[justify]
শাহবাগ এসে রিকশা আটকে গেলো। সামনে অবরোধ করেছে একদল তরুণ। রাস্তা ঘিরে ওরা গোল হয়ে বসে আছে। গান গাইছে। কোন ভাঙচুর নেই, ধ্বংস নেই। ক্ষোভ আছে, বিহবলতা আছে।
ঈশ্বর জলদগম্ভীর স্বরে বলিলেন, কাবিল, তোমার বিরুদ্ধে ভাতৃহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হইয়াছে। গত শতকে যৌবনকালে তুমি তোমার সহোদর হাবিলকে চাপাতি দ্বারা কোপাইয়া হত্যা করিয়াছিলে।
বৃদ্ধ কাবিল মিটিমিটি হাসিল শুধু।
ঈশ্বর কহিলেন, হাবিলকে হত্যা করিয়া তুমি তাহার বাটী গমনপূর্বক তাহার স্ত্রীকে ধর্ষণ করিয়াছিলে, এই অভিযোগও প্রমাণিত।
বৃদ্ধ কাবিল পরম তৃপ্তিতে চক্ষু মুদিল।
বাংলার মাটিতে যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে চান, তাদের জন্য আজ এক বিশেষ খুশির দিন। জামায়াতে ইসলামীর এক উচ্চপদস্থ নেতা কাদের মোল্লার ৭১এর অপরাধ আজ আদালতে প্রমাণিত। আইসিটির রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু ফাঁসির রায় না হওয়ায় আমাদের অনেকেই বিক্ষুব্ধ ও হতাশ। সেই হতাশা থেকে কি আমাদের আজকের দিনের বিশাল অর্জনকে কিছুটা হলেও আমরা ভুলতে বসেছি?
মধ্য বয়সে এসে এমন একটা ক্যাচালে জড়িয়ে পড়বেন স্বপ্নেও ভাবেননি খবিরউদ্দিন। বিশ বছর ধরে সরকারী চাকুরী করে যা কামিয়েছিলেন তা দিয়ে শহরে দুইটা বাড়ি তৈরী করে বউ বাচ্চা নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন। আরো দশ বছর এই চাকরীতে আরাম করে কাটানো যাবে।
ওরা বলে, রাতগুলো সে শুধু কেঁদে পার করে দেয়। ওরা বলে, সে খায় না কিছুই, কিছুই মুখে রোচে না তার। ওরা কিরে কেটে বলে আকাশও কাঁপছিলো তার কান্নার দমকে। ভুগছিলো সে ওর জন্যে, আর মরতে মরতেও গাইছিলো, আয় আয় আয় আয় আয়। ডুকরে ডাকছিলো সে, আয় আয় আয় আয় আয়। গাইছিলো সে, আয় আয় আয় আয় আয়। এমনই মরণ অনুরাগে মরছিলো সে। একটা বিষণ্ন ঘুঘু এসে খুব ভোরে শুন্য বাড়িতে গান গায়, যার ছোট্ট দরজাগুলো বিরাট করে খোলা।
বাংলা ব্লগের উন্মেষলগ্নের ব্লগারদের একজন অমি রহমান পিয়াল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘদিন নিয়মিত গবেষণা করে যাচ্ছেন তিনি। এ গবেষণার আধেয় পোস্ট আকারে ব্লগে তুলে ধরলেও গ্রন্থ রচনায় মনোযোগী ছিলেন না তিনি। এ বইমেলায় তাঁর দুটি বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। দুটি বই ও দেশের সাম্প্রতিক কিছু প্রসঙ্গ নিয়ে বই-দেশিকের পক্ষ থেকে তিন সচল জিএমতানিম, স্যাম ও হিমু তার সঙ্গে খানিক আড্ডায় বসেছিলেন।