৫ বছর আগে লেখা জ্যোতির এই ব্লগটার মতো দুঃখজাগানিয়া ব্লগ আমি কমই পড়েছি। একটা কারণ হচ্ছে, আমি পড়ি কম। সব সচলের চাইতে আমি কম পড়েছি। আরেকটা কারণ হচ্ছে, আমি দুঃখজাগানিয়া লেখা পড়িনা, বিরক্ত হই। জ্যোতি প্যানপ্যান করে এই লেখা লেখেনি। জ্যোতিকে চিনি বলে লেখাটা পড়া হয়েছিল।
জার্মানিতে আসার মাসদুয়েক পর ইন্দোনেশিয়ান এক বন্ধুর সঙ্গে কথা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার মেয়েরা অসামান্যা। বেশিরভাগেই আকারে বাঙালির কাছাকাছি। আর ওইটুকু শরীরে সব নারীত্ব এঁটেসেঁটে বসিয়ে দিতে প্রকৃতিকে বিশেষ যত্ন নিতে হয় বলে আমার বিশ্বাস। সেই মেয়ে যতদূর মনে পড়ে বন্ধুত্বের অমরত্ব ইত্যাদি বিষয়ে আলাপ করার চেষ্টা করছিল। আমি তাকে বললাম, তোমার সঙ্গে কিছুদিন পর আমার আর কখনোই দেখা হবেনা! স্থায়ী ঘর বানিয়ে আমার প্রতিবেশি হয়ে যাবে সেরকম ভাবনা মেয়েটার নিশ্চয়ই ছিলনা। কিন্তু মেয়েটা প্রতিবাদ করতে চেষ্টা করল তবুও।
ফোনে কথা বলতে বলতে সম্পূর্ণ ভুল পথে হেঁটে যাই।
[justify]
বাবাকে বড় ভয় পায় মুকুল। তবে অবশ্য ভয় পাওয়ার কারণও আছে। মুকুলের বাবা মতিউল্লাহ সাহেব ঝিগাতলা হাই স্কুলের জাঁদরেল অঙ্কের শিক্ষক। চেনা পরিচিত প্রায় সবাই তাঁকে ভয় পায়। টকটকে গায়ের রঙ, চোখে মোটা কাচের গোল চশমা, মাথায় কাঁচাপাকা চুল। একটু নাকি সুরে চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলেন তিনি। রাশভারি গম্ভীর লোক, দেখলে মনে হয় এখনই গর্জে উঠবেন।