সচলায়তনে টাইমলাইন নামক একটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। শাহবাগ আন্দোলন, জামাতী কদর্য্য ইতিহাস ইত্যাদি ঐতিহাসিক ঘটনাবলী একটা সময়রেখায় ধরে রাখা যাবে এই ফিচারটি ব্যবহার করে। এরকম এইট সময়রেখা তৈরী করতে চাইলে আমাদের সাথে এই পোস্টে অথবা contact এট সচলায়তন.কম বরাবর ইমেইল করে জানালে আমরা আপনাকে সহায়তা করবো।
প্রাচীনকালে নাকি আঙ্গুলে ব্যাথা হলে গোটা হাতই কেটে ফেলা হতো। আর এই সেদিনও একটা দুষ্টু লিঙ্কের জন্য গোটা ফেসবুক ব্লক করা হতো। সম্প্রতি ইউটিউবের জন্যে একই ধরণের চিকিতসা নেওয়া হয়েছে। তবে আজকে একটা খবর পড়ে একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। সরকার এখন গোটা হাত না কেটে গ্যাংগ্রীন আক্রান্ত আঙ্গুল্টাই কাটতে পারছে। এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এটা করাই সমিচীন। ইন্টারনেট অতি সামান্য কিছু মানুষের কাছে দুষ্টুমির উপকরণ হলেও এর ব্যবহার গোটা বিশ্বের কাছে যোগাযোগের এবং তথ্যপ্রবাহের দিগন্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অকল্যাণকর বা দুষ্টুমিতে এর এক ট্রিলিয়ন ভাগের এক ভাগও বোধকরি ব্যবহার হয়না।
রাজীবের গলা চিরে ভেবেছিস হবে রোধ
জনতার জাগরণ? তোরা বড় নির্বোধ!
সহযোদ্ধারা তার জেগে রাত কাটাবেই
"ফাঁসি চাই" চিৎকারে কন্ঠটা ফাটাবেই।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা অপূর্ব গানটিকে প্রতি বছর কত মধুর করে গাই আমরা, খালি পায়ে প্রভাত ফেরীতে পুষ্পমাল্য নিয়ে শহীদ মিনারে যাই, সারা পৃথিবীতে এক একটা অঙ্গনে রাতারাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় আমাদের প্রতীক শহীদ মিনার, কিন্তু আমাদেরই দেশে আমাদেরই ভাইদের মুখের ভাষা ক্রমশ যেন পায়ের নিচে মাটি হারায়।
আমরা একুশে ফেব্রুয়ারির সন্তান, আমরা কি তা হতে দিতে পারি?
সবার আগে যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে মানুষকে সতর্ক করা। আমি যেহেতু দেশে থাকিনা, তাই আমার স্পষ্ট জানা নেই আমাদের দেশের মানুষ এই ভাইরাসটির সংক্রমণ বিষয়ে কতটা সচেতন। পর্যাপ্ত সচেতন নয় বলেই জেনেছি। সেরকম হলে, সচেতন করা প্রয়োজন। দূর্ভাগ্যবশত এই লেখাটি গ্রামের সেইসব মানুষের কাছে পৌঁছবে না যাঁরা সরাসরি নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। কিন্তু আমি জানি, আপনারা যাঁরাই এই লেখাটি পড়ছেন সবাই কোন না কোনভাবে গ্রামের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। আমি নিজে যা করেছি, সেটি আপনাদেরকেও অনুরোধ করি। গ্রামে স্বজনরা যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরকে আজকেই একটি ফোন করে সতর্ক করুন। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন নিপাহ ভাইরাস কী এবং এটা কীভাবে ছড়ায়। তাঁদেরকে জানিয়ে দিন কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে। স্বজনদের প্রতি এটুকু দায়বদ্ধতা বোধহয় আমাদের থাকা উচিত।
সারাদিনের পরিশ্রমের ফল এই বর্ণানুক্রমিক তালিকা। ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত জামায়াতে ইসলামী গত ৪১ বছরে বাংলাদেশে একটি অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হযেছে। দলটির এই অর্থনৈতিক মহাদানবটিই এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জামায়াতে ইসলামীর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রতিষ্ঠানের তালিকাটি সবার জানার স্বার্থে সংকলন করলাম।
ঢাকা সময় আজ সকালে একটা অনিচ্ছাকৃত বাগের কারণে মন্তব্যগুলো প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু মন্তব্যের কাউন্টার দেখাচ্ছে বেশী। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত। সমস্যাটি সমাধাণ করা হয়েছে।
[justify]যেদিন নরপশু রাজাকার কাদের মোল্লার বিচারের রায় হল সেদিন সেই ৫ই ফেব্রুয়ারি ছিল আমার অসম্ভব ব্যাস্ততার দিন। খুব সকালেই কর্মস্থলে প্রবেশ, ইন্টারনেট তো অনেক পরের কথা মোবাইল ব্যাবহার করার সুযোগটাও পাইনি। রায় জানতে পারিনি দুপুর পর্যন্ত, কিন্তু রায় নিয়ে মনে কোন সন্দেহ ছিলনা। সাময়িক কাজের বিরতিতে যখন- একজনকে কেন মাত্র একবারই ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো যায়, একথা ভাবছিলাম তখনি এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া ফোনে বিরাট ধাক্কা। এটা কিভাবে সম্ভব, কাদের হারামিটার ফাঁসি হয় নাই ???
শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরে গড়ে ওঠা আন্দোলন আমাদের গোটা জাতিকে একটি ক্রান্তিকালীন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে! আজকে সময় এসেছে আত্ম-উপলব্ধির, সময় এসেছে আত্ম-সমালোচনার, সেই সাথে শত্রু মিত্র-কে বোঝার – যা আমাদেরকে ভবিষ্যতের পথনির্দেশনা প্রদান করবে।
দার্শনিক ফুরিয়ের প্রগতির সম্ভাবনায় এতটাই আপ্লুত ছিলেন যে, ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন, মানুষ একদিন স্বীয় ক্ষমতাবলে সমুদ্রকে পরিণত করবে লেবুর শরবতে, যখন পৃথিবীতে হোমারের মত কবি থাকবে তিন কোটি সত্তর লাখ, নিউটনের মত বিজ্ঞানী থাকবে তিন কোটি সত্তর লাখ, মলিয়ের মত নাট্যকার তিন কোটি সত্তর লাখ। ফুরিয়েরের ভবিষ্যতবাণীতে অতিশয়োক্তি রয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে রয়েছে স্বপ্ন, যার দৌলতে প্রগতির পথে পা বাড়াতে পারে চিরকালের