কোন সময়ে কোন কথা বলতে হবে বা হবে না'র হিসাব করতে করতে সব থেকে জরুরি কথাগুলোই শেষ পর্যন্ত বলা হয়ে ওঠে না। ছাপা মাধ্যম/নেট মাধ্যম সব জায়গাতেই "সঠিক সময়" নির্ণয়ের গণিত নিয়ে প্রবল কামড়াকামড়ি চলে। যারা এই অতি বিতর্কিত "সঠিক সময়ের" তোয়াক্কা না করে নিজ বিচারে সঠিক কথাটা বলে ফেলতে পারেন, তাঁদের কথাগুলিই শেষ পর্যন্ত বলা হয়। অভিজিৎ সেরকমই একজন। সব থেকে বড় কথা, যাকে আঘাত করতে তিনি কলম চালিয়েছেন ঠিক তাঁকেই ত
এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের কি করবার আছে? কার কাছে যাওয়া যায়? কার কাছে বিচার চাওয়া যায়? কার সাথে রাস্তায় নামা যায়? কে প্রতিবাদের ইভেন্ট খুললে গোয়িং বলা যায়? কয়জনের কুৎসিত প্রতিক্রিয়ার উত্তর দেয়া যায়? আমতা আমতা করে বলা অব্যয় বহর কতো সহ্য করা যায়? হঠাত মনে হতে পারে উত্তর সহজ, আবার পরক্ষণে দুর্বিষহ কঠিনও লাগতে পারে।
গতকাল রাতে রকমারিতে বিভিন্ন লেখকদের বইয়ের তালিকা ঘাঁটছিলাম আর ঠিক করছিলাম যে কী কী বই কেনা যায় বইমেলা থেকে। কিন্তু লেখক বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম কারণ বাংলাদেশে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকাটা খুব বেশী বড় না। আর তাঁদের বই আগেই কেনা হয়ে গেছে। হঠাৎ মনে এল একজনের নাম। তার একটা বই আমি বড় ভাইকে দিয়ে কিনিয়েছিলাম বইমেলা থেকে বছর ছয়েক আগে। বইয়ের নাম “বিবর্তনের পথ ধরে”। লেখিকার নাম বন্যা আহমেদ। বাং
যখন তারা নাস্তিকদের মগজ বের করে ছুড়ে ফেললো রাস্তায়-
আমি কিছু বলিনি,
আমি তো নাস্তিক নই।
যখন তারা হিন্দুদের পুরিয়ে মারলো-
আমি কিছু বলিনি,
আমি তো আর হিঁদু নই।
যখন তারা বিধর্মীদের বিচ্ছিন্ন মাথা সাজিয়ে রাখলো থরে থরে-
আমি কিছু বলিনি,
আমি তো বিধর্মী নই।
যখন তারা বেনামাজী তরুণ-তরুণীদের হত্যা করলো পাথর নিক্ষেপ করে-
আমি কিছু বলিনি,
আমি তো বেনামাজী নই।
মুক্তমনা অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়েছে। চিন্তার চর্চাকারীদের সকলেই এখন অনেকটা বিহ্বল, আমারই মতন। এটাই স্বাভাবিক। আমরা এখন বিচারের দাবি করছি, করতেই থাকবো। হুমায়ুন আজাদ স্যার, অভিজিৎ রায়, রাজিব হায়দার, অধ্যাপক ইউনুসসহ সকল হত্যার বিচার আমরা চাইবো। চাইতেই থাকবো। আমরা শোক করবো, স্মরণ করবো। কিন্তু একইসাথে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, এইসব হত্যাকা-ের কারণ, প্রকরণ এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে।
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো ...................
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো ...................
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো ...................
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো ...................
ব্লগ লিখুন পাতাটা খুলে চুপচাপ বসে আছি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ফেইসবুকের এক গ্রুপে মেসেজ পেলাম অভিজিৎদার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অভিজৎদাকে ফেইসবুকে মেসেজ করে কনটাক্ট চাইলাম। তখনও জানিনা কি ঘটেছে...
কাছের মানুষের সস্তা ধর্মানুভূতির কথা মাথায় রেখে কিংবা স্বার্থপরের মত নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা মানুষগুলোর অধিকাংশই ছদ্মনামে বা বেনামে লেখালেখি করে । ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের ধারালো চাপাতি তাই খুজে পায় অভিজিৎ রায়ের মত মুখচেনা মানুষগুলোকেই । কারণ ? কারণ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা হাজারো পরিচয়হীন ব্লগারের ভিড়ে অভিজিৎ রায়দের খুব সহজেই আলাদা করে ফেলা যায় বলেই । আমার মত মেরুদণ্ডহীন বেনামী ব্লগার চাপা চিৎকার করে যাই । গুমরে কাঁদি । মৌলবাদীদের ভয়ে ছদ্মনামের আড়ালে লুকিয়ে বৃথা আস্ফালন করে যাই । কারো টনক নড়ে না । কারণ আমাদের পরিচয় নেই । আমাদের ছদ্মনাম হালনাগাদ করা নেই ভোটার তালিকায় । আমাদের নেই কোন সংগঠন । রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবীও তাই বেনামী নাস্তিক ব্লগারের প্রলাপ । অভিজিৎ রায়ের আদর্শ ( মুক্তচিন্তা এবং প্রগতিশীল চিন্তা ) বুকে নিয়ে আমরা গোপনে এক প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন লালন করে যাই । অথচ আমাদের চেনা গণ্ডীর মানুষের কাছে সে আদর্শ থেকে যায় অজানা, কোন এক নাস্তিকের আদর্শ হিসেবে । অভিজিৎ রায়ের মত প্রগতিশীল মানুষ তাদের মনের কোন এক কোনে জায়গা পায় ধর্মানভূতিতে আঘাত দেয়া এক নাস্তিক ব্লগার পরিচয়ে ।
'আচ্ছা, বন্যাপা, আপনি এই ফেব্রুয়ারি মাসটা বাংলাদেশকে মিস করেন না?'
'হ্যাঁ, ভাই, ভীষণ মিস্ করি! আমাদের মেয়ে এতদিন স্কুলে ছিল দেখে এ সময়ে দেশে যেতে পারতাম না।'
আপনারা অবগত আছেন যে মুক্তমনা ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞান ও যুক্তি বিষয়ক বইয়ের জনপ্রিয় লেখক, আমাদের সহযোদ্ধা অভিজিৎ রায় ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে নিহত হন। একই হামলায় সাথে থাকা তাঁর স্ত্রী লেখিকা রাফিদা আহমেদ বন্যা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।