লাবন্য আপার সাথে পরিচয় সেই ২০০০ সালে। একটি পত্রিকা অফিসে। তথন সবেমাত্র ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি। হলে থাকি। রাস্তাঘাট তেমন একটা চিনে উঠতে পারিনি। কোথায় কী আছে তাও জানি না ঠিকমতো। লাবন্য আপা আমাকে ঢাকা শহর ও তার সাহিত্য-সংস্কৃতির অলিগলি চেনানোর দায়িত্ব নিলেন। নাহ্, লাবন্য আপা আমাকে নিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াননি। ভোরের কাগজের পাঠক ফোরামের সেই আড্ডায় বললেন, তুই প্রতিদিন পত্রিকার ‘আজকের ঢাকা’ বলে এক কলাম এক
বইটা বহুদিন আগে বাংলাদেশের এক নামজাদা রবীন্দ্রগেঁড়ের বাসায় দেখেছিলাম। পাতা উলটে বুঝেছিলাম যে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়নরীতির প্রায়োগিক দিকটি নিয়ে বইটা লেখা। কিন্তু সেই বিশিষ্ট রবীন্দ্রগেঁড়েটি বই ইত্যাদি ধার করলেও ধার দিতে চান না, দিলে যদি তাঁর চে’ বেশি শিখে ফেলে?
পুড়ে গেলে কিছু থাকে না
পংক্তি বিলীন মাঠ
তুলো ওড়া রাত্রিবদ্ধ পাপে
মৃত মুহূর্তের ছাই-
উড়ে গেলে শক্ত ডানার পাখি
অনন্ত রেখার ধারে শব্দদূষণ
ঘুঙুর শাঁখ দীর্ঘশ্বাসের অধরা নিদ্রাপাঠ
উড়ে গেলে কিছু থাকে না
একটা মেয়ে কোন ছেলেকে পছন্দ করলে বা কোন ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করলে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বলার আগেই আশে-পাশের মানুষ সেটা টের পায়। আমরা যে ভাবে একজনের উপড়ে আরেক জন রাতে শুই, সে অবস্থায় অন্যের অগোচররে স্বপ্ন দেখাও অসম্ভব। আমার বিরহ গোপন থাকা সম্ভব নয়। কোন কাজে আসুক আর না আসুক, আমাদের যে কোন ব্যাপারে মাহবুব ভাই খোঁজ-খবর নিয়ে পরামর্শটাও দিয়ে যান। জ্বর-জাড়ি হলে রাতে কোন ঔষধের দোকান খোলা থাকে সেটা যেনে নিয়ে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি—চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
--জীবনানন্দ দাশ
(তোমার)
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো বিষন্নতা
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো ডায়েরি খাতা
তোমার চেয়ে স্বপ্ন স্মৃতি শত্রু বেশি
তোমার চেয়ে তোমার চুলই সর্বনাশী!
তোমার চেয়ে নীরব রাতই শক্তিশালী
অর্থবিহীন খামখেয়ালি খামখেয়ালি !
(আমার)
আমি অতি আলসে এবং ঘরকুনো
আমার চুলে ঘর ছাড়ে না উকুনও
আমার কিছু দুঃখ আছে, অ্যাতো সুক্ষ্ন যে
সন্ধ্যা হলে চা’য়ের কাপে সুখ খোঁজে
জনতার প্রচন্ড ভীড় থেকে অস্থির আওয়াজ শুনা যাচ্ছে, বেশিরভাগই হতাশামাখা। কি যে হয়ে গেলো এতো দ্রুত অনেকেই ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারলোনা।
একে অন্যের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে তারা বলছে, ''হায়! তিনি কোথায় চলে গেলেন''
একজন বলছে, ''আমি ঘোর পাপী, তাই ঈশ্বর আমাকে দেখা না দিয়েই চলে গেলেন''
ভীড় ঠেলে বের হয়ে এসে কেউ একজন সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো, ''এই ভর দুপুরে ঈশ্বর কোথায় যেতে পারেন বলে মনে হয়?''
অফিসে বসে নিজের বানানো রঙ চায়ে চুমুক দিচ্ছি আর ফেসবুক চ্যাটে গল্প করছি স্টুয়ার্ট এর সাথে। স্টুয়ার্ট আর লিন দম্পতি, বাস করতো ইংল্যান্ডের লেইক ডিস্ট্রিক্টে যেখানে তিনবছর আগে আমার ও বসতি ছিলো। স্টুয়ার্ট বিশালদেহী দিলখোলা আমেরিকান, লিন ছোটখাটো ইংলিশ লেডি- দুজনেই ঘুরতে পছন্দ করে। সেই সূত্রে আমার সাথে সখ্যতা। ওরা যখন আমেরিকা ফিরে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের জন্য আমি ও প্রস্তুতি নিচ্ছি দেশে ফিরে আসার। আমাদের আরেক
তৃতীয় পর্ব
[আগের পর্বে লেখার সাথে সাথে ছবি দিয়েছিলাম। কিন্তু আর একজন চেয়েছিলেন লেখা প্রথমে, ছবি শেষে। এবারে তাই থোকায় থোকায় দিলাম]।
মেঘ-মাখান সকাল
জান-এ-মন যেদিন বিবিজান হতে রাজী হলেন সেদিন থেকেই নিজের সৌভাগ্যে আমার প্রবল আস্থা। পরবর্তীতে বহুবার বহু কিসিমের আছাড় খেলেও এই আস্থার ঝান্ডা আজও উঁচু করে রেখেছি। গ্লেসিয়ার বে অভিমুখে নরওয়েজিয়ান ক্রুজ লাইন জাহাজ কোম্পানীর এ বছরের শেষ ক্রুজের সওয়ারী আমরা। আবহাওয়ার ভবিষ্যৎ-বাণী প্রচুর হতাশার কথা বলে রেখেছে। কিন্তু, ঐ যে, আমার আস্থা! আবারো পয়সা উশুল! জাহাজে ওঠার আগের মুহুর্ত পর্যন্ত বৃষ্টি নামেনি! আবার, তিমি দেখার দিনেও সূর্যের আলোর কোন কৃপণতা ঘটে নি! কিন্তু গ্লেসিয়ার বে!
অলভিয়া বন্দরে ভিড়ছে জাহাজ।
মিউনিখ থেকে রওয়ানা হয়ে বোডেন লেক পেরিয়ে সুইজারল্যান্ড। সেখান থেকে আরও চারশো কিলোমিটার দক্ষিণে ইতালির সমুদ্রবন্দর জেনোয়া। গাড়িপথে বাড়ি থেকে সর্বসাকুল্যে ৬৩০ কিলোমিটার।