নিউজিল্যান্ডের নাবিক জনাব ভিন্সেন্ত ব্যারীর সাথে আমার প্রথম মোলাকাত হয় হেলসিংকির এক পানশালায়। আশি ছুঁই ছুঁই অতি বৃদ্ধ পোড় খাওয়া এক মানুষ, শতাব্দী প্রাচীন বটগাছের মত জীবন নামক ঝড়ের কাছে মাথা নত করতে নারাজ। কয়েক দশক আগে জাহাজের এক দুর্ঘটনায় দেহের অর্ধেক হাড় ভেঙ্গে মৃত্যুশয্যায় ছিলেন কয়েক মাস, পরে দেহের নানা স্থানে ধাতব হাড়, নাট-বল্টু লাগিয়ে মেরামত করা হয় বেচারাকে, আগের মত ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করা সম্ভ
প্যালেস্টাইন/ ১
মুখে ভয়াল এক পাথর গোজা
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি
বয়ে যাচ্ছে রক্তের নদী।
ধুঁয়া আর অগ্নিকুণ্ডলি স্পর্শ করছে আকাশ
সারি সারি মৃত শিশুর লাশ,
আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি।
এই রক্ত-নদীর পিতৃ-পরিচয়, উৎস-মূলে -
কোন বাড়ির রক্তমাখা হাত, জোয়ার ভাটার টান,
কোন জাতির বিশ্ব-শোষণ সর্বনাশা লোভ,
সবাই জানে, কিন্তু মুখ খুলছে না কেউ ।
এদের নাকি অতীত খারাপ,
১।
রুপোলী জরির মতন ফিনফিনে জ্যোৎস্না ছড়িয়ে আছে আমার রাত্রি বাগানে, আকাশে ঝমঝম করে তারারা। ঝোপঝাড়ের ভিতর থেকে ঝিঁঝিঁদের সম্মিলিত অর্কেস্ট্রা। অদ্ভুত নেশা ধরানো এই সঙ্গীতসভা।
এমন রুপোজরি জ্যোৎস্নারাতেই চলে গিয়েছিল টিপু, শেষবারের মতন দেখা করে গিয়েছিল এইরকম এক রাতেই। জ্যোৎস্নারাতে বাগানে বসে থাকলেই টিপুর কথা মনে পড়ে।
বি সি এস পরীক্ষার প্রিপারেশন নিচ্ছিলেন পাশের রুমের এক বড় ভাই। প্রায় এক ঘন্টা চন্ডীদাস , জ্ঞানদাস, কানাহরি দত্ত পড়তে পড়তে হঠাৎ করে বলে উঠলেন,‘শালার হিন্দুগুলা এত্ত কিছু লিখে গেল কেন? নাম মনে রাখাই তো কষ্ট !‘ আমি হাসি চাপতে না পেরে বললাম,‘ভাই, সাহিত্য কি গুলে খাওয়ার জিনিস? আনন্দ নিয়ে পড়েন, দেখবেন এমনিতেই মনে থাকবে।‘