বই পড়তে আমার বেশ সময় লাগে, কিংবা বলা যায় বেশ সময় নিয়ে আমি একেকটা বই পড়ি। অনেক সময় একেকটা বই তিন মাস চার মাস ধরেও পড়তে থাকি। আবার এক সাথে তিন চারটা বই পড়তে থাকি। বেশিরভাগ বই পড়ুয়াদের দেখেছি একটা বই এক নিঃশ্বাসে শেষ করে ফেলে। আমি এভাবে পড়তে পারি না সব সময়। একখান বই অর্ধেক পড়ে আবার আরেকটা পড়তে শুরু করি। আবার আরেকটা, আবার আরেকটা, আবার হয়ত প্রথমটাতে ফিরে গেলাম, এরপর আবার তৃতীয়টা, তা থেকে দ্বিতীয়টা।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণমাধ্যমসমূহের আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটনাগুলোর সৃষ্টি এবং বিস্তারের সাথে যারা জড়িত তাদের মতামত বা কথার কোন গুরুত্ব আমার কাছে নেই তাই সেসব বিষয়ে কথা বাড়াবো না। আর সেসব অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে আমি তার সাথে একমত। তাই এই
সাদা খইয়ের মতো ফুটে রয়েছে অজস্র মেঠোফুল। ভ্রমর, বোলতারা ব্যাকুল হয়ে ছুটোছুটি করছে কে কোনটার দখল নেবে। খই ভেবে যদি অবচেনে আপনার হাত চলে যায় পুষ্পমঞ্জরির দিকে। যেতে দিন। আলতো করে তুলে নিন একটা সাদা খই। নির্ভয়ে ফুলের বোটার দিকটা মুখে পুরতে পারেন রাখাল বালকের মতো। মিষ্টি একটা রস এনজামই বাড়িয়ে দেবে জিভের তালুতে। এরপর নিশ্চয়ই দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন গোল একটা চাকের ওপর। সুন্দর না!
ওটাই কিন্তু ফুলটার মঞ্জরি।