Archive - মার্চ 2015 - ব্লগ

March 4th

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড এবং বাক-স্বাধীনতা বনাম বাক-সন্ত্রাস

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ০৪/০৩/২০১৫ - ৫:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অভিজিৎ রায় হত্যার অভিযোগে অতি সম্প্রতি ফারাবী নামের এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ফারাবী প্রথমে আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালে রাজিব হায়দার হত্যাকাণ্ডের সময়। তখন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনের মাধ্যমে ফারাবী মুক্তি পান। সেই মামলার সুরাহা এখনও হয়নি। জামিনে ছাড়া পাবার পর সংশ্লিষ্ট ধর্মান্ধ দলটির তৈরী করা তালিকার প্রথমে থাকা অভিজিৎ রায়কে নিয়ে ফারাবী নিয়মিত উস্কানীমূলক এবং প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করেন ফেইসবুকে। অভিজিৎ হত্যার পর এজন্য প্রথমেই ফারাবীর নাম উচ্চারিত হতে থাকে।

ফারাবী গ্রেফতারের কাছাকাছি সময় জানা যায় আনসার বাংলা সেভেন নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে হত্যার প্রায়-দায় স্বীকার করা হয়েছে। তাছাড়া পরে আরো অন্যান্য গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা সর্ম্পকেও গুজব ছড়ায়।

একারনে কেউ কেউ প্রথমতঃ ধরে নেন এই হত্যাকাণ্ডে ফারাবীর সংশ্লিষ্টতা নেই এবং দ্বিতীয়তঃ প্রশ্ন তোলেন শুধুমাত্র ফেইসবুকের মন্তব্যের কারনে ফারাবীকে কি আদৌ গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেয়া যায় কিনা। তাছাড়া অনেকে প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎের লেখা ধর্মানুভূতিতে আঘাত করায় এক ধরণের সেটা বাক-সন্ত্রাসের পর্যায়ে পড়ে। আমার এই লেখার সুত্রপাত বাক-স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনগুলো এবং যুক্তির আলোকে বাক-স্বাধীনতা এবং বাক-সন্ত্রাস বিষয়দুটো আলোচনা করা।


যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৪/০৩/২০১৫ - ২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েকদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আমি অত্যন্ত ভীতু মানুষ। ভয়ের চোটে গত কয়েকদিন খবর-পত্রিকা-অন্তর্জাল সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থেকেছি। কি হবে খবর জেনে? এমনকি ফারাবী’র পুনঃগ্রেপ্তারের খবরটাও জেনেছি প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে। জেনেই বা কি হবে, লুচ্চাটার বড়জোর ফাঁসি হবে, কিংবা তাও হবেনা। ফারাবীদের ফাঁসি-টাসি হয়না। ঘুরেফিরে অভিজিৎ রায়েরাই কোপ খেয়ে হারিয়ে যান কোন অজানার দেশে।


হঠাৎ উথলে ওঠা পাকিপ্রেম

ধ্রুব আলম এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব আলম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৪/০৩/২০১৫ - ১২:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কদিন আগেই মনে হয় গেলো ডাকবাবা আফ্রিদির জন্মদিন। আর তার সাথে চলছে এখন বিশ্বকাপ, মাঝে মাঝেই হয়ে যায় পাকি শুয়োরের বাচ্চাদের খেলা। এই খেলায় তাদের মাঠের যা পারফর্মেন্স থাকে, তার থেকে ভাল পারফর্মেন্স দেখায় পরদিন এদেশের মিডিয়া, বিশেষ করে মইত্যা আলুর উটপোদ শুভ্র। এর সাথে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে করপোরেট হাউজগুলোর পাকি ডান্ডু চোষন। পাকিপ্রেম এরা আর ধরে রাখতে না পেরে উগরে দিচ্ছে এক্কেবারে।


March 3rd

আমাদের পুরনো ছাদ ঃ একটি শিশুতোষ রূপকথা

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৩/২০১৫ - ৪:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের বাড়িতে একটা মাত্র ঘর। সেই এক ঘরের বাড়িতে আমরা সবাই থাকি, খাই। এক ঘরের এই বাড়ির একটা দরজা, জানলা দুটো। একটাতে ভারী পর্দা ঝুলে আরেকটার কপাটে কালিমাখা। জানলাগুলো বন্ধই থাকে। তবু আমাদের একা রেখে বড়রা দূরে গেলে বারবার সেগুলোকে পরীক্ষা করে দেখা হয় বন্ধ আছে কিনা। তখন দরজা খোলাও বারণ। কারণ চোরের উপদ্রব খুব বেশি আর বাইরের ধু ধু মাঠে ঝড়ের হাওয়া ওঠে যখন তখন। সে ধুলোবালি ঘরে ঢুকে নোংরা করে দিতে পারে। আ


দেজাভু

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৩/২০১৫ - ৪:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝেমাঝে মনে হয় এই জীবনে আর নতুন করে লেখালেখি করার দরকার নেই। যা যা লিখেছি গত দুই তিন বছরে সেগুলো সময়ে সময়ে একবার করে কপি পেস্ট দিয়েই বাকি জীবন কাটিয়ে দেয়া যাবে। অদ্ভুত এক দেশ আমাদের। এখানে একই ঘটনা বারেবারে হয়, ঘটনার পর একই নাটকও বারেবারে হয়। নাটকের কুশীলবের একটু অদলবদল হয় কিন্তু বাকি সবই একইরকম। উদাহরণ দিয়ে বলি। প্রথমে দুই বছর আগে রাজীবের মৃত্যুর পরে লেখা থেকে একটা অংশ কপি পেস্ট করি -
[i]


কেন এভাবে কাঁদিয়ে গেলেন অভিদা?

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ১০:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বসে ছিলাম ছায়াবীথির সামনে তৈরি বাংলা একাডেমির মাচায়। আমি আর ইমতিয়াজ আহমেদ​। লম্বা-চওড়া এক ভদ্রলোক এলেন। পরামাণুর গহীন নিসর্গে বইটা কিনে ইমতিয়াজ ভাইয়ের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘স্যার একটা অটোগ্রাফ প্লিজ!’ এরপর আমি একটু অনমনষ্ক, কে না কে! ওদিকে নজর দিলাম না। হঠাৎ একটা কথা কানে এলো, ‘আমি অভিজিৎ।’


২৮ বর্গমিটার

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ৮:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২৮ বর্গমিটারের একটা ঘর। সেটাই আমার অ্যাপার্টমেন্ট। একজন মানুষের বেঁচে থাকতে যা কিছু লাগে সব আয়োজন এর মাঝেই। একটা দেয়াল কাঁচের। সেটাই জানালা। পর্দা সরিয়ে দিলে, কনকনে শীতে কুঁকড়ে যাওয়া গাছগুলোকে ঝড়ো বাতাসের সাথে যুঝতে দেখা যায়। কিছু ছাত্রহোস্টেলের শ্যাওলা ধরা ছাদ চোখে পড়ে। তার মাঝে মাঝে বয়লারের ধোঁয়া বের হবার চিমনি। বৃষ্টির পানি জমে আছে এখানে সেখানে। এরকম একটা অ্যাপার্টমেন্টেই কি মারা গেছি


March 2nd

অদেখা বন্ধুর জন্যে

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ৩:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)


এক একদিন প্রতিদিন-৯

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০২/০৩/২০১৫ - ৩:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুক্রবার সকালে আউট পেশেন্ট ক্লিনিক, বসে বসে অনেক কিছু ভাবছিলাম। অন্য দিনের চেয়ে আজ স্কেজুল বেশ হালকা। গত কয়েক দিন প্রচণ্ড শীত পড়ায় অনেক রুগী শেষ মুহূর্তে এপয়নমেন্ট ক্যানসেল করেছেন। খুব ধীরে সুস্থে সবাইকে দেখছি আজ। শেষ রুগীটি প্রথমবারের মতো আমাকে দেখাতে এসেছেন। তার সাথে কথাবার্তা শেষ করে ল্যাব স্লিপ লিখছি, তিনি হঠাৎ জানতে চান,
-ডক, তুমি কোন দেশের?
আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ প্রধান ছোট্ট এই শহরতলীর অনেক রুগীকেই আমার তামাটে গায়ের রং, ঘন বাদামী চুল, এবং বিশেষ টানযুক্ত ইংরেজী উচ্চারণ খুব কৌতূহলী করে তুলে, বুঝতে পারি। অনেকে ভদ্রতা করে জিজ্ঞেস করেনা না। আবার অনেকে প্রথম দিন-ই জিগ্যেস করে ফেলেন। আমি পাল্টা জানতে চাইলাম,
-তোমার কি মনে হয়? ও একটু ভেবে বলে,
-ইন্ডিয়ান
-না, আমি ইন্ডিয়ান না।