পুরো একাত্তর জুড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালী জাতিকে মেধাশূণ্য করার জন্য বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে। এই অপকর্মে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সরাসরি সাহায্য করে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী।
আদর্শ আর নীতি নিয়ে ওদের অনেক বড়াই ছিলো
ওদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ‘দুই কুকুরের লড়াই’ ছিলো!
চিরকালই এই দাদারা ইহার উহার লেজুড় ছিলো
এই দাদাদের পোটলায় লাল খোর্মা এবং খেজুড় ছিলো!
আজ প্রায় দশ বছর হতে চলছে আমার প্রবাস জীবনের। এই দীর্ঘ সময়ে জীবিকার দায়ে অনেক কিছু করেছি। স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় অনেকের জীবন আয়েসে শুরু হয়, আমার হয়েছে একদম ঘুঁটেকুড়ানি অবস্থায়। আক্ষরিক অর্থেই তাই।
গতকাল রাতে উত্তেজনায় ছটফট করছিলাম। উত্তেজনার বিষয় 'বিজয় দিবস।' মহান বিজয় দিবস এসে গিয়েছে অথচ এখনও আমার ফেইসবুকের প্রোফাইল পিক্ অথবা কভার পিক্ এ জাতীয় পতাকা লাগানো হয়নি। আহা!
[justify]
সিমকি ভাবী ফোনের ওই প্রান্ত থেকে প্রায় চ্যাঁচিয়েই উঠলেন এবার, ‘... উফফ, ভাবী- তারপর যা হলো যদি দেখতেন ! আমি তো বারান্দাতেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। গুলি শুরু হওয়া মাত্রই অবশ্য চলে গেলাম ভেতরে। দোতলার জানালার ফাঁক দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখলাম পুরোটা। একটা গার্ডও বাঁচেনি ভাবী, মুক্তিবাহিনী সবগুলোকে শেষ করেছে ! ...’
[justify]
বিগত কয়েকদিন ধরে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর এবং অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহে আবারও একদল মানুষের ব্যপক গাত্রদাহ আশা করি সবাই লক্ষ্য করেছেন। আমাদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক বাহকেরা এখন ঝলসানো নরমাংস দিয়ে নৈশভোজ করে ক্ষান্ত নন, তারা নানা ভাবে ও নানা আঙ্গিকে কাদের মোল্লা তথা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির ব্যপারটি হালকা করে কর্পূরের মত উড়িয়ে দেয়ার কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে নিজেদের জামায়াত তোষণের দীর্ঘ ইতিহাসকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্যের ঘাড়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যে কাজটি স্বাধীনতার পর শুরু হয়েছিলো কিন্তু বিশিষ্ট সামরিক শাসকদের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার ফাঁদে পড়ে ব্যহত হল তা আজ ৪০ বছর পর করতে দোষ কোথায়? যে জিয়াউর রহমান ইন্ডেমনিটি আইন দিয়ে আটক যুদ্ধাপরাধীদেরকে নির্বিচারে ছেড়ে দিলেন, যার কল্যাণে গোলাম আজম দেশে ফিরে এসে আবার রাজনীতি করার সুযোগ পেল, যার নিপুণ হাতে এই দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বৈধতা এল তাকে বাদ দিয়ে ১৯৭১-১৯৭৫ সময়ে কেন সকল যুদ্ধাপরাধীদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হল না এই মায়াকান্নার কি আসলেই কোন অর্থ আছে?
অনেকক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ নেই। বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুটা দ্বিধা নিয়ে টোকা দিলাম। ছেলে ভেতর থেকে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কী চাও?’
আমি কণ্ঠে যতদূর সম্ভব মমতা আর শ্রদ্ধা মিশিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হ্যা রে, উনি এসেছেন?’
ছেলে খানিক চুপ থেকে গম্ভীর গলায় জবাব দিল, ‘হুঁ।’
গত রাতে অনেক বড় একটা আফসোস নিয়ে ঘুমাতে গেলাম ।