বারো বছর বয়েসী রাজা জগৎ সিং আমার দিকে তাকিয়ে বড়দের মত গম্ভীর গলায় বললেন, নাম কবুতর ফারুক ঠিক আছে। কোন অসুবিধা নাই। তবে নামটা তোর তেলাপোকা ফারুক হলে আজই তোর গর্দান নিতাম।
সন্ধ্যা হলেই হারিকেন জ্বেলে পড়তে যেতাম বিশু স্যারের বাড়ি। হিন্দু পাড়া। ধূপ-ধুনোর গন্ধে মন ভরে যেত। শাঁখের পুঁউ-উ-উ...ধ্বনি চিরতরের জন্য নস্টালজিক এক ছবি এঁকে দিয়েছিল মানসপটে। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা ঘনাত। দিনের শেষ কর্মচাঞ্চল্যের ভেতর দিয়ে নেমে আসত রাতের অন্ধকার। কিছুক্ষণ পর গোল আয়নার মতো পুর্ণ চাঁদ অন্ধকারকে হটিয়ে গড়ত মায়ময় এক জগৎ। স্যারের বাড়ির সামনের দিকটা বুনো জঙ্গলে ঠাঁসা। ভাট-আশশেওড়ার দঙ্গলে আটকে যেত পলায়নরত অন্ধকার। কিন্তু তাতেও কি রেহায় আছে! জঙ্গলে জমে থাকা অন্ধকারকে হটাতে শুরু হত জোনাকির অভিযান। কাজলা দিদি পড়তাম আর বার বার তাকাতাম ওদিকে। সত্যিই থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলছে!
আরো ভাল রেজ্যুলশনে দেখতে হলে কি করতে হবে? রাইট ক্লিক করে ইমগুর লিংকে চলে যেতে হবে।
আগের পর্ব: ইন্টারকনে বিস্ফোরণ : যার ঝাঁকুনি লেগেছিল বিদেশেও -
একযুগের বেশি হয়ে গেল, বাংলাদেশ টেস্ট খেলে, জয় আসে কালেভাদ্রে। তাও জিম্বাবুয়ে বা খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। তবে দেশের ক্রিকেট যে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। একটি টেস্ট জয়, একটি বড় অর্জন, সেটি যা সাথেই হোক, আর যেভাবে, যে অবস্থাতেই আসুক। পাঁচ দিন টানা শুধু শারীরিক সামর্থ্য নয়, সাথে মনোসংযোগ ও মনোবলের পরীক্ষাও দিতে হয়।
টেস্টে জয়ের মূল শর্ত হচ্ছে প্রতিপক্ষকে দু'বার অলআউট করতে হবে, যেটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ করতে পারে না। আমরা অনেক সময়ই শুনে থাকি, আমাদের মূল শক্তি নাকি ব্যাটিং আর স্পিনাররা। কিন্তু শুধু ব্যাটিং দিয়ে আর যাই হোক, টেস্ট জেতা সম্ভব না, তার ওপরে আমাদের ব্যাটিং মোটেই আহামরি কিছু না। বরং বোলাররাই অনেকক্ষেত্রে আমাদের জয় এনে দিয়েছে, জয়ের সুবাস দিয়েছে, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জয় আসেনি। বোলাররাও যে ম্যাচ হারায়নি, তা না, তাদেরও দোষ রয়েছে, কিন্তু ব্যাটিং আমাদের যেভাবে লজ্জা দিয়েছে মাঝে মাঝে, বোলিং-এ মনে হয় তেমন দিন অত আসেনি।
বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আগে শিল্পীদের টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ করার সব রকম চেষ্টা করে যখন হাল ছেড়ে দিয়েছি, তখন একদিন হঠাৎ মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!
১।। সুন্দর চলে গেছে
সুন্দর চলে গেছে বৈরাগ্য ধ্যানে
পড়ে আছি মরা কুটিল বসতে!
টকের জ্বালায় ছিলাম অতিষ্ঠ
করি তেঁতুলতলায় বাস
হলো ভরা সর্বনাশ!
না টানে নিকটে আপনা স্বজন
না জিগায় সোদর ভাইয়ে
করি চণ্ডালে বিশ্বাস!
সুন্দর চলে গেছে পরের বাড়ি
জোস্নায় চাঁদ তাই সুখের আড়ি!!
শেখ জলিল ২৬.০৯.২০১৪
২।। নক্ষত্র চলে যায়
নক্ষত্র চলে যায় নক্ষত্রের কাছে
সঞ্জীবদার গানের সাথে পরিচয় যখন আমি কলেজে। খুব সরলভাবে বলতে গেলে অর্থবিহীন কথা সম্বলিত অসংখ্য গানের ভিড়ে সঞ্জীবদার গান প্রথম শোনাতেই যেন মাথায় গেঁথে গেল। এরপরে মুগ্ধ হয়ে শুনেছি তাঁর দরাজ গলার একের পর এক গান। "দলছুট" আমার প্রিয় গানের দলের তালিকায় একদম শীর্ষে চলে আসে সেসময়। শুধু কি সুর আর স্বরের কারনেই এরকম অন্ধভক্তি, না, চিন্তা করে দেখেছি অনেকবার। মানুষ হিসেবে তাঁর সাথে বিন্দুমাত্র পরিচয় নেই, যাওয়া
[justify]আমি প্রথমে গেটের সামনে এসে থমকে গেলাম।