ছোটোবেলা ভাবতাম একদিন পঞ্চাশ টাকা চুরি করে পালিয়ে যাবো। তখন এই সাত-আট বছর বয়স আমার, কেন জানি কেবলই বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করতো। বাড়ীতে সেরকম যে কোনো ঝামেলা ছিল বা অত্যাচার টত্যাচার হতো, তা কিন্তু না। তবু কেবলই মনে হতো পালানোর কথা। হয়তো মনে হতো বাইরে অনেক মজা, অনেক স্বাধীনতা। কোনো নিয়মের বাঁধাবাধি নাই, পদে পদে নানা নিষেধ নাই, শাসন টাসন নাই। কিংবা হয়তো অন্য কিছু ভাবতাম, আজ আর সেইসব মনে পড়ে না,
প্রথম পর্বঃ যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার- আইজ্যাক আসিমভ
[আমার অন্যতম প্রিয় লেখক আইজ্যাক আসিমভ। তার 'হাঊ ডিড উই ফাইন্ড আউট' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম।তিন পর্বে সমাপ্ত করার আশা রাখি।]
দূরে বিলীন হওয়া জাহাজের গল্প
পেমের কোবতে অনুবাদ করে বেলাইনে চলে গিয়েছিলাম, লাইনে আসার জন্যে খুন-জখম গল্প অনুবাদ করছিলাম অ্যাজ প্রমিজড। কিন্তু ক্ষুধা লাগলে আমার আর মাথা কাজ করে না, ফ্রিজ খুলে দেখি ভাত আছে, কিন্তু সাথে আর কিছু নাই, কিছু পুরানো সসেজ ছাড়া। তাই আনাড়ি এখন সসেজ রান্না করে ঠাইসসা ভাত খায়। খুন-জখম পড়বার আগে পেট ভরে সবাই ভাত খান। আর সেই জন্যে আনাড়ি রাঁধুনিদের উপযোগী সসেজপেঁয়াজা রন্ধন প্রণালী পোস্ট দেই। আনাড়িদের জন্যে আশ্বাসের কথা হলো, এইখানে খুবই কম উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে। এবং পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আধা ঘণ্টাও লাগে নাই।