আমাদের কানে কত কথা আসে, গান ভেসে যায়,
কত আকাঙ্ক্ষা! তড়িৎ নেশায় –
এখনও অনেক দুপুর অবধি একা বসে থাকি।
বিষণ্ণ রোদ, অযথা সময় –
আমাদের নয়। সুষুপ্ত সব দ্রোহে কুৎসিত উল্লাস-দিন –
হয় না সহ্য। আমাদের মতো স্মৃতিবিব্রত সুলভ শরীর – হয় সুপাচ্য।
কে ওখানে বসে বুড়ো হয় একা? আমাদের মতো মৃতের শহরে –
চাষবাস নেই। পুরোনো ফসল ঘরে তুলবার আয়োজন খুব।
নতুন এখানে মৃতদেহ নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে বাঁচে, বিবশ স্বপ্নে।
এই মুহূর্তে বেশ স্বস্তি লাগছে তাঁর। ইশ! এই মিডিয়াওয়ালা ছেলেটা যা জ্বালিয়েছে আজ! যাক, বাবা, শেষপর্যন্ত সবকিছু ভালোয় ভালোয় শেষ করতে পারা গেছে। অবশ্য ওই ছোকরার উল্টাপাল্টা প্রশ্ন আর কথার যন্ত্রণায় তাঁর মতো ঠাণ্ডা মানুষেরও মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল কয়েকবার, ভিডিও ক্যামেরায় ভিডিও হয়ে গেছে ঐ মুহূর্তগুলো। হঠাৎ তাঁর মনে হয়-আচ্ছা, ছোকরাকে বললে ওই জায়গাগুলো এডিট করে দিত কি?
আমরা হলাম রাঘব বোয়াল,ওরা হল পুঁটি
ভালবেসে চড়-থাপ্পড় মারছি একটি দু'টি
পাহাড়ি লোকেরা খুব আনাড়ি
দেশটা নাকি তাদেরও বাড়ি?
এমনি সকল আজগুবি ভাব ঘুরছে তাদের মাথায়
বাঙ্গালিরা যে মা-বাপ তাদের, এইটা কে যে বুঝায়?
ইচ্ছে হলেই টানব কোলে
দোল খাওয়াব 'ভাইয়া' বলে
ইচ্ছে হলেই আমরা আবার জ্বালাব বাড়ি ঘর
সমান-সমান ভাগ চাইবি? হুঁশ হলো না তোর?
পাকিরা গেছে একাত্তরে, যায় নি তাদের ভূত