আইচ্ছা কর্ণ কি আদৌ কুন্তীর পোলা?
সন্দেহ হয় আমার। কওয়া হইছে যে কুন্তী তারে ভাসাইয়া দিবার পর সন্তানহীন সূত অধিরথ তারে কুড়াইয়া আইনা পোষে। কিন্তু অধিরথের তো আরো পোলাপান আছে। কুরুযুদ্ধেই তারা যুদ্ধ করে। বলা হয় তারে স্তন্যদান করে সন্তানহীন রাধা। কিন্তু সন্তানহীন বন্ধ্যা নারী কেমনে স্তন্য পান করায়?
সব তালগাছ তালঢ্যাঙ্গা হয় না জানি, কিছু কিছু তালগাছ আক্ষরিক অর্থেই তালঢ্যাঙ্গা হয়। হয়তো এই কিছু কিছু গাছের সুবাদেই ঢ্যাঙ্গা শব্দটার সামনে নিজের নাম বসিয়ে নেবার একচেটিয়া অধিকার পেয়ে গেছে সমস্ত তালপ্রজাতি, কে জানে!
সেদিন কি হল বলি তবে। প্রথমে ত সকাল হল। আর তারপর, মিতুল - ও হো, বলাই ত হয়নি মিতুল কে। ঠিক ধরেছ। মিতুল একটা ছোট্ট মেয়ে। তুমি ত অনেক বড় হয়ে গেছ। কত কি জানো, কত কথা বল। মিতুল তোমার মত বড় নয়, কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কথা বলে যে সবাই বলে,
- বাব্বাঃ, মিতুল দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে!
মিতুল এখনো অনেক কিছুই জানে না। কিন্তু জানতে চায় অনেক।
সেই সব দুপুরগুলো মোটেও তার ছিলো না, সেগুলো ছিল মায়ের দুপুর। সেই দুপুরের সবার খাবার শেষ হলে, থালা-বাটি গুছিয়ে রেখে মা দ্রুত এসে শোবার ঘরের বিছানার কোনে ছোট্ট টেবিলে রাখা এন্টেনা ভাঙা রেডিওটার দখল নিতেন। রেডিওকে তখন রেডিও বলতো না কেউ, বলা হতো ট্র্যাঞ্জিষ্টর। মা সাত সকালে স্নান সেরে লক্ষ্মী পূজো আর রান্নার শুরুর তাড়ায়, ভিজে অবস্থায় খোঁপায় বেঁধে রাখা প্রায় হাঁটু সমান লম্বা চুল ছেড়ে দিয়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসতেন। তারপর ট্র্যাঞ্জিষ্টরের নব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মা আকাশবাণী কলকাতা খুঁজে বের করতেন, উদ্দেশ্য রবিবার দুপুরের নাটক। তাকে মায়ের পাশে শুয়ে থাকতে হতো। শাওলি মিত্র, শম্ভু মিত্র এদের অতো অতো গুরুগম্ভীর সংলাপের কিচ্ছু কি সে বুঝতো! তার গোটা দুপুরটাই পণ্ড হতো সেদিন। তবে নাটক শোনায় মগ্ন মায়ের নাটকের সাথে একাত্ম হয়ে যাওয়াটা দেখতে তার খুব ভালো লাগত। মায়ের মুখে রাগ, অনুরাগ, আনন্দ, বেদনা কতো কতো অনুভব আঁকিবুঁকি কেটে যেতো। মাকে তখন কোন প্রশ্ন করলে মা খুব রেগে যেতেন। কথা না বলে দুর্বোধ্য নাটকের না বোঝা সংলাপ শুনে একটি ঘণ্টা সহজে কাটতে চাইতো না। তার সেদিন মন খারাপ, তার সেদিন বন্দী দশা।
ছোটবেলা থেকে আমরা সবাই শুনে আসছি মুসলমান-মুসলমান, ভাই-ভাই...! আসলে কি তাই? দুটো ভিন দেশের মুসলমান কি কোন কালে ভাই-ভাই ছিলো কিংবা আজ ও কি আছে?
বিজয় কি বোর্ড নিয়ে সম্প্রতি ইন্টারনেট এ ঝড় উঠেছে। বিজয় কিবোর্ড এর মালিক মোস্তাফ জব্বার এর পক্ষ থেকে খুব সম্ভবত Google এর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে Copyright Infringement এর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গুগল জনপ্রিয় Ridmik কিবোর্ড কে গুগল প্লেষ্টোর থেকে সরিয়ে ফেলেছে। এই লেখাটি অনেক দিন ধরে লিখবার ইচ্ছে ছিল, আজ লিখেই ফেললাম।
সেটা ছিল এক আশ্চর্য তুষাররাত্রি। অজস্র অসংখ্য অগণ্য তুষারকণা ঝাঁপিয়ে নামছিল মেঘেভরা আকাশ থেকে, সাদা ধবধবে ঝুরো তুষারে ঢেকে যাচ্ছিল মাটি, পাথর, পথ, ঘাট, মাঠ, বাগান-সব কিছু। ঐ ঝরে পড়তে থাকা, বাতাসে উড়তে থাকা তুষারকণাদের দিকে চেয়ে থাকলে মনে হয় বাস্তব দুনিয়া নয়, চলে গেছি কোনো স্বপ্নের দেশে, অণু পরমাণুর জগতে, যেখানে কোটি কোটি অর্বুদ অর্বুদ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা অক্লান্ত নৃত্য করে চলছে অনন্তকাল।
অভিজিত হত্যার ঘটনার পর আমি শিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে দুটো পক্ষ দেখতে পেলাম। দুটো পক্ষের সাথে আমার যা কথোপকথন তার মধ্যে আমি দুটো আলাপের বিবরন দেবো এখানে।
প্রথম পক্ষ কঠোর মুমিন। প্রশ্ন রাখলো, "আল্লাহ ও নবীকে নিয়ে কুৎসিত প্রচার কি মুক্ত মনের পরিচয়? সেরকম কেউ করলে তাদেরকে আঘাত করাটা কি খুব বেশী অন্যায়?"
অনেক্ষণ ধরে রিক্সার খোঁজে খিলগাঁও রেলগেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এমনিতেই দুপুর তার উপর প্রচন্ড রোদ। বেশ কয়েকটা রিক্সাকে জিজ্ঞেস করলাম বাড্ডা যাবার জন্য। কিন্তু কেউ রাজি হচ্ছে না। এখান থেকে বাড্ডা যাওয়ার একটা সহজ উপায় হলো বাস। কিন্তু দেশের যা অবস্থা, বাসে উঠাই এখন মুশকিল। সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হয় কখন একটা পেট্রোল বোমা কাচ ভেঙ্গে বাসকে ঢুকে পুরো বাসকে ছাই বানিয়ে দেয়। এই ভয়ে ক'দিন ধরে বাসে উঠাই ছেড়ে দিয়