানিনা। যতটুকই সময় পাই শাহবাগে যেয়ে স্লোগান দিয়ে আসি। আমি তো ওখানে লাখ লাখ মানুষ দেখি মহাসমাবেশে। ফেসবুক দেখার সময় ও পাইনা।
কোন আন্দোলন আপনাকে বেকায়দায় ফেলেছে? কোন ভাবেই আর সেই আন্দোলন সামাল দিতে পারছেন না? চিন্তা নেই, আন্দোলন মোকাবেলা না করতে পারলেও আপনার গা বাঁচানোর জন্য আছে বিকল্প ব্যবস্থা। আন্দোলনে বিভ্রান্তি তৈরি করুন। বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য অনুসরণ করুন এই সহজ ৪-দফা ফর্মুলা। এই ফর্মুলার কার্যকারিতার ব্যাপারে আমরা ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে থাকি। অতীতে এই ফর্মুলা আপনার বাপ-দাদারা বারবার কাজে লাগিয়েছে। আপনিও পারবেন।
ভ্যাংকুভারে আসার পর এখানের এক একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে যেয়েই প্রথম জানতে পারি যে রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম নামে নতুন প্রজন্মের যে দুইজন ভাষা সৈনিকের প্রশংসনীয় উদ্যোগে আমাদের 'শহীদ দিবস' 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তারা এখন এখানেই থাকেন। তখন থেকেই ব্লগের জন্য তাদের সাক্ষাৎকার নেয়ার একটি সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। মুস্তাফিজ ভাইরা ভ্যাংকুভারে চলে আসার পর আমাদের নানা ফর্মে
শাহবাগের গণজাগরণের হলদে সাংবাদিকতার ঝান্ডাধারি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবির ২৫০ শিক্ষক এক বিবৃতি দিয়েছেন বলে দৈনিক সংগ্রামে এক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকায় বিবৃতি আসে বিবৃতি যায়। অনেক সময় মূল কথা সেখানে থাকে না বা থাকলেও জায়গার সীমাবদ্ধতার কারণে বিবৃতির অনেক লেখা প্রকাশিত হয় না। তো ঢাবির আড়াইশো' শিক্ষক যেহেতু কোন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সেহেতু আমার আগ্রহ ছিলো কোন সে আড়াইশো' শিক্ষক যারা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং তারা ঠিক কী বলেছেন। ফেইসবুকে হদিস জানাতেই এক সৃহৃদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি মেইল করে দিলেন।
১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের সবচে’ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গর্বিত হবার কথা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিভিন্ন বর্ণনাকারীর বর্ণনায় সামান্য হেরফের হলেও তাদের মূল সুর এক হবার কথা। কারণ, মূল সত্যটি হচ্ছে সামান্য ব্যতিক্রম ব্যতীত এই ভূখণ্ডের সব মানুষের পাকিস্তানী শাসন, শোষন, আক্রমণ, জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সাহস ভরে সন্মূখ সমরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। সেই বিজয় ত্রিশ লক্ষ প্রাণের মূল্যে অর্জিত হয়েছে। কোটি কোটি মানুষকে সহ্য করতে হয়েছে শারিরীক-মানসিক অত্যাচার, চার লক্ষ নারীকে হতে হয়েছে ধর্ষণের শিকার। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, স্থাপণা ধ্বংস হয়েছে অগণিত। এসবের সাক্ষী বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ।
কোনোদিন ভেবেছেন কি সারাদেশব্যাপী জামাতের এই সন্ত্রাস চালানোর ক্ষমতার উৎস কী? মাল্টি মিলিয়ান ডলারের এই লবিং ফার্ম কীভাবে নিয়োগ করতে পারে জামাত? শর্মিলা বসু, টোবি ক্যাডম্যান, ডেভিড বার্গম্যানের মতো বিদেশিদের পাশাপাশি কীভাবে কাদের সিদ্দিকী, পিয়াস করিম, ফরহাদ মজহার, আসিফ নজরুলের মতো দেশীয় দালালদের হাতে রাখে জামাত?
সরকার শাহবাগের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে অনেক আগেই; সরকারের অনেক কর্তাব্যাক্তি এবং সরকারদলীয় অনেক উচ্চপদস্থ নেতা নিয়মিতই শাহবাগে আসছেন একাত্মতা প্রকাশ করতে। এগুলো খুবই পজিটিভ দিক। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অনেকেই উত্থাপন করছেন। সেটা হল সরকার কি তার রুটিন সরকারী দায়িত্বগুলো পালন করছে বিগত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারগুলো নিয়ে?