[justify]
সকাল সাতটার দিকে আমরা কাকেলছেও গ্রামের নদীর ঘাটে। ইলিয়াস পড়েছেন গাঢ় সবুজ রংয়ের একটা ইউনিফর্ম পায়ে বুট মাথায় ক্যাপ। জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন দেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পোষাক এটি। ইলিয়াস তার সবথেকে বেদনাবিধুর যুদ্ধক্ষেত্রে আজ ফিরে যাবেন প্রায় ৪৪ বছর পর যোদ্ধার সাজে।
আমাদের আজকের পরিকল্পনায় জগতজ্যোতি দাসের গ্রাম জলসুখা। না তার পরিবারের কেউ সেখানে নেই এখন আর, ভিটে বিক্রী হয়ে গেছে। আমরা যাবো তার ছোটবেলা বন্ধু ও যুদ্ধদিনের সহযোদ্ধা আব্দুর রশিদের সাথে দেখা করতে, যে জায়গা দিয়ে তার লাশ রাজাকারেরা নিয়ে এসেছিলো প্রদর্শনের জন্য সেই জায়গাটা দেখা। তারপর জগতজ্যোতি দাসের শেষযুদ্ধের স্থান খৈয়াগোপির বিল, সম্ভব হলে পাহাড়পুর এবং অবশ্যই মাকালকান্দি।
এবার আমাদের নৌকা চলছে উজানে, কাকেলছেও থেকে আজমিরীগঞ্জের দিকে। এখনো রোদ উঠেনি তেমনভাবে, ছায়া ছায়া ভেজা ভেজা ভাব, আকাশে মেঘ আছে, নদী ও বিশাল। গতকাল সারাদিন যে জায়গাগুলো ঘুরেছি সেগুলো ক্রমশঃ পেছনে সরে যাচ্ছে।
অণুর নামের মধ্যেই আছে, ও কেমন। ছোট্ট, অতি ছোট্ট। কণার চেয়েও ছোট্ট। এত ছোট্ট যে চোখেই দেখা যায় না। অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে হয়। আমাদের ছোটবেলায় সাধারণ বিজ্ঞান বইয়ের পাতা থেকে অণুর সংজ্ঞা শিখেছিলাম। অণু হলো -কোন বস্তুর সেই ক্ষুদ্রতম একক, যার মধ্যে বস্তুর ধর্ম রয়েছে। যা ভাঙলে তখন সে আর ঐ বস্তু থাকে না। তার ভেতরকার বস্তু ধর্মটা লোপ পায়। গল্পও একটা বস্তু বটে। গল্পের শরীর আছে। গল্পের একটা গুণাগুণ আছ