বাসে উঠেই বারি সাহেবের মনে হলো বিরাট ভুল হয়ে গেছে। আগেরবারই মনে মনে তওবা করেছিলেন নতুন বড় বড় বাসগুলোতে উঠবেননা, এইগুলার ছাদ উঁচা, ধরে দাড়ানোর রডও উঁচা। মনে হয় বাসের মালিকদের ধারনা দেশের সব মানুষ একরাতেই ছয় ফুটি হয়ে গেছে!
জনসেবার ভূত জীবনে কখনো মাথায় চাপেনি এইরকম লোক মনে হয় কমই আছে। সমস্যা হচ্ছে ভূতগুলা বেশীদিন মাথায় থাকেনা। সবাই মাদার তেরেসা না, এমনকি কেউ কেউ ও মাদার তেরেসা না, খুবই অল্প কেউও না, একেবারে পৃথিবীর বিলিয়নকে বিলিয়ন লোকের মধ্যে হাতে গোনা দুই একজন হয়তো। বাকিরা সবাই আমার মতোই। মাঝে মাঝে বাথরুম চাপার মতো জনসেবার তীব্র বেগ চাপে। আবার দ্রুত সেটা কমেও যায়। সেরকমই ভূত আমার মধ্যেও চেপেছিল একবার। খুলে বলি।
এবার বরং একটা পাহাড়ী গ্রামের গল্প হয়ে যাক। ভয়ংকর নিস্তব্ধ। শুধু হাওয়ার শনশন, শুকনো পাতা মচমচ অথবা দুএকটা পাখি টাখি অথবা শুধুই শব্দহীনতা। আর? কপাল ভালো থাকলে দরজা খুললেই কাঞ্চনজঙ্ঘার মায়াবী মাদকতা, আর কপাল খারাপ থাকলে মেঘ কুয়াশার হুটোপুটি, পাহাড়ের গা-বেয়ে পাইন বনের সারি, সেখানে কুয়াশার পিছু ধাওয়া...
দেশ সবেমাত্র স্বাধীন হয়েছে, চারদিকে দাঙ্গা তখনও থামেনি। এইতো সেদিন একটা ট্রেন কলকাতা যাবার পথে পুড়িয়ে দেয়া হলো কুষ্টিয়াতে। সবাই বললো এটা মুসলিম লীগের ছেলেপেলেদের কাজ, কিন্তু এটাতো মানুষেরই কাজ। এরই মাঝে একদিন ঘটা করে পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হলো। পুরো ভারতবর্ষে তখন স্বাধীনতা উল্লাসে মত্ত, দাঙ্গার দিকে ফিরে তাকানোর সময় সরকারের কোথায়?
অথচ ব্লগিংটাই করতে চেয়েছিলাম।
ছবি তুলি আর এর বদৌলতে ঘুরাঘুরি করা হয়। পুরান ঢাকার রাস্তায় ছবি তুলে কাটছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বেশিরভাগ সময়। অনেক দিন ধরেই ভাবছি দেশের বাহিরে ছবি তুলতে যাব।অবশেষে অনেক দিনের জমানো কিছু সম্বল আর কিছু ধার করে গেল অক্টোবর এ পাড়ি দিলাম নেপালের পথ। এখানে থাকছে কাঠমান্ডু এ তোলা ছবি।ভক্তপুর আর পোখারাতে তোলা ছবি গুলো জমানো থাকলো অন্যকোন সময়ের জন্য।
[justify]আমাদের গ্রামটি’র নাম ছিল চৈতন্যপুর, সুহৃদ ছিল তার নদীটি’র নাম; দুই ধারে আনমনা কাশবন, তারপর একাকিনী ফাঁকা মাঠ নিকনো সবুজে ঢেউ। এলোমেলো পাড়া ছিল, আরও ছিল পাড়াদের ঘর-বাড়ী- মানুষের নাম। পাখীটির নাম ছিল সুজলা, সুফলা ডানায় তার ভিড় করে মিশেছিল দেহাতী শস্যের শরীর, ঘরণীর আরও ছিল গোলা!
ক্যাসেট শোনার দিনগুলো এখন ইতিহাস; ল্যান্ডফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা (এনডাব্লিউডি সহ) থেকে মোবাইলে অনেকক্ষণ কথাবলা আর এসএমএস এর সময়গুলো হুট করে চলে গিয়ে সেখানে ডেটাইউজ করা; গন্তব্যের জন্য হেটে ক্লান্ত হওয়া, রিকশায় উঠেই গন্তব্যকে পাওয়া আর তারপরে অনেক রাতে ঘরে ফিরে যাপিত ক্ষণগুলোর ফাস্ট রিক্যাপ; বড় হয়ে যাওয়া আর বড় হয়ে কেন বড় হলাম সে আফসোস কাটাতে নিজেকে অনেক ব্যস্ত করে তোলা, গ্রাউন্ডহগ ডে'র কনর সাহেব
আমার অফিসটা যে গলিতে তার নাম Chemin d’Entre Bois। ফ্রেঞ্চ ভাষায় ক অক্ষর গোমাংস আমি ভেবেছিলাম, চেমিন ডেন্ট্রে বইস। আমার যার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবার কথা, তাকে পেলাম পরদিন। জিজ্ঞেস করলাম, এই বিদ্ঘুটে নামের মানে কি?