ফকা বলে সাকা রে
ডিসিশন পাকা রে!
রায়ে ভুল নেই কোন
দাঁড়ি, কমা, আকারে!
সাকা বলে ফকা রে
আমি বড় বোকা রে!
কত আশা করেছিনু
খেয়ে গেছি ধোঁকা রে!
শিল্পকলার বিমানবিকরন বইটির ভূমিকায় হুমায়ুন আজাদ নিজেই লিখেছেন, যে বইটি ওর্তেগা ই গাসেতের ভাবানুবাদ। অনুবাদকর্মকে কুম্ভলকবৃত্তি, চোর্জবৃত্তি, প্লেইজারিজম বলা যায় কি? উত্তর হচ্ছেঃ না। তাই বইটি নিয়ে খুব বেশী লেখার আপাতত কোনও দরকার দেখছি না, তবে কিছু আলোচনার দরকার আছে।
শিবলি আজাদ লিখেছিলেন,
ফেসবুক এবং বাংলা ব্লগগুলোয় অনেক লেখা দেখা যায় যেখানে বাংলা বানানের যথেচ্ছ ব্যবহার করা হয়, যতি চিহ্নের বংশ ধ্বংস করা হয়। যারা ফেসবুকে বা ব্লগে লিখেন, ধরে নেওয়া যায় তারা বেশীরভাগই অন্ততপক্ষে দশম শ্রেণী পাস করেছেন। তাই দশম শ্রেণী পাস করা একজনের কাছ থেকে ভুল বাংলা বানান দেখতে পাওয়া কোন স্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০১৫ সালের খসড়া [১] প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনটি আগামী অগাস্টে মন্ত্রীসভায় পাশ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আইনটি নিয়ে জেলায় জেলায় সভা সেমিনার হচ্ছে। সরকার পক্ষ থেকে আইনটি সম্পর্কে মতামত সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছে। তাছাড়া এই আইন পর্যালোচনার জন্য সরকারের একজন সচিব ও বিজয় কিবোর্ডের মালিক মোস্তফা জব্বারকে নিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে।
সিন্ডারেলার জুতো
যার পায়ে জুতোখানা লাগবে সেই হবে রাজকুমারী, বলল বাদকটি।
শ’য়ে শ’য়ে মেয়েরা ছুটল রাজপ্রাসাদের দিকে।
[justify]গাঢ় সবুজের ঢেউ খেলানো সারি সারি পাহাড়ের ঢল খাড়া গিয়ে নেমেছে তুঁতরঙা এক সাগরের পাড়ে। তীরের এই কাছটায় বড্ড শান্ত স্থবির যেন এই সমুদ্র। সবুজের গালিচা ঘেরা এই পাহাড়ের দল আর সেই পাহাড়ের পাদদেশে থম মেরে থাকা জমাট নীল সমুদ্রের এই চিত্রটি যে কোনও কৃত্রিম চিত্র নয়, বরং এই ধরাধামেরই কোনও কারসাজি সেটি বোঝাবার জন্য মাঝে মাঝে হুটহাট করে
এমআইটিতে ছাত্রদের বিভিন্ন গ্রুপ আছে, ফ্রেটার্নিটি বলে এগুলোকে। প্রত্যেক ফ্রেটার্নিটিই নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের দলে নিতে নবীন বরণের মত একটা অনুষ্ঠান করতো, সেই অনুষ্ঠানকে বলা হত স্মোকার পার্টি। ইহুদি ছাত্রদের একটা ফ্রেটার্নিটি ছিলো, নাম ‘ফাই বেটা ডেল্টা’। এমআইটিতে যাবার আগেই নিউ ইয়র্কে তাদের একটা সভায় ডাক পেয়েছিলাম। তখনকার দিনে ইহুদি অথবা ইহুদি পরিবারে বড় হওয়া ছেলেদের জন্য ওই একটাই জায়গা ছিলো। ইহুদিদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য আমার আলাদা করে তেমন কোনো ইচ্ছা ছিলো না, আর দেখলাম ধর্মীয় ব্যাপারে ফাই বেটা ডেল্টার খুব একটা কড়াকড়িও নেই। সত্যি বলতে কি, আমি ধর্ম বিশ্বাস বা পালন কোনোটাই করতাম না। ওখানকার কয়েকজন আমাকে এটা সেটা জিজ্ঞেস করলো, তারপর দুয়েকটা উপদেশও দিলো। একটা উপদেশের কথা মনে আছে - ওরা বলেছিলো আমি যেন প্রথম বছরেই যেন ক্যালকুলাস পরীক্ষা দিয়ে দিই, তাহলে পরে আর ক্যালকুলাস কোর্সটা নিতে হবে না। উপদেশটা কাজে লেগেছিলো। ওই ফ্রেটার্নিটির ছেলেদের ভালোই লাগলো, তাই আমি ওদের সাথেই যোগ দিই। আর যে দুজন আমার সাথে কথা বলতে এসেছিলো, পরে আমি তাদেরই রুমমেট হয়েছিলাম।
১. ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেইলওয়ে:
[justify]
এটি বড় একটি ছবির অংশবিশেষ। আজ থেকে প্রায় আঠার/বিশ বছর আগে ছোট মামার ঘরে তোলা। ফেইসবুকে দেখলাম মামা স্মৃতিকাতর হয়ে সেই ছবিতে কমেন্ট করেছে। এই ঘরটা ছিল তার লিটল ওয়ারল্ড! ছবিটি থেকে কেটে এখানে শুধু শোকেসের অংশটা দিলাম কারণ এই শোকেস ঘিরে আমার ছেলেবেলার অনেক স্মৃতি। ছোটবেলার স্মৃতি আমার কথা বলার প্রিয় বিষয়। তার উপর আজকে ছোট মামার জন্মদিন তাই ভাবলাম সবার সাথে স্মৃতি-কথা গুলো ভাগ করে নেই। সেই ফাঁকে ছোট মামা কে জানাই তাঁর গোছানো প্রিয় ঘরটি নিয়ে এক অজানা কাহিনী!
গ্রামেই আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন। আমার এক চাচার বাড়ি বড় একটা শিমুল গাছ ছিল। এখন সেটা আছে কিনা ঠিক জানি না। বসন্তকালে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। লাল লাল বড় পুরু ফুল। ফুলের কুড়ি ঠিক কুড়ির মতো নয়। বসন্তে পাখিরা শিমুল গাছে ভিড় করে। কেউ শিমুলের ফুলের মধু চুষতে আসে। কেউবা আসে পোকার লোভে। মধুপায়ী পোকাদের আনাগোনা কম নয় শিমুল গাছে। কিছু পাখি আসে স্রেফ ভালোবাসার টানে। তবে ভালোবাসাটা তাদের শিমুলের প্রতি নয়। সঙ্গিনীর টানে আসে ওইসব পাখিরা। চোখগেল, বসন্তবৌরি, বেনেবউ পাখিগুলো কিছুটা লাজুক প্রকৃতির। বছরের অন্যসময় লোকালয়ের ধারেকাছে এদের খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু বসন্তকালে ওরা মরীয়া। তাছাড়া পুরুষপাখিগুলো সঙ্গিনীকে ডাকার সময় এলাকা ভাগ করে নেয়। পারতপক্ষে একজনের এলাকায় আরেকজন পা দেয়। যদিবা দেয় যুদ্ধের জন্য আটঘাট বেঁধেই দেয়। যেসব পাখি মাঠে সুবিধা করতে পারে না, তারা সঙ্গিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বেছে নেয় লোকালয়। মানুষকে এড়িয়ে চলা পাখি। যে-সে গাছে বসলে মানুষের সান্নিধ্যে চলে আসার আশঙ্কা আছে। তাই বেছে নেয় শিমুলের মতো উঁচু গাছ। চোখগেল আর বসন্তবৌরি শিমুলের মগডালে বসে তারস্বরে চিৎকার করে। তবে ওদের কণ্ঠ মধুমাখা। আর বেনেবউ, যাকে আমরা হলদে পাখি বলি--ওদের গলায় অত জোর নেই। তাই সবসময় এক জায়গায় বসে ডাকে না। এ গাছে, সে গাছে ঘুরে ঘুরে ‘খোকা হও... খোকা হও’ স্বরে ডেকে বেড়ায়। আমার ওই চাচার বাড়ি প্রায়ই একটা বেনেবউ ডেকে বেড়াচ্ছে। শুধু সে বাড়িই নয়, আশপাশের সব বাড়িরই মেহমান সে।
এমনিতে ওদের ওই ডাকে কেউ পাত্তা দিত না। কিন্তু যে বাড়ি নতুন বউ আছে, সে বাড়িতে খুশির রোল পড়ে যেত। সবাই ধরেই নিত নতুন বউয়ের গর্ভে একটা পুত্র সন্তান আসছে। পরে নতুন বউয়ের মেয়ে সন্তান জন্মালে বেনেবউয়ের কথা কেউ মনে রাখত না। তবে ছেলে হলে বলত--‘ওই দেখো, এ বাড়িতে ‘খোকা হও’ পাখি ডেকেছিল, খোকা না হয়ে যাবে কোথায়। এ বিশ্বাস আদ্যকালের। যুগ যুগ ধরে বাংলার ঘরে ঘরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংক্রিমত হয়ে হয়েছে বিশ্বাসের ভিত। এই ডিজিটাল যুগে এসেও সে বিশ্বাস কিছুটা হয়তো নড়চড় হয়েছে, তবে একেবারে ধুয়েমুছে যায়নি।