বেশ কদিন ধরেই খবরের কাগজে দেয়া বইয়ের বিজ্ঞাপনগুলো রোদেলার চোখের ঘুম কেড়ে নিচ্ছিল। গতবার মনের সাধ মিটিয়ে বই কেনা হয়নি ওর। বাপরে বাপ, কী ভিড় স্টলগুলোর সামনে!
গত ০৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলে আসা শাহবাগের আন্দোলনের কারণে আজ যুদ্ধাপরাধী , জামাত শিবির, রাজাকার এই শব্দগুলো আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের মনের শব্দকোষে একটি ঘৃণ্য জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমার ঘরের মাত্র আড়াই বছরের শিশুটিও মাঝে মাঝেই বলে উঠছে রাজাকারের আস্তানা জালিয়ে দাও গুড়িয়ে দাও। এই ছোট্ট শিশুটির মনে আজকে যেই ঘৃণা যেই ক্ষোভ তাও এই শাহবাগ আন্দোলনের একটি বড় অর্জন। আমার বিশ্বাস আমার ছেলের মত আজ প্রতিটি ঘ
"দেশ, কাল ও শান্তির কথা ভেবে রয়েছি আমরা নীরব
যখন নীরবতা ওরা দুর্বলতা ভাবে রক্ত করে টগবগ"
রক্ত ফুটছে... সকাল থেকে এই খবরগুলো দেখে...
গভীর রাতে গ্রামের বাড়ির কাঠের জানলায় ছন্দ করে দুবার টোকা দেবার খটখট শব্দ। রিনা ঘুমনোর জন্য কেবলই শুয়েছিল। কিন্তু, এই শব্দ তার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। সে বিচলিত হয়ে তারাতারি উঠে পড়ল। জানালা খুলল। নিঝুম অন্ধকারে চারিদিকে ঝি ঝি পোকার শব্দ।
রিনা, কেমন আছো ?
ভাল। এতরাতে তুমি ? ভিতরে আসো।
না। আসতে পারব না। তোমার কথা মনে পড়ল। তাই তোমাকে দেখতে আসলাম। বাবু কি করে ?
এ সাহস, স্পর্ধা ছাগুগুলা পায় কৈ?
এই দেশে আজও তারা করে এত হৈ চৈ!
আমরা কি বলহারা না কি কারো শির নাই
না কি ছাগু বধিবার হাতে কোন তীর নাই!
টিকে আছে আদর্শ পায়ে দলে দেশটির
নাগাল না পাও তবু চর্ম বা কেশটির!
এইবার করো দয়া হর তার দর্প
না পারলে জনতার হাতে ভার অর্প।
মানুষের চেয়ে দেশে ছাগুরা কি কম নয়?
তবে কেন ভয় এত? ওরা ছাগু, যম নয়।
সকলেই মার খায়, রাজা তুমি চেয়ে রও!
জুমার খোতবায় ইমাম সাহেবকে বলতে শুনলাম, "যারা নবীকে অপমান করে ব্লগ লিখেছে তাদের কঠিন গুনাহ হবে। যারা এসব পড়বে তারা গুনাহগার হবে, যারা প্রচার করবে তারাও গুনাহগার হবে। যারা ইতিমধ্যে পড়েছেন তারা তওবা করুন, যারা পড়েননি, তারা ভুলেও পড়বেন না"।( বাস্তবতা হলো যে নাস্তিক ব্লগ হয়তো ১০০ জনও পড়েনি আগে, জামাত শিবির আমারদেশ ইনকিলাবের সৌজন্যে সেই ব্লগ পড়া হয়ে গেল কয়েক লক্ষ মানুষের। এতগুলো মুসলমানের গুনাহের দায়িত্
একটা বই কিছু অংশ পাঠ আর পডকাস্ট শুনে নতুন কিছু জানলাম, যা অন্যদের কাছে পুরাতন হতে পারে।
(কারন বইটির চলিশ লক্ষাধিক কপি বিক্রয় হয়েছে, ইদানিং বাংলা অনুবাদও বের হয়েছে শুনলাম)
শ্রদ্ধেয় শহীদ, তারিখ: ২০ ফেব্রুয়ারী’১৩
আসাম রাজ্যের সর্বপশ্চিমের মহুকুমা সদর এই ধুবড়ি। ধুবড়ি এলাকার দক্ষিণ পাশ নদীবিধৌত সমতল এলাকা, উত্তর ও পূর্ব এলাকা পাহাড়ি অসমতল। দেশ বিভাগের পর জহিরদের বাড়ি বগড়িবাড়ি এলাকাটি পড়ে গোয়ালপাড়া জেলার ধুবড়ি মহুকুমা এবং বিলাসীপাড়া থানার অধীনে। পরে অবশ্য এই ধুবড়িকে জেলা ও বগড়িবাড়ির নিকটবর্তী 'মহামায়া'কে থানা ঘোষণা করা হয় এবং বগড়িবাড়িকে এর অধীন করে নেয়া হয়। বাঙালি মুসলমানদের জনপ্রিয় নেতা মওলানা ভাসানী ধুবড়ির
পৃষ্ঠা ওল্টাচ্ছে, বাতাস বদলানোর দিনের নিরিখে
টের পাই বদলাচ্ছে লোডশেডিংয়ের রাত
জোয়ার-ভাটার প্রহর গণনা, বীজ-বোনা তিথির তারিখ
কাপড় পাল্টাই, চিরুনীর ফলা চাষ করে নতুন ফ্যাশন
কাঁপে বটের শেকড় কনকনে শীতের কুয়াশা
দ্রুত ধূলি ঝড়ে চাপা পড়ে যাচ্ছে সব দিনলিপি
আমাদের দাঁড়ভাঙা নাওয়ের পরিণতি, এদিকে
পাড়ার শিশুরা বড় হচ্ছে লাল নীল বেলুনের দিনে
অলি গলি তোলপাড় করে বখাটে হাওয়া, লক্ষ করি