[ আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারও দানে পাওয়া নয়। দাম অবশ্য আমি দিইনি, বাকিতেই পেয়েছি পূর্বপুরুষের বদান্যতায়। সেই বাকির খাতা কখনও শুধতে পারব না, জানি। কিন্তু, বাকির খাতায় যে নাম তোলা আছে সেটুকু অন্তত যেন আমরা ভুলে না যাই। যাঁদের রক্তের ওপর গড়া এই দেশে (প্রায়) নির্বিবাদে বেঁচে আছি, তাঁদের রক্তপাত শুরু হয়েছিল এই দিনেই। জানা কিংবা অজানা সেই সকল অসীম সাহসীদের জন্য নিরন্তর শ্রদ্ধা। ]
[i][ওরা যুদ্ধ করেনি, ওদের সার্টিফিকেট নেই, ইতিহাসে ওদের কোন পদবী নেই। ওদের কেউ অন্ধকার রাতে টর্চলাইট হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পথ দেখিয়েছে, কেউ রাতে ঘরের দাওয়ায় আশ্রয় দিয়েছে, নিজের খাবার বাঁচিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছে, তাঁদের অস্ত্র, তথ্য, সংবাদ পারাপার/পাচার করেছে দীর্ঘ নয়মাস ধরে। অতঃপর দেশ স্বাধীন হবার পর কৃতিত্ব দাবীদারের ডামাডোলে ওদের কথা ভুলে গেছি আমরা। সেই সব অনালোচিত, ভুলে যাওয়া অমুক্তিযোদ্ধা স
[justify]কয়েকদিন আগে ফেসবুকে কেউ একটা গান শেয়ার দিলেন। চকমকে শাড়ি পরা এক নারী গান গেয়ে, মোবাইলে রেকর্ড করে আপ করেছিলেন। সেই গান ঘুরছে এর তার দেয়ালে। গানের গুণে নয়। শিল্পী এখানে মূল লক্ষ্য। মজা হচ্ছে সেটা নিয়ে। মিনিটখানেক শুনে নিজেও তাতে যোগ দিলাম। আমার এক বোন তার ‘প্রেন্ড’ হবার আগ্রহ জানিয়ে স্টেটাস দিলো। শব্দটা দেখে বুঝলাম এরকম কিছু একটা উচ্চারণ করেছেন তিনি। তার ফেসবুক একাউন্ট বের করলাম। তারপর হু
ধরা যাক প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের রাজনীতি, যুদ্ধের নেতৃত্ব, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র কিংবা একাত্তর পরবর্তী চারটি বছর যে রক্তাত্ত ইতিহাসের মাঝ দিয়ে বেড়ে উঠেছিলো বাংলাদেশ, তার কিছুই জানে না। জানে না বঙ্গবন্ধু হত্যা তথা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে কে বা কারা কাজ করেছিলো প্রকাশ্য দিবালোকে আর একান্ত সঙ্গোপনে। জানে না একাত্তরের রণাঙ্গনের দেবদূত হয়ে ওঠা আদর্শের প্রবাদ পুরুষ একজন খালেদ
চামচঠুঁটো বাটান একটি মহাবিপন্ন পাখি, সারা পৃথিবীতে এদের সংখ্যা একশ জোড়ারও কম। সাইবেরিয়ার ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তোলা এই ক্ষুদের বিস্ময়কর পাখিটি শীতকালে পরিযাজন কালে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার সৈকতের কাদাচরে চলে আসে। নামেই বুঝছেন যে এর ঠোঁটটি অতি অনন্য, ছোট্ট একটি চামচের মত, যার মাধ্যমে কাদাচর থেকে খাবার ছেঁকে নেয়। মহাবিপন্ন পাখিটিকে রক্ষার জন্য এখন সচেতন হয়ে উঠেছে কিছু মানুষ, তাদের বিলুপ্তির হাত থেকে ঠেকানো
ক'জন তাদের একাডেমিক পেপার বা থিসিস ইংরেজি থেকে বাংলা করার চেষ্টা করেছেন, অথবা বিজ্ঞানচর্চার চেষ্টাই বা করেছেন বাংলায়? সংখ্যাটি অত্যন্ত কম বলেই আমার ধারণা। একবার মনের খেয়ালেই চেষ্টা করেছিলাম আমার এক কনফারেন্স পেপার বাংলা করার, দুই প্যারা করেই ক্ষান্ত দিয়েছিলাম। আমার মতে বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার অভাবের প্রধান না হোক, অন্যতম কারণ হচ্ছে বাংলায় বিজ্ঞান-বিষয়ক লেখার অভাব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে না হয় কিছু বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা হলেও হতে পারে, প্রকৌশল বা চিকিৎসা বিদ্যালয়গুলোতে বাংলার ব্যবহার নিষিদ্ধই বলা চলে!
এ অবস্থার পরিবর্তন আনার জন্যে কঠিন কাজটি হলো বাংলায় সব বিষয়ে ভাল ভাল বই লিখে ফেলা। সে সুযোগ আমাদের তেমন নেই, কারন দেশের বিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা হয় না, শেখানো কিভাবে চাকুরি পাওয়া যায়। বুয়েট আমাকে প্রস্তুত করেছে বিসিএসের জন্যে, গবেষণা করতে শেখায়নি, শিখিয়েছে অসংখ্য গাণিতিক বিশ্লেষণ, শিখায়নি গণিত, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নকে ভালোবাসা যায়। বিচ্ছিরি সব ডিজাইন ঘাড় ধরে শিখিয়েছে, বোঝায়নি মূলনীতি (যা শিখে আমি খাতা-কলম-ক্যালকুলেটর না পিষে ছোট্ট একটা প্রোগ্রাম লিখেই সমাধান করে ফেলতে পারতাম)। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় অবশ্য আমি নীতি-নির্ধারকদের খুব বেশি দোষ দিতে পারি না, আগে মাথার উপরে ছাদ আর পায়ে চলার পথ দরকার, আপাতদৃষ্টিতে 'অর্থহীন' গবেষণার থেকে।
সানাউল্লাহ ছুটছেন গ্রামকে গ্রাম পেছনে ফেলে। পতিত জমির আল ধরে, মেঠো পথ ধরে, স্বাধীন বাংলার মানচিত্র আঁকা পতাকার খুঁটি ধরে। পতপত করে সে পতাকা উড়ছে ডিসেম্বরের শীতল হাওয়াকে পোষ মানিয়ে। মনে তাঁর আজ বিষম আনন্দ। তিনি ছুটছেন বাড়ীর উদ্দেশ্যে, যেখানে রেখে এসেছিলেন কিশোর পুত্র আর কৈশোর পেরোনো কন্যাকে। নিশ্চয় তারা দেশ স্বাধীন হওয়ার খবর শুনেছে? নিশ্চয় দিন গুনছে বাবার ফিরে আসার?
ফ্ল্যাট বাড়িগুলোর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বেস্টনি পেরিয়ে মধ্যরাতে যখন ইন্টারকম বেজে ওঠে তখন সবার মনেই কোনো না কোনো আশঙ্কার ভাবনা উঁকি দিয়ে ওঠে। কোনো দুঃসংবাদ না তো!কোনো অঘটন ঘটল না তো!
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
আমাদের বাংলা ভাষাব্যাকরণে স্ত্রীলিঙ্গের মানুষ প্রজাতিকে,
নারী: নৃজাতির বা নরজাতির স্ত্রী, নরের ধর্ম্ম্যা, সীমন্তিনী- কামিনী,
স্ত্রী: যাহাতে গর্ভ সংহত বা কঠিন হয়, সীমন্তিনী, নারী - যোষিৎ, মাদী ,
ললনা" সুকুমারাঙ্গী, বিলাসকারিনী,
রমণী: রময়িতা, রতিকারি)
দৃষ্টিপাত এর ডিসি চ্যাপ্টার (Drishtipat DC) আজ দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসি শহরের ডুপন্ট চত্বরে অভিজিৎ রায়ের স্মরনে এবং তার হত্যার বিচারের দাবীতে 'Standing with Avijit' নামে এক ইভেন্টের আয়োজন করে। প্রায় ৪০/৫০ জন ভিন্ন ধর্ম/মতালম্বির মানুষের জনসঙ্গমে প্রায় দেড় ঘন্টার এই অনুষ্ঠানে ছিল অভিজিৎ দাকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ, বন্যাদির বিবৃতি পাঠ, কিছু জাগরণের গান গাওয়া। পরিশেষে বাংলাদেশে বিগত এক দশকে মুক্তমনা এবং অ