বিজয় দিবসের সন্ধ্যা। বন্ধু দম্পতির পরিবারে প্রথম সন্তানের আগমনের সংবাদে তাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সস্ত্রীক রওনা হই। রাস্তায় রিক্সার উদ্দেশ্যে হাঁক দেই,
-যাবেন?
-কৈ যাইবেন?
-মুসলিম বাজার।
-যামু, ২৫ ট্যাকা ভাড়া লাগবো।
-কেন? ভাড়াতো ২০ টাকা।
-হেইটা ঠিক। তয় আইজ বিজয় দিবস, হের লাইগা ৫ ট্যাকা বেশি দিবেন।
-কেন? আজ বিজয় দিবস বলে আপনি ৫ টাকা বেশি নিবেন কেন? যা ন্যায্য তাই নেবেন।
সুশীলের ত্যানাসমগ্র
আনু-আল হক
------------
১. “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই” বললেই বিষয়টা ‘রাজনৈতিক’, আর থামায়া দেয়াটা খুব অ-রাজনৈতিক!
হঠাৎ সভামাঝে হৈচৈ, মন্ত্রীর দৃষ্টি সরু, বর্শা ফেলি মেঝের প’রে পেয়াদারা তামাশা দেখিতে মগ্ন, উজির নাজির সেনাপতি সকলেই স্বপ্নাবিষ্ট যেন! সভাকবির মস্তিস্কে উদ্গিরিত হইতেছে একে একে বাক্যের ঝঙ্কার। পারিষদ মাঝে আসন আলোকিত করিয়া বসিয়াছেন স্বয়ং রাজাধিরাজ। বৃক্ষসাজে আসিয়াছে রাজসভায় একদল প্রজা, সঙ্গে ফরিয়াদ। এ জীবনে রাজা হেরিয়াছে বহু সাজ, বহু বেশ; বৃক্ষরুপী প্রজা দর্শনে আজি কৌতুকের নাহি শেষ!
গিয়েছিলাম প্রতিবেশী এক পিচকুর প্রথম বর্ষপূর্তিতে, কেক্কুক খেতে। বহুদিন পরে বাসায়, তাই আমিও প্রতিবেশীদের কাউকে চিনিনা- আমাকেও প্রতিবেশীরা চেনেনা। ফলাফল হল- গৃহকর্তা আমাকে সম্বোধন করলেন ‘ভাই’, আর পাশে দাঁড়ানো আমার জনককে ‘দুলাভাই’। পাকিস্তানী পাস্পোর্টধারী বাঙ্গালীদের (আজকাল আশেপাশে এই জাতের লোকজন দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি) মত খানিকক্ষন আত্মপরিচয় সঙ্কটে ভুগলাম।
৭ ডিসেম্বর, সময় সন্ধ্যা ৬টা।
স্থান মতিঝিল জীবন বীমা ভবন এলাকা।
তথাকথিত বিরোধীদলীয় জোটের ডাকা টানা 'অবরোধের' একটি দিন।
খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরক্তি চরমে পৌঁছেছে। কাঁহাতক আর সহ্য হয় এইসব বেহুদা স্টান্টবাজি!
ডিসেম্বরের এই সময়টায় শ্রীমঙ্গলের চা-বাগানগুলোতে বড্ড শীতের প্রকোপ। শ্রীমঙ্গল থেকে শমসেরনগর যাবার পথে রাস্তার দু-ধারে সারি সারি চা-বাগান। শ্রীমঙ্গল থেকে শমসেরনগরের পথ ধরে কয়েক মাইল সামনে এগোলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। বড় রাস্তা থেকে ২০০ গজ ভেতরে ঢুকলেই আতিক সাহেবের বাংলো। আতিক সাহেব ফিনলের ডেপুটি ম্যানেজার, পরিবার ঢাকায় থাকে, তিনি বাগানের দেয়া বাংলোতেই থাকেন। পরিবারের সাথে দেখা করতে সপ্তাহান্তে ঢাকা
ডিসেম্বর ২২, ২০১৩
কলোরাডো বাংলাদেশী কমিউনিটিতে হয়ে গেল পিঠা উৎসব। জেবীন ভাবীর আয়োজনে তাঁর বাসায় অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে পরিবেশিত হয় হরেক রকমের বাংলাদেশী পিঠা। এ নিয়ে আজকের ছবি ব্লগ। আমি ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাই সেসব ভাবীদের যাঁরা তাঁদের শ্রম, মেধা ও সময় ব্যয় করে এ আয়োজনকে সফল করেছেন। উল্লেখ্য যে পিঠার বাইরেও আরো অসংখ্য পদের খাবারের আয়োজন ছিল। পিঠা উৎসবকে ফোকাসে রাখতে সেগুলোর ছবি দেয়া হলো না।
স্থান: গুলশান নোটারী পাবলিক অফিস। বি.এন.পি. 'র র্শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার ব্যক্তিগত সহকারী কিছু কাগজ পত্র হাতে উপস্থিত।
উকিল: উনি এই বয়সে নাম চেঞ্জ করবেন?
সহকারী: জী।
উকিল: এই বয়সে!
সহকারী: জী।
উকিল: সব কাগজ পত্র..
সহকারী: দেখুন উনি তো দেশের কোন আইন ভঙ্গ করছে না। এটি ওনার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।
অনির্বাচিত সরকার আমি কখনোই সমর্থন করি না। কিন্তু মাঝে মধ্যেই মনে হয় একজন দেশপ্রেমিক, সৎ এবং স্বপ্নবাজ মানুষের হাতে দেশটা কয়েক বছরের জন্য তুলে দিতে পারলে খুব ভালো হতো।