বইমেলা, ২০১৫
২- ২৬ ফেব্রুয়ারি
প্রকৃতী বড় হেয়ালী আর খেয়ালী, এখানে ঘটে যায় কতো কিছু! কখনও বা সেটা আনন্দের, কখনও কষ্টের আবার কখনও বড়ই অদ্ভুত। প্রকৃতী আমাদের শুধু 'মানুষ' হয়েই চলতে শিখিয়েছে। তাই পাখির মতো উড়তে গেলে, মাছের মতো পানির নীচে চলতে গেলে আমাদের 'টেকনোলজি'র সহায়তা নিতে হয়। তো যাই হোক, ব্যাপার সেটা না। ব্যাপার হলো প্রকৃতীতে ক্যামোফ্লেজ করে পরিবেশের সাথে মিশে থাকার পাশাপাশি আরো একটা মজার ঘটনা আছে আর তা হলো ডিসগাইজ বা ছদ্মবেশ ধারণ। এন্ট মিমিকিং জাম্পিং স্পাইডার হলো এমনই একটি ছদ্মবেশী মাকড়শা যে দৃশ্যত পিপড়ার মতো বেশ ধারন করে তার শিকারকে বোকা বানায় এবং সেই সাথে নিজেও শিকার করে।
সপ্তম অধ্যায়
ফাগুন মাসে প্রকৃতি সাজে সবুজের গয়নায়। আমগাছে থোকা থোকা মুকুল, বাতাবি গাছের শাখায় কচি পাতা আর সাদা ফুলের মেলা। মন পাগল করা গন্ধ সে ফুলের। পিটালি গাছে এসেছে ছোট ছোট গুটি। কুল গাছে টসটসে পাকা কুল। কাঠ বিড়ালি আর পাখিদের আনাগোনা। বসন্তের স্বচ্ছ বাতাস ধোয়া শুভদিনে সবেদ আলির ঘর আলো করে এল ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। বংশের প্রদীপ। বেড়ে গেছে হুরমতির কদর। ছমিরন বিবি ভয়ে ভয়ে থাকে কখন কোন অপরাধ ধরা পড়ে।
সদ্যজাত বংশধরকে নিয়েও আহ্লাদের অন্ত নেই সবেদ আর হুরমতির। ছেলেটা একটু চোখ ফুলিয়ে কাঁদতে আরম্ভ করলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সমিরন। পিঁপড়েয় কামড়াল, মাছিতে জ্বালাতন করছেথ-- ছমিরনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়। পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। সামান্য শব্দে কেঁপে ওঠে ছোট্ট বুকটা-- সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয় ছমিরনকে, ঠোঁট ফোলানোর আগেই বুকে থাবা দিয়ে নিবৃত করতে হয়।
অক্ষরের শরীর বেয়ে চুইয়ে পড়ে চিন্তার রক্ত
আর আমরা গাধা এবং ঘোড়া নিয়ে গল্প করি
এক একটা বজ্র ছুটে যায় শহরের প্রান্ত থেকে প্রান্তে
প্রাণপনে ঘুমাতে চাই সাইরেন অস্বীকার করে
মৃত্যু ঘিরে থাকে চার দেয়ালের মত
মৃত্যু ঘিরে থাকে অশ্রুর নিষ্ফলতার মত
মৃত্যু ঘিরে থাকে- মশারীর মতন স্বচ্ছ, নির্বিকার
সমস্ত নিসর্গ জুড়ে প্রাণপণে নিমজ্জিত জল ছুঁইছুঁই ভিক্ষাপাত্র থেকে
একটা মেয়ে কেন ধর্ষিত হয়? এই প্রশ্নটা শুনলেই উত্তর দেয়ার জন্যে নানা কিসিমের আগ্রহী লোক জমায়েত হয়ে যায়। সেটা হোক বন্ধুদের আড্ডায়, সুশীলদের সেমিনারে, অনলাইনে অথবা অফলাইনে। প্রায় প্রত্যেকটা মানুষেরই এই ব্যাপারে কিছু বলার থাকে সাধারণত। নীতি-নৈতিকতা নিয়ে জ্ঞান দেয়ার সুযোগ মানুষ সাধারণত ছাড়ে না। এছাড়াও মেয়েদের পোশাক আশাকের ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ কিছু বলার মতো কথা নেই, কত রাতের পর ভদ্র ঘরের মেয়েরা বের হয় না, বা বের হওয়া উচিত না সেই বিষয়ে দেয়ার মতো নিজস্ব অথবা ধারকৃত মতামত নেই, এমন মানুষ সংখ্যায় খুব বেশি না। মেয়েরা নরম টিউব আর ছেলেরা শক্ত টায়ার, টায়ার ছাড়া শুধু টিউবে গাড়ি চালালে পেরেক তো ফুটবেই এরকম উপমাও দেন আমাদের বিখ্যাত সেলিব্রেটিরা। সেখানে শত শত লাইক পড়ে, সাথে দুই একটা গালিও হয়ত। পত্রিকায় মেয়েটার ছবিসহ খবর ছাপা হয়, শিরোনাম হয় ‘তরুণী ধর্ষিত’। সেখানে রিপোর্টের ফাঁকে ফাঁকে লেখা হয় মেয়েটার কামিজের দৈর্ঘ্য কতটুকু ছিল, মেয়েটা কত রাতে বাড়ি ফিরছিল। সবাই প্রশ্ন করে, ‘কেন ধর্ষিত হলো মেয়েটি?’ একটা মেয়েকে তো কেউ এমনি এমনি ধর্ষণ করে না, কত মেয়েই তো একা একা চলে, কই তাদের তো কিছু হয় না!
শুভ জন্মদিন, গুঁফো বুড়ো।
ভাগ্যিস আপনি জন্মেছিলেন।
এই লেখাতে আমি বাংলা ভাষায় কম্পিউটিং এর সম্পর্কে আরও কিছু মতামত তুলে ধরতে চাই। মোস্তফা জব্বার এর ব্যবসা ও তার উদ্ভাবন সম্পর্কে আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। যেভাবে আমার শ্রদ্ধা আছে নকিয়া এর মোবাইল ফোনের অবদানের প্রতি।
আমি ভালো নাকি মন্দ জানিনা। কেউ তার নিজের ভালো মন্দের সার্টিফিকেট দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা। কিন্ত এ মুহুর্তে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্য হচ্ছে আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে অনেক অনেক ভালো লাগে এ কথা আমি ছাড়া সম্ভবত আর আকাশ জানে।
নীল সবুজ কম্বিনেশনের সালোয়ার কামিজে অপর্ণাকে খুব সুন্দর লাগছে। মিষ্টি করে সেজেছে অপর্ণা। হালকা মেকআপের সাথে কানের ম্যাচিং নীল পাথরের দুল দুটিতে বেশ জমকালোও লাগছে ওকে। অপর্ণা নীলচে আই লাইনার আর কাজলের আড়াল দিয়ে ওর চোখের বিষণ্নতা ঢাকবার খুব চেষ্টা করেছে। অথচ আমি দেখেছি লাল-গোলাপি রঙেও ওকে বিষণ্ন লাগে। আর নীল হলে তো কথাই নেই। কাল রাতে চ্যাট করার সময় আমাকে ওর চোখের এই সাজের বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলের ছবি পাঠ
বিল জোনস বাংলাদেশের পাখি গবেষকদের কাছে এক অতি চেনা নাম। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের আমন্ত্রণে ২০১০ সাল থেকে ৪ বার বাংলাদেশে এসেছেন এই ৬০ পেরোনো এই ইংরেজ পক্ষীবিদ, আমাদের পাখি রিং করা শেখাতে, এবং আসেন নিজের টাকায়। উল্লেখ্য, সারা পৃথিবী জ়ুড়ে সারা জীবনই এই কাজ করেছেন তিনি, পাখির মন বুঝে জাল পাততে তার জুড়ি নেই, আর জুড়ি নেই পরিশ্রমে, সব সময়ই হয় নেট রাইডের জন্য গাছ সাফ করছেন, জাল টানাচ্ছেন, বাঁশ নিয়ে যাচ্ছে