রাত ২ টা ৩৭ মিনিট। ঠাহর করতে পারছি না এখন ঠিক কোন জায়গায় আছি। বাস চলছে বাতাসের চেয়েও দ্রুত গতিতে। বাসের সবাই মোটামুটি গভীর ঘুমে নিমজ্জিত। আমার পাশের সিটে বসা সহযোদ্ধা বেশ আরাম করেই ঘুমাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। পিচের উপর দিয়ে বাসের দ্রুত ঘুর্নায়মান চাকার দ্বারা সৃষ্ট শব্দের কারনে হয়তো তার নাক ডাকার শব্দটা আমার কানে আসছে না।
ভাবছি।
অলস দুপুর, টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে বাইরে, এখানে যেমন পড়ে অনেকটা সেরকম টুপটাপ। বৃষ্টির ছাট থেকে কাচে লেগে যাওয়া পানির ফোঁটা খুব সন্তর্পনে জানালার কাচ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অভিকর্ষের টানে। আমি তাকিয়ে আছি সেই অনিবার্য পতনের দিকে, তাকিয়ে আছি জানালা দিয়ে বৈশিষ্ট্যহীন একলা আকাশের দিকে। চিৎ হয়ে শুয়ে আছি, আর ভাবছি। আমি বেশ ভাবি, মাঝেসাঝে, এই আবজাব, অর্থহীন, অলস, বৈশিষ্ট্যহীন, অমৌলিক আর এলোমেলো সব ভাবনা।
(শুরুতেই নিজের পরিচয় দিয়ে নিই- এই অধমের নাম মাসরুফ হোসেন, আমি বাংলাদেশ পুলিশের একজন ছোটখাটো চাকুরে। "উর্দিপরা লোকগুলো ইন্টেলেকচুয়ালি নানারকম সীমাবদ্ধতায় ভোগে"- এই কথাটি আমার জন্যে সর্বাংশে সত্য।তবুও,বিচিত্র পু্লিশ জীবনের নানা ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার উদ্দেশ্যেই খানে লেখার দুঃসাহস করছি।উল্লেখ্য,এখানে লেখা মতামতগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত, এর সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব আমার নিজের।)