মা দিবস যাই যাই করছে। কোনো বিশেষ দিন মনে থাকে না। এই দিনটাও ভুলে যেতাম ফেসবুক না থাকলে। আমার মাকে আমি অহর্নিশ জ্বালাতন করি। আজন্ম বন্ধুত্ব, একসাথে বেড়ে ওঠা আমাদের। সন্তানেরা বড় হলে মা-বাবা'র আরেক শৈশব শুরু হয়। আমি বড় হতে হতে আমার মা এখন ছোট্ট মেয়েটি হতে শুরু করেছে। দিনশেষে পথ চেয়ে বসে থাকে আমার আশায়। আমরা গল্প করি, ঘুরিফিরি, খাইদাই। বছরের যেকোনো দিন, যখন খুশি। তার জগতজোড়া অভিমান, আবদার আমা
আমাদের দেশে একটি আইন রয়েছে, যেই আইন কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। আর তার শাস্তি কম করে হলেও ৭ বছরের কারাদণ্ড।
অনেক বছর পর বাড়িতে এলাম। বাড়ি মানে আমাদের পৈতৃক ভিটা। বাবা মারা গেছেন তিন বছর হলো। মা তার আগের বছরই মারা গেছেন। মা বেঁচে থাকতে বাবা-মায়ের সাথে কুরবানির ঈদ করবার জন্য দাদাভাই বলেছিল কিন্তু আনন্দীর বাবা নিজের বাবা-মা ছেড়ে কিছুতেই কুরবানির ঈদ শ্বশুরবাড়িতে করতে রাজী না হওয়ায় আমার আসা হয়নি। আমি আসিনি দেখে রঞ্জাও আসেনি। আসলে বাবা মারা যাওয়ার পর ভাই বোনদের একসাথে এভাবে কখনো আসা হয়নি। সংসার আর চাকরি সামলা
নারী দিবস। মাতৃ দিবস। আমার মা-এর কাছে এই দিবসগুলি কোন বিশেষ বার্তা আনে না। তা বলে বার্তাগুলি থেকে তিনি দূরে থাকেন না। নিয়মিত খবরের কাগজ পড়েন। খবরের সাথে নিজেকে সংপৃক্ত রাখেন। বস্তুতঃ সেই পাঠ-ই তাঁকে সচল রেখেছে। কিন্তু তাঁর চারপাশের দুনিয়ায় তিনি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছেন। তাঁর মানসিক আর শারীরিক সক্ষমতার যতটা অবশিষ্ট আছে, তাতে উন্নত দেশের বাসিন্দা হলে তিনি এখন-ও সক্রিয় জীবনযাপন করতেন। কিন্তু নিজের দেশে, সন্তানের সংসারে শিশুপালনের ভূমিকা পার হয়ে গেলে নিজের জনেদের মধ্যে থেকেও অনেক কাল-ই তিনি তাঁদের চলমান, ঘটমান জীবন প্রবাহ হতে বিচ্ছিন্ন। তাঁর মত, তাঁর বয়সীরা আরও অনেকই। সেখানে সেটাই রীতি।
এই যে আপনি আর আমি মুখোমুখি বসে আছি-
এই যে দুইজন আমরা এখন কথা বলছি...
আমরা এরকম আর থাকবো না, তাই না?
না কি, আমরা কোনদিনও এরকম ছিলাম না?
তাহলে এই যে বসে আছি, এ কেমন?
সাধুদের বথাগুলো এরকমই।
পথের ধারে ফুটে থাকা বুনো ফুলের মতন। এমনিতে চোখে ধরবে না কিন্তু যে এর রস পেয়েছে, তার জন্য পৃথিবীটা হয়ে উঠবে- মস্ত একটা ফুলের বাগান। সাধুর কথা মনে নিলে, গোটা মানব জীবন হয়ে ওঠে একটা রসের আধার।
[ সচলের নারী সপ্তাহের প্রথমার্ধে প্রচণ্ড পেশাগত ব্যাস্ততার পাহাড়ে চাপা পড়ে ছিলাম। আর শেষার্ধে নিতান্তই নারীঘটিত কারনে মানসিকভাবে কিঞ্চিৎ টালমাটাল সময় কাটাচ্ছিলাম। উদভ্রান্ত সেই সময়ের ফাঁক-ফোকরে সচলে ঢুঁ মেরে একেকটা লেখা পড়ে মানসিক স্থিরতার তলানী যাওবা থাকত সেটুকুও কর্পূরের মত উবে যেত। এই অবস্থার মাঝেই ম্যাটল্যাবে এটি লিখে ফেলা। একটি ছিমছাম গোছানো পোস্টের আকাঙ্ক্ষী পাঠকেরা দূরে থাকুন। ]