বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আগে শিল্পীদের টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ করার সব রকম চেষ্টা করে যখন হাল ছেড়ে দিয়েছি, তখন একদিন হঠাৎ মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!
১।। সুন্দর চলে গেছে
সুন্দর চলে গেছে বৈরাগ্য ধ্যানে
পড়ে আছি মরা কুটিল বসতে!
টকের জ্বালায় ছিলাম অতিষ্ঠ
করি তেঁতুলতলায় বাস
হলো ভরা সর্বনাশ!
না টানে নিকটে আপনা স্বজন
না জিগায় সোদর ভাইয়ে
করি চণ্ডালে বিশ্বাস!
সুন্দর চলে গেছে পরের বাড়ি
জোস্নায় চাঁদ তাই সুখের আড়ি!!
শেখ জলিল ২৬.০৯.২০১৪
২।। নক্ষত্র চলে যায়
নক্ষত্র চলে যায় নক্ষত্রের কাছে
সঞ্জীবদার গানের সাথে পরিচয় যখন আমি কলেজে। খুব সরলভাবে বলতে গেলে অর্থবিহীন কথা সম্বলিত অসংখ্য গানের ভিড়ে সঞ্জীবদার গান প্রথম শোনাতেই যেন মাথায় গেঁথে গেল। এরপরে মুগ্ধ হয়ে শুনেছি তাঁর দরাজ গলার একের পর এক গান। "দলছুট" আমার প্রিয় গানের দলের তালিকায় একদম শীর্ষে চলে আসে সেসময়। শুধু কি সুর আর স্বরের কারনেই এরকম অন্ধভক্তি, না, চিন্তা করে দেখেছি অনেকবার। মানুষ হিসেবে তাঁর সাথে বিন্দুমাত্র পরিচয় নেই, যাওয়া
[justify]আমি প্রথমে গেটের সামনে এসে থমকে গেলাম।
বই পড়তে আমার বেশ সময় লাগে, কিংবা বলা যায় বেশ সময় নিয়ে আমি একেকটা বই পড়ি। অনেক সময় একেকটা বই তিন মাস চার মাস ধরেও পড়তে থাকি। আবার এক সাথে তিন চারটা বই পড়তে থাকি। বেশিরভাগ বই পড়ুয়াদের দেখেছি একটা বই এক নিঃশ্বাসে শেষ করে ফেলে। আমি এভাবে পড়তে পারি না সব সময়। একখান বই অর্ধেক পড়ে আবার আরেকটা পড়তে শুরু করি। আবার আরেকটা, আবার আরেকটা, আবার হয়ত প্রথমটাতে ফিরে গেলাম, এরপর আবার তৃতীয়টা, তা থেকে দ্বিতীয়টা।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণমাধ্যমসমূহের আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটনাগুলোর সৃষ্টি এবং বিস্তারের সাথে যারা জড়িত তাদের মতামত বা কথার কোন গুরুত্ব আমার কাছে নেই তাই সেসব বিষয়ে কথা বাড়াবো না। আর সেসব অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে আমি তার সাথে একমত। তাই এই
সাদা খইয়ের মতো ফুটে রয়েছে অজস্র মেঠোফুল। ভ্রমর, বোলতারা ব্যাকুল হয়ে ছুটোছুটি করছে কে কোনটার দখল নেবে। খই ভেবে যদি অবচেনে আপনার হাত চলে যায় পুষ্পমঞ্জরির দিকে। যেতে দিন। আলতো করে তুলে নিন একটা সাদা খই। নির্ভয়ে ফুলের বোটার দিকটা মুখে পুরতে পারেন রাখাল বালকের মতো। মিষ্টি একটা রস এনজামই বাড়িয়ে দেবে জিভের তালুতে। এরপর নিশ্চয়ই দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন গোল একটা চাকের ওপর। সুন্দর না!
ওটাই কিন্তু ফুলটার মঞ্জরি।
খুব বেশী দূরে আর কই?
ঘর থেকে পা বাড়ালেই মিরপুর দশ নম্বর গোলচত্ত্বর। সেখান থেকে রিকসা নিলাম আমরা। অগ্নি নির্বাপণ সংস্থার কার্যালয় পেছনে ফেলে কিছুদূর এগোলেই মিরপুর বেনারশি পল্লীর ১নং গেট। সেই গেট অতিক্রম করে পৌঁছলাম পিচঢালা পথের শেষমাথায়। সেখানে অবস্থিত পুরোনো পাওয়ার হাউজ।
শুভ, আমি তোমাকে আমার প্রিয় কবিতাটির মত মুখস্ত করতে চাই। প্রথম নিঃশ্বাসের শব্দ থেকে হৃদয়ের প্রথম স্পন্ধন পর্যন্ত। তোমার ভাবনা গুলো, ইচ্ছে গুলো, চাওয়া পাওয়া গুলো আপনার করতে চাই, তবে তোমাকে গ্রাস না করে। আমি তোমাকে আমার অঙ্গে ধারণ করি নাই, অন্তরে, মনে, চিন্তায় চেতনায় বপন করেছি। সে বপিত বীজে পত্র-পল্লব অঙ্কুরিত হয়েছে, ফুটেছে ফুল। তার সৈরভ, গৌরব, ছায়া,গন্ধ আমাকে মায়ায় আচ্ছন্ন করে রাখে সারাদিন, সারাক্ষণ