তৈরি হয়েই ছিল মিঁয়াও- পেছনের দুপায়ে দাঁড়িয়ে, সামনের দু’পা দিয়ে উপরের ঢাকনাটা একটু পর পর আঁচড়ে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি উপরের দিকে তাকিয়ে প্রথমে একটু নরম করে “মিঁ-ই-ই-ইয়াঁও!” এরপর অস্থিরতা একটু বাড়িয়ে “মিঁ-ই-ই-য়া-য়া-য়া-ও!” আর সবশেষে “ম্যাঁও! ম্যাঁও!” করে মেজাজটা জানান দেয়া আর থেকে থেকে পা নামিয়ে ওইটুক জায়গাতেই একটা চক্কর দিয়ে অপরিচিত বাইরেটা আরেকটু দেখার চেষ্টা করা- আবার দু’পা তুলে হাঁকডাক-
[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! ]
বিদেশি "বন্ধু"দের প্রতি
---------------------------------
খুব দরদী আপনি নাখোশ "সাচ্চা , মহান বীর " বিচারে
( কই যে ছিলেন যখন তারা মারলো মানুষ নির্বিচারে ! )
কই যে ছিলেন একাত্তরে, কোথায় বসে? কার কোলেতে ?
বোনটা যখন সব হারালো, ফিরলোনা ভাই মা'র কোলেতে?
বেশ ক'দিন ধরেই মনে হচ্ছে ছোট থাকতে থাকতেই ছোটবেলার কাহিনীগুলো লিখে রাখা দরকার। বয়স গোণা বাদ দিয়েছি সেই ২৫ বছর বয়সেই। এখন মেয়ের বড় হওয়া দেখি, আর নিজের বড় হওয়ার কথাগুলো মনে পরে। আর তাই বড় হওয়ার গল্পগুলো লিখে ফেলতে চাই বুড়ো হওয়ার আগেই।
[justify]একইসাথে বিখ্যাত (ফটোগ্রাফার) এবং কুখ্যাত (পশুপাখির বিশেষ মুহূর্তের অন্তরঙ্গ ছবি তুলে পাবলিক ডোমেনে অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ করার জন্য) ফাহিম হাসানের সাথে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে আসছিলাম, সারারাত মুস্তাফিজ ভাই আর সুজন্দার সাথে তৃতীয় দফা জম্পেশ আড্ডা দেয়ার পর। ২০১৩ এর শুরুটা বেশ জমজমাট হল ফাহিমের আগমন উপলক্ষে। আনুষ্ঠানিকতা আমার বরাবর করা হয় না, পহেলা জানুয়ারী বা মহররম যাই হোক না কেন, ছুটি পেলে
কাঠখোদাই থেকে গলির গ্রাফিতি
মনে করো তুমি চলেছ নদীর উপর দিয়ে, তোমার নৌকা আস্তে আস্তে হেলতে দুলতে এগিয়ে চলেছে। তুমি দেখছ নদীর পাড়ে বসে আছে একটা অদ্ভুতদর্শন দীর্ঘচঞ্চু পাখি, চুপ করে দেখছে তোমায়। তুমি এগিয়ে চলেছ দু'পাড়ে সবুজ দেখতে দেখতে, এ নদীতে জোয়ার ভাঁটা খেলে, মোহনার খুব কাছে কিনা! তুমি শুনছ বাতাসের শব্দ, এখন শান্ত, কিন্তু কেজানে কখন ঝড় আসে? তুমি চলেছ সমুদ্রের দিকে।
‘ঘটনাটা কাশিপুরের জঙ্গলের। কাশিপুর চিনলি না! আঃ মরণ। আকাট মুর্খদের নিয়ে হয়েছে যত জ্বালা।’ ভাষা-আন্দোলনের গল্প শোনাতে গিয়ে কাশিপুরের জঙ্গলের গল্প ধরেছেন কানাইলাল পণ্ডিত। সেখানেও নাকি একটা ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। কানাইবাবু কাশিপুরের লোক কিনা, তাই গল্পটা তিনি জানেন।
‘শোন রে হতভাগার দল।’ কানাই বাবু তাচ্ছিল্যভরেই গল্পটা শুরু করলেন। ‘কাশিপুর হলো সেই কাশিপুর। কোন কাশিপুর? আরে যেখানে শরৎবাবুর এক মামার বাড়ি সেখানে। কী বললি, শরৎবাবুকেও চিনলি না? আরে অকর্মার ঢেকিরা! শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বুঝলি। এবার ঠিক চিনেছিস তো? ভাগ্যি তোদের, নইলে ঘাড় মটকে দিতাম। ওই কাশিপুর আবার গফুরেরও কাশিপুর। মহেশ গল্প পড়িস নি? কাশিপুরে মহেশ আর আমিনাকে নিয়ে ছিল গফুরের সংসার। ঢাকা থেকে সুন্দরবন কিংবা চিত্রা এক্সপ্রেসে চড়ে সোজা চলে যাও দর্শনা। সেখান থেকে বাসে জীববন্নগর। তারপর রিক্সা-ভ্যানে চড়ে চলে যাও কাশিপুর। বুঝেছিস রে হতচ্ছাড়ার দল?’
কানাইবাবু ছাত্রদের গল্প শোনাতে থাকুন, এই ফাঁকে আমরা ঘুরে আসি কাশিপুরের জঙ্গলে।
কাশিপুর জঙ্গলে রাজা হলো রগচটা বাজপাখিটা। প্রকাণ্ড একটা শেওড়াগাছে তার রাজপ্রাসাদ। আগে অবশ্য এই বনে রাজা-মন্ত্রী বলে কিছুই ছিল না। দুষ্টু বাজপাখিটা ষড়যন্ত্র করে রাজা সেজে বসে আছে। অবশ্য তার পাইক-বরকন্দাজও কম নয়। হাজার খানেক কাল-কেউটে সাপ পুষে রেখেছে চতুর বাজটা। এরা তার পুলিশ বাহিনী। দাঙ্গাবাজ স্বভাবের ফিঙেরদল তার সেনাবাহিনি। এছাড়া এক শিয়াল পণ্ডিতকে উৎকোচ দিয়ে দলবলসহ তাকে পুষে রেখেছে উপদেষ্টা হিসাবে। শিয়ালের দল ছাড়াও আছে একদল বনবিড়াল। কেউটেদের যাতে অসুবিধে না হয় তাই গুইসাপ কিংবা বেজিদের বনের ধারে ঘেঁষতে দেয় না রাজা বাজপাখি।
এক।।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সূত্র থেকে জানা যায়, বহু বছর আগে পৃথিবীর মানব সভ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এই পৃথিবীতে এক সময় মানুষ শিল্প ও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। এর পর বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সেই সভ্যতা বিলুপ্ত হয়- প্রাচীন পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা (যাকে তারা ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবান-গড ইত্যাদি নামে ডাকতো) নিহত হন।
তার বহু বছর পর পরম করুণাময়ী সর্বশক্তিময়ী ঈশ্বরী ঠিক করেন আবার মানবী সভ্যতার জন্ম দেবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রথম নারী এডা-কে তৈরি করেন এবং তাকে স্বর্গে বড় করে তুলতে থাকেন। এডা বড় হওয়ার পর তার খুব একা একা লাগতে থাকায় এডার ডান পাঁজরের হাড় থেকে ঈশ্বরী তৈরি করেন নতুন পৃথিবীর প্রথম পুরুষ ইভোকে। নতুন পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে জানা যায়, ইভো ঈশ্বরীর বিরুদ্ধাচারণকারী "শয়তানী"র প্ররোচণায় এডাকে জ্ঞান বৃক্ষের ফল খেতে উৎসাহ দেন। এতে ঈশ্বরী তাদের শাস্তি দিতে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করেন এবং তা থেকেই পৃথিবীতে নতুন মানবীসভ্যতা গড়ে ওঠে।