কি এক সময় ছিল!
কেমন যেন উদ্ভ্রান্ত, পাগল করা সময়।
সেই সময় খালি মনে হত কেউ আমাকে পাত্তা দেয় না। কেউ আমার কথা শোনে না। রাস্তায় বের হলে মনে হত আমার দিকেই যেন সবাই বিদ্রূপ সহকারে তাকিয়ে আছে।
একলা দুপুরে গলার কাছে কান্না এসে আটকে থাকত গুটলি পাকিয়ে। কি যেন করতে ইচ্ছে হত! কোথায় যেন ছুটে যেতে ইচ্ছে হত। চিৎকার করে সব্বাইকে বলতে ইচ্ছে হত “আমি কিন্তু ভালো নেই, আমি পালিয়ে যাব কিন্তু!”
আগের পর্ব এখানে
http://www.sachalayatan.com/ipsito/51810
(৯)
তবে মোবারককে ডাকার আগেই ঝাঁকরা চুল কামেশ ঢুকলেন হাসিমুখে। বয়েস চল্লিশ ছাড়ায়নি। বললেন, “ভিক্টিম তিনটে বারোতে শেষ ইমেল করেছেন। কাজেই ধরে নেওয়া যায় ইমেল করার পর আততায়ী ওঁর ক্যাবিনে ঢুকেছে, কিছু কথা নিশ্চয়ই হয়েছে, আর তারপর ছুরি মেরেছে আততায়ী। এই পুরো ব্যাপারটার জন্য তিন মিনিট বরাদ্দ করলেও এটুকু বলা যায় যে খুনটা তিনটে পনেরোর পর হয়েছে।”