গ্যালারির অগুণতি দর্শকের হাত, গাল, বুক, পিঠ আর জামায় ভর করে পাকিস্তানী পতাকা উড়ে। স্বাধীনতার মাসে, পাকিস্তানীদের চালানো গণহত্যা সূচনার মাসে এ দেখে জীবিত অনেকেরই তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না, তবে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারানো ত্রিশ লাখ শহীদ আর চার লাখ ধর্ষিতার দীর্ঘশ্বাস মনুষ্যত্বের ছিটেফোঁটা থাকলেই টের পাওয়া যায়। একটা পুরো দেশতো আর অমানুষে ভরে যেতে পারে না, তাই স্বজাতির রক্তঋণ অস্বীকারকারী কুলাঙ্গারদের ভীড়ে
আমি তেমন ঘুরাঘুরি টাইপ পাব্লিক না। তাই বলে ঘুরতে যে আমার ভাল লাগে না তা না। কিন্তু একবার বাসায় ঢুকলে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে বের করা যায় না। সবাইকেই দেখি বেশ ঘোরাঘুরি করে, অনেক যায়গায় যায়। আমিও মনে মনে ভাবি, এই শেষ, আর বাসায় বসে থাকবোনা। কিন্তু এই শেষ আর শেষ হয় না। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে সংকল্প করি যে এরপর থেকে সপ্তাহে একদিন হলেও নতুন নতুন যায়গায় ঘুরতে যাবো। কিন্তু খোদা মনে হয় দুনিয়ায়
মাঝে মাঝে ভালো লাগে না কিছুই, মাঝে মাঝে পালাতে ইচ্ছে করে। চেনা হাতঘড়ি, রোদচশমা কিংবা প্রিয় মানুষটিকেও অসহ্য মনে হয়। যেনো অন্যকোথাও যাবার কথা ছিল—
মৃত্যুমুখ অবধি ছড়ানো এ গাথা— এক অসম্ভব সেতু ছড়ানো চারপাশে। মেঘের মধ্যে উড়ছে আমাদের ঘরবাড়ি যাবতীয় ভালো লাগা। দ্যাখো, দু’হাতে চোখ ঢেকেও আমি তাকে থামাতে পারছি না! শিথিল স্বপ্নের মতো ঘুমন্ত আগুন থেকে বেরিয়ে সে বসে আছে নিষিদ্ধ করাতকলের পাশে।