টানা কয়েকদিন বিরক্তিকর মেঘের পরে আজকে সকাল থেকে টানা রৌদ্র পাচ্ছি। শীতের দিন রৌদ্রজ্জ্বল হলে ঠাণ্ডা বাড়ে। তাতে আমার তেমন সমস্যা নাই। আমার সমস্যা গোমড়ামুখো আকাশ থেকে টিপটিপ বৃষ্টিতে। মগজ আর মাংসপেশী একসাথে বোবা হয়ে যায়। আজ সারাদিনে কয়েকদিন ধরে এখানে ওখানে খাবলা খাবলা জমাটবাঁধা তুষার গলেছে। দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রা নেমে যেতে সামনের বাড়িগুলিতে টালির ফাঁকে ফাঁকে চিমটি চিমটি সাদা টিকে গিয়ে পড়ন্ত রোদকে
সচলায়তনের সাথে আমার পরিচয় সচল নিলয় নন্দীর মাধ্যমে। ব্লগ কি, অল্প অল্প বুঝতে শিখেছি তখন। সচলয়াতনকে খুব খুব ভালো লেগে গেল। বিশেষ করে এতগুলো সমমনা মানুষ যেখানে লিখছেন, তার প্রতি অন্যরকম একটা ভালোবাসা তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। এর ভেতর থেকেও কিছু মানুষকে একেবারে আলাদা করে নিল মন। চরম উদাস, নজরুল ভাই, হিমুদা আরও কয়েকজন। কিন্তু হিংসে হলো একজনের ওপর। লোকটা এতকিছু পারে কী করে! আক্ষরিক অর্থেই পৃথিবীর পথে পথে ঘুরছেন আর লিখছেন। ঠিক পথে বসেই লেখা যাকে বলে। শুধু ভ্রমণ হলেও কথা ছিল। পাখি, জীব জগৎ, বই নিয়ে একের পর এক হৃদয়গ্রাহী লেখা বেরিয়ে আসছে তাঁর হাত থেকে। এমন মানুষকে হিংসে না করে পারা যায়। একেবারে ভালোবাসার হিংসে যাকে বলে। আক্ষরিক অর্থেই লোকটার প্রেমে পড়ে গেলাম। আর ভাবতাম, কবে তাঁর দেখা পাবো। সচলায়তনের প্রতিও প্রেমটা আরও গাঢ় হলো।
আমরা জাতি হিসেবে বড় দুর্ভাগা। স্বাধীনতার মাত্র ৩০ বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধীরাই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। এবং আজও তারা এদেশে বিশাল রাজনৈতিক শক্তি।
স্বাধীনতার পর এই শক্তির উত্থান সবাই প্রথম অনুভব করে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়, যখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতও যোগ দেয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য দলের সাথে।
আম্মুর কথামতো রোদে দেয়া লেপ গুলো ছাদ থেকে নিয়ে এসে আলমারির উপরের ক্লজেটে ঢুকিয়ে রাখতে যাচ্ছিল ঈশান। এ বছর ষোল তে পা দিল ও। কিন্তু এর মধ্যেই ছোটখাট সাইজের আম্মুকে লম্বায় এক হাত ছাড়িয়ে গেছে সে। কাজেই এইরকম কাজ গুলো লম্বু বলে আম্মু সোজা তার উপরেই ন্যস্ত করেন। লেপগুলো ঠুসতে গিয়ে কিসে যেন বাধছিলো, তখনই পেলো ছোট বাক্সটা।