বাঙালি তুই ভীষণ পাজি, দাম দিলি না গোলাপির...
নিন্দা করলি স্বামীর নামে, বুঝলি না তার পোলা পীর!
কোপা শামসু খোঁপাটা তার, ভুরুটা কী মিহি রে--
লাইক দ্যাস নাই? তাইলে এবার করগা জবাবদিহি রে!
গোস্তনিটোল দোস্তরা তার আলবাঁদরের চরম টিম,
নরম সোহাগ না দিয়া তুই ঠাইসা দিলি গরম ডিম?
স্বগগে বসে কাঁদছে মেজর, সঙ্গে কাঁদে জানজুয়া,
ক্যামনে ভাবিস তুই গোলাপির এই যৌবন-মান জুয়া?
সকল যুদ্ধপরাধের বিচারই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমুলক, তবে প্রচলিত অর্থে নয় । স্বৈরশাসন, ধর্মান্ধতা, বর্নবাদের রাজনৈতিক আদর্শকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে নতুন আদর্শ গ্রহন করে নেয়ার অর্থে । যুদ্ধপরাধ/মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বৈরশাসক কিংবা কোন মৌলবাদী/বর্ণবাদী রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারী । ভ্রষ্ট রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নে জঘন্যতম কাজ করতেও তাদের বাধে না । তাদের পতনের সাথে সাথে পতন হয় তাদের রাজনৈতিক আদর্শেরও । ব্যক্তির সাথে সাথে বিচারের মুখোমুখি হয় ব্যক্তির রাজনৈতিক আদর্শও । আর তাই বিচার প্রক্রিয়াটাও হতে হয় দৃষ্টান্তমুলক ।
ক্লান্ত সময়ে যখন সময়হীন কথাফুল ঝরে-
অনাবীল আনন্দে উড়ে বেড়াই তারা গুনে-
ডিফারেন্সিয়েটেড ইন্টিগ্রশানে ভাঙে ছাদ
পলিস্তারার কণায় কণায় মেঘাচ্ছন্ন আর্তনাদ-
চোখের জ্বালায় মন-আধারে বৃষ্টিবিলাসী কে!
যাদের জন্ম কমপক্ষে আশির দশকের শুরুতে বা তারও আগে এবং গাঁয়ে--তাঁরা নিশ্চয় ‘ক্যাচর ম্যাচর’ শব্দের সাথে পরিচিত। এই শব্দটার উৎস দুটো বস্তুতে। একটা গরুর গাড়ির চাকায় আরেকটা ভাঁড়ার ঘরে রাজত্ব করা ঢেঁকিতে। পাঠক বলুন তো, ঢেঁকি কিংবা গরুর গাড়ির চাকা কী দিয়ে তৈরি?
প্রাক-কথনঃ লেখার ঘটনাকাল অক্টোবর ১১ থেকে অক্টোবর ১৮। দেশের অস্থির এক সময়ে লিখছি এই লেখা। সামনের দিনগুলো যে আরও অস্থির যাবে তা বলার জন্য খুব একটা মাথা খাটাতে হয় না।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সবকিছুর শুরু একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানব, শক্তিশালী শিকারী ছিলেন অরিয়ন। অরিয়নকে নারীরা যেমন ভালোবাসতো, ঠিক তেমনি তার সুন্দর ব্যবহার এবং মনের জন্য পুরুষরাও ভালোবাসতো। অরিয়নকে নারীরা ভালোবাসতো, যেমন তারা ভালোবাসে তাদের ভাইকে। পুরুষরা ভালোবাসতো, যেমন ভালোবাসে তাদের প্রেমিকাকে। এমনকি দেব-দেবীরাও তাকে লক্ষ্য করেছিলেন, এবং তার সাহচর্য উপভোগ করতেন। কিন্তু এই সৌভাগ্যই তাকে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, ঠেলে দেয় কিংবদন্তীতুল্য নিয়তির দিকে, ঠিক যেভাবে বীরদের পরিণতি ঘটে।
ঈর্ষণীয় ভরাট গলায় গমগম করছে ঘর। মানুষের উপর প্রকৃতির প্রভাব বড় প্রখর!
১।
বহুদিন দেরি হয়ে গেল। এর মাঝে মান্না দে আর লতা মুঙ্গেশকরকে বিদায় জানালাম। বাঙালি নিউজিল্যান্ডকে ডেকে এনে দৌড়ানি দিল। পাকিস্তান ১০০ করার আগেই অলআউট হইল (আহা, কি শান্তি)। প্রধানমন্ত্রীর ফোনপেয়ে আবেগাপ্লুত (আ-টা বাদ যাবে) জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত মহিলা আমীর হরতাল প্রত্যাহারের আগাম ঘোষনা বেমালুম অস্বীকার করে ফেললেন। শফি সাহেব চোখের পাত্তি না ফেলে মিথ্যা বলার স্টাইলে তেঁতুল গাছে ফুল ফুটিয়ে নাকে ঘষাঘষি শুরু করলেন। মগবাজারের ফরহাদ সাহেব ‘কথার কথা’ বলতে বলতে টকমারানীদের মহাসমাবেশ করে ফেললেন। পলাতক চৌধুরী মাইনুদ্দিন আর আশ্রাফুজ্জামানের ফাঁসির রায় ঘোষিত হয়ে গেল। ড. নোবেল মালয়শিয়া গিয়ে সরাসরি বৃহত্তর জামায়াতী জোটের পক্ষে ভোট প্রার্থনায় নেমে পড়লেন। আর আমি ডিজিটাল জীবনকে সাময়িক বিদায় জানিয়ে এনালগ পরীক্ষা দিতে দিতে হয়রান (হয়রানাবীর না) হয়ে গেলাম। যাকগে, এসেই যখন পড়েছি- একটু গল্প শুনিয়ে যাই। জামাতের হরতাল হবে, আর ককটেল ফাটবে না, বা দুটো রগ কাটা পড়বে না- তাই কি হয়?