পাশে চায়ের কাপটা নিয়ে বসে আছি বেশ কিছুক্ষণ। নানা ভাবনা চিন্তার মাঝে গরম ধোঁয়া ওঠা চা কখন যেন ঠান্ডা হয়ে গেছে। ইদানিং চা এর নেশাটা খুব পেয়ে বসেছে, অফিসে, ক্যাম্পাসে বাসায় একা ঘরে সব সময় চায়ের কাপটাকেই সবচেয়ে বেশি আপন মনে হয়। একবার কোলকাতার একটা বই এর দোকানে লেখা দেখেছিলাম, “Royalty, liberty, sensuality… you will find tea in all good things of life!” কথাটা বেশ মনে ধরেছিল। বেশ ছোট ছিলাম তখন, কিন্তু ও
সরষেফুল শীতের মাঠকে অন্যরকম সৌন্দর্য দেয়। কিন্তু সেই সৌন্দর্যের আড়ালে হারিয়ে যায় প্রকৃতির ক্ষুদ্র অনেক সুন্দর। কবি গুরু যেমনটি বলেছিলেন, পার্বতমালা, সিন্ধু দেখতে গিয়ে ধানের শীষের ওপর শিশিরকণার সৌন্দর্য আমাদের দেখা হয়ে ওঠে না। শীতে সরষে ফুলের আগুনলাগা সৌন্দর্যও তেমন। মাঠ-ঘাটের অনেক সুন্দরকে আড়াল করে দেয়। বিশেষ করে ঘাসফুল তার নির্মম শিকার।
কবিরা যুক্তি মানেন না আর ধার্মিকেরা যুক্তি বানান। এতে কোনো ঝামেলা নাই কারণ কাব্যকাহিনি যারা পড়েন আর ধর্মকথন যারা মানেন তারা ভিন্ন ভিন্ন লোক; ভিন্ন ভিন্ন রঙের অন্তর নিয়া তারা বসবাস করেন ভিন্ন ভিন্ন জগতে; যদিও দুই দলই ভিত্তি করেন মূলত কল্পনায়। পার্থক্য শুধু এই যে কাব্যভক্তরা কল্পনারে কল্পনা জাইনা বিনোদিত হন আর ধর্মভক্তরা কল্পনারে সত্য জাইনা করেন বিশ্বাস...
উচ্চশিক্ষার অকালসমাপ্তি করে একটা টিউবে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট আর দুই লাগেজে স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি ভরে বছর দুই আগে চ্যাপেল হিল ছেড়েছিলাম। সেই থেকে মোটামুটি অস্তিত্ব থেকে ইলোপ হয়ে গিয়েছিলাম। সব সময় পরিকল্পনা মত সবকিছু হলে যা হয়, অনাকাঙ্খিত ব্যার্থতা গ্রহণ করার সক্ষমতা গড়ে উঠে না। বিদেশ বিভূঁই, যেখানে পায়ের নিচের মাটি সতত সরণশীল, এই ব্যাপার শেখার আদর্শ পরিবেশ না। তাই গত দুই বছর নিজের মুখোমুখি
সরু গলিপথ। বাঁয়ে ঘোলা জলের পুকুর। জলের ছাদে কলমিলতার সাজানো বিছানা। ডানে সারিবদ্ধ ঘুপচি দোকান। একটি সেলুন, একটি লণ্ড্রি এবং একটি দর্জিঘর। দর্জিঘরের পাশেই বাঁধানো গেটের ভেতর সাজানো নিঃসঙ্গ কবরখানা।
কবরখানার উল্টোদিকে প্রাচীন মসজিদ। মসজিদের পাশে সারি বেঁধে শুয়ে কাজীবাড়ির সাতপুরুষ।
খোদার ঘরের দরোজায় মেহেরবানীর প্রতীক্ষায় লুলা ভিখিরির তোবড়ানো বাটি। খিদে পেটে জপছে আল্লা রসুলের নাম।
... অকস্মাৎ
পরিপূর্ণ স্ফীতি-মাঝে দারুণ আঘাত
বিদীর্ণ বিকীর্ণ করি চূর্ণ করে তারে
কালঝঞ্ঝাঝংকারিত দুর্যোগ-আঁধারে।
— নৈবেদ্য (৬৫), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্ফীতি একটা বুনো আগুন—একবার শুরু হলেই হলো, পুরো বন না জ্বালিয়ে থামবে না। আর বনটার যদি কোনো শেষ না থাকে? গুথ, স্তারোবিনস্কি এবং লিন্দে কহেন, মহাস্ফীতি'র (cosmic inflation) কারণেই নাকি আমাদের মহাবিশ্বকে অনস্তিত্বের বদলে অস্তিত্ব বেছে নিতে হয়েছে।
স্মৃতির প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ত্ব আছে, বেদনা আছে, বিষন্নতা আছে, আছে গোপন ভালোলাগা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাই বলে যাপিত জীবনের সঞ্চিত সকল স্মৃতি অম্লান থাকেনি মনের ঘরে, কত স্মৃতি ধূসর হয়ে হারিয়ে গেছে নাম না জানা কোন সে অদেখা অতলে। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির মিছিলে যে স্মৃতি আজও এতটুকু অম্লান হয়নি, সেটি আজাদের ”ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না’ পাঠের স্মৃতি। যে বই আমার ছেলেবেলা কে বিষন্নতায় ডেকে দিয়েছিলো, অন্ধকারে ড
দেশে কবি বেশী না কাক, এই গুরুতর প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তবে জানা আছে কিভাবে কবি হওয়া যায়, বিশেষ করে কিভাবে আধুনিক কবিতা লিখা যায়। এসো নিজে করির প্রথম লেখাই ছিল কিভাবে লেখালেখি করবেন। সেটার আবার বড় অংশ জুড়েই ছিল 'কিভাবে কবিতা লিখবেন'। সেখানে এনালগ ও ডিজিটাল উপায়ে কবিতা লেখার উপায় নিয়ে বেশ খানিক আলোচনা করেছিলাম। সফটওয়্যার দিয়ে কাব্য রচনার পদ্ধতি হাতে কলমে করে দেখিয়েছিলাম।প্রশ্ন হচ্ছে এতদিন পরে এসে
শুরুতেই বলি, এটা কোন গবেষণালব্ধ লেখা নয়। অতি সাধারণজনের উপলব্ধজাত ব্লগর ব্লগর যা কিনা পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠকদের সামনে পেশ করছি। লেখাটির দূর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে আপনার মতামতটিও প্রকাশ করুন, যাতে করে মোটামুটি একটা বিশ্লেষণ দাঁড়ায়। বিষয়টি নিয়ে আমারও জানার কৌতুহল প্রচুর। আশা করছি পাঠকদের সহযোগিতায় এবং সংযোজনে লেখাটি পূর্ণতা লাভ করবে।
প্রতিদিন সকালে উঠে এক কাপ চা সাথে সেদিনের দৈনিক। কাপের চা অর্ধেক নেমে আসতে একটা সিগারেট জ্বালানো, পেপারের শেষাংশ চলে আসে ততক্ষনে। তারপর খবর গুলো মাথায় নিয়ে চা ও সিগারেট শেষ করে প্রাত্যহিক ক্রিয়া সম্পন্ন। এরপর চিন্তা, কি করা যায় আজ!