ক
[justify]১.
এখন আর অপেক্ষা নয়, সময় এসেছে নিজেদের অবস্থান সারাবিশ্বকে উচ্চ কণ্ঠে জানিয়ে দেবার। সেই লক্ষ্যেই তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে, একত্রিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবীতে শাহবাগ তথা প্রজন্ম চত্বরে। একজন নয়, দুইজন নয়, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মানুষ মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের দাবীতে সোচ্চার। এই আন্দোলন যে কেবল শাহবাগে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে-বিদেশেও
শাহবাগ বাসস্ট্যান্ডের একটু সামনের দিকেই যেই পেট্রোল পাম্পটা, আনিস প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে সেইখানে দাঁড়ানো। চেহারায় বিরক্তি এবং উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। এমনিতেই বাসা থেকে বের হতে দেরি হয়ে গেছে, তারউপর একটাও ক্যাব পাওয়া যাচ্ছেনা।
মাঠের চিপায় লম্বা দুইটা ঘাস ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে আছে কিছুক্ষণ ধরে। লক্ষণ সুবিধার না। দুইটা ঘাসের মধ্যে একটা একটু বেশী লম্বা আরেকটা লম্বায় কম। তবে আশপাশের আমঘাসের তুলনায় তাদের উচ্চতা চোখে লাগে ঠিকই।
একটু বেশী লম্বা ঘাসের বয়স বেশী। সে ঘাড় ঘুরায় একটু কম লম্বা ঘাসকে বলল, ঘটনা ঘটতে পারে আজকে।
জনতার সংগ্রাম চলবে--
রাজাকারের দিন এইবার শেষ
শাহবাগের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আপামর বাঙালী ভাই-বোন।
সেই একাত্মতার সাথে আমার নিজের সামান্য কিছু যোগ দিতে নিয়ে এলাম
আমাদের আকতার ভাই আর মৃদুল ভাইয়ের কিছু অগ্নিঝরা ছড়া আবৃত্তির চেষ্টা করেছি এইখানে।
আপনাদের ভাল লাগলে এইগুলো ছড়িয়ে দিন সকলের কাছে, সকলের মাঝে
ভোরের আর বেশি দেরী নেই---
জয় বাংলা
(ব্যক্তিগত বমি-বিষয়ক আলোচনা এবং সাইদীর ছেলেকে পুলিশে ধরার আলোচনার পর থেকে)
একাত্তরের খুনী-ধর্ষক জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে শাহবাগে ফুঁসে ওঠা বিক্ষুব্ধ জনতার শপথ ছিলো, জামাতি পণ্য ও প্রতিষ্ঠান বর্জন।
আর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ ইসলামী ব্যাঙ্কে নিজেদের হিসাব বন্ধ করেছেন বাগেরহাটের ইলিয়াস ভাই ও পিয়ারা আপা।
বেতারায়তন এই দুই সাহসী পথপ্রদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছে, তাঁরা কী ভাবছেন এ ব্যাপারে।
আসুন শ্রোতাবৃন্দ, শুনে দেখি।
তোমারা যারা শিবির কর লিখে ডক্টর জাফর ইকবাল ব্যাপক নন্দিত নিন্দিত হয়েছেন। শিবির কি জিনিস সেটা এতদিনে ডক্টর জাফর ইকবালের ভালো করেই জেনে যাবার কথা। সুতরাং তোমার যারা শিবির কর বলে সুন্দর কিছু কথা বলা মাত্র শিবিরের দুষ্টু ছেলেরা আমার সোনার পূর্ব পাকিস্তান আমি তোমায় ভালোবাসি গাইতে গাইতে লাইনে চলে আসবে, এটা কষ্ট কল্পনা। যাইহোক, কিছু অন্যরকমের মানুষ তবুও ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়, উলুবনে মুক্তো ছড়ায়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরে ভয়াবহ নির্যাতন চলে, অসংখ্য তাজা প্রান ঝরে যায়, জোহা হলকে বানানো হয় টর্চার সেল, অনেক নারী সম্ভ্রম হারান, এতই নির্যাতন চলে যে অনেকের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি কিংবা লাশ পেলেও চিনে নেয়া সম্ভব হয়নি, জোহা হলের পেছনে পাওয়া গেছে দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ বধ্যভূমি। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পিশাচ শিক্ষক এই নির্যাতনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অনেক স্বাধীনতাকামী, প্রগতি