০১
রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে অলসভাবে স্ক্রল করে যাচ্ছি বাংলা অনলাইন পত্রিকাগুলি। আজ পাঁচই জানুয়ারি, কোথাও কি কিছু হচ্ছে? দেশ কিংবা জাতি নিয়ে চিন্তার চেয়েও বড় চিন্তা, বাবা-মা এবং স্বজনদের যারা দেশে আছেন, তাদের নিয়ে। চোখে দেখে বিচার করার ক্ষমতা যেহেতু নেই, পত্রিকা দেখেই পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। পত্রিকার আর ফেসবুকের হোমফীডে চোখ বুলাতে বুলাতে মনে হলো, আজ ঢাকার পরিস্থিতি বেশ ভালোই গুরুতর। বাসায় ফোন করে বার বার করে বাবা'কে বললাম, কিছুতেই যেন আজ বের না হয়। কথা শেষ করে বেশ নিশ্চিন্ত বোধ করলাম। দেশের বাইরে আমি নিরাপদ আছি- যদি আমার কথামতো বাবা-মা কেউ বাসা থেকে বের না হয়, হয়তো তারাও নিরাপদ থাকবে। বাকিদের কী হবে, তা অবশ্য জানি না।
১৯৭২ সালের পত্রিকায় দুটি লেখার খোঁজ পেলাম। প্রথমটি ২রা জানুয়ারী প্রকাশিত তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জিয়ার স্ত্রী, পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের একসময়ের প্রধানমন্ত্রী ও এই মুহুর্তে সন্ত্রাসী পদ্ধতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আগ্রহী রাজনীতিবিদ খালেদা জিয়ার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে।
এই গল্পের ঘটনা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন। এক সময় এ নিয়ে অনেক তোলপাড় হয়েছিল। আমি নিজে যে শহরে থাকি সেখানে এমন ঘটেছে জানার পর এ ব্যাপারে আমার লেখার আগ্রহ জন্মায়, কিন্তু কয়েক পাতা লেখার পর থামতে হল। ঘটনা এত অসুস্থ রকমের যে এ নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে যেয়ে আমি নিজেই মানসিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে যাই। যাহোক কি কারণে জানি না, একদিন এক বন্ধের দিনে এই ঘটনার বেশিরভাগ যেখানে ঘটেছে, সেখান থেকে ঘুরে এলাম। কিছু ছবিও তুলে নিয়ে এলাম। এরপর আবার লেখার আগ্রহ জন্মাল। গল্পাকারে লেখা এক বীভৎস সত্য কাহিনী। নিজ দায়িত্বে পড়ুন।
১.জয়নব বছর বিয়োনি। দশ বছর হলো ওর বিয়ের। একটা বছরও শান্তি পায়নি জয়নব। নারী শরীরের অনুর্বরতা যেখানে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় সেখানে নিজ শরীরের ধারণক্ষমতায় খুশি না হয়ে সকাল থেকেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছে জয়নব। মাঘ মাসের এই অসহনীয় শীতের সাথে শরীরের বেকায়দা অবস্থা জয়নবকে আরও অসহায় করে তুলেছে। এই বছর শরীর আর টিকবে না। গত বছরও এমন মনে হয়েছিল জয়নবের। কিন্তু ওর শাশুড়ি সুফিয়া বেগমের নির্বুদ্ধিতার জন্য সে আবারও বেঁচে
বাসার সব সাদা কাগজ পাগলা দেশু ছবি এঁকে শেষ করে ফেলেছে। অনেক খুঁজে শেষে কাগজ পাওয়া গেলো পাগলা দেশুর ডায়েরিতেই। তার প্রথম পাতা থেকে নতুন বছরে সবাইকে গোয়েন্দা ঝাকানাকা, কিংকু চৌধারি আর বদরু খাঁর পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা!
সময়ের নিয়মেই সময় বয়ে চলে, সেই বয়ে চলাতে ভবিষৎ একসময় বর্তমানে এসে পৌছে আর বর্তমান একদিন অতীত হয়ে স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকে। সেই ফেলে আসা অতীতের ভুল-চুক যেমন আমাদেরকে আগামী দিনের পথ চলাতে আরো সাবধান করে, তেমনি অতীতের অর্জন ভবিষ্যতের অজানা পথে সাহসের প্রদীপ জ্বেলে রাখে। ২০১৪র সেই অর্জনের গল্প, আনন্দ-বেদনার গল্প কিংবা ভুল-চুকের গল্প প্রিয় সচলাতায়নে প্রতিটি দিন উঠে এসেছে অসংখ্য সচল-হাচল আর অতিথিদের হাত ধরে