“এই রূপক ভাই, উঠেন। আরে মিয়া উঠেন না। যমুন সেতু চইলা আইসে তো।“
ক্রমাগত ধাক্কাধাক্কিতে যথেষ্ট বিরক্তি নিয়ে চোখ খুললাম। কিন্তু কিছু বলতেও পারলাম না। বেচারা এই প্রথম এত কাছ থেকে যমুনা সেতু দেখছে, ওর উৎসাহে পানি ঢেলে দেওয়ার তো কোন মানে হয় না।
আগেই বলে রাখি, লেখাটা বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নিয়ে নয়। যদি ভাবেন এখানে লেখা হবে আইনস্টাইন তার রিলেটিভিটির অঙ্ক করার আগে বা হাতের আঙ্গুল কবার মটকাতেন, বা ফাইনম্যান নিউক্লিয়ার বোমার অঙ্ক কষার আগে ক’বার ডিগবাজি দিয়ে নিতেন, তাহলে আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। এই গল্পের বিজ্ঞানীরা এখনো নিতান্তই সাদামাটা, পিএইচডি ধারী, বা পিএইচডি করনেওয়ালা ছাত্র (ভবিষ্যতের ফাইনম্যান-ম্যাক্সওয়েল আরকি!)।
চলমান ছাত্রজীবনে নানা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে , এটা তারই একটা খিচুড়ি মিক্স। যথারীতি, ঘটনা-তথ্য সত্য, নামগুলো বদলে দিয়েছি।
তুমি নাকী আগুন পোষো
কাছে গেলেই পুড়িয়ে দেবে!
মিষ্টি ফুঁয়ে কে তবে আজ
চায়ের গরম জুড়িয়ে দেবে?
পোড়ার ঠোঁটে নরোম রেখে
যন্ত্রণা কে উড়িয়ে দেবে-
মনের ভুলে ফেলে আসা
চাবিটা কে কুড়িয়ে দেবে?
কপাল বেয়ে অগোছালো
চুলগুলো কে ঘুরিয়ে দেবে-
শার্টের বোতাম না লাগানোর
ভুলগুলি কে ধরিয়ে দেবে?
বুকের কাছে একটু আসার
শাসনে কে চড়িয়ে দেবে-
কষ্ট পাওয়ার নষ্ট পাথর
আয় বলে কে সরিয়ে দেবে?
সকাল এবং বিকালগুলো
পহেলা বৈশাখের (১৪২২) দুইদিন আগের ঘটনা। আমরা বান্ধবীরা মিলে ফোনে কথা বলে ঠিক করলাম অনেকদিন যেহেতু দেখা হয়না, তাই এবার পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দেখা করব। এও ঠিক করলাম সবাই শাড়ি পড়ব- অনেক উজ্জ্বল রঙের শাড়ি- লাল, কমলা, নীল। এই প্রথম বন্ধু-বান্ধবীর সাথে টিএসসি ও চারুকলায় ঘুরতে যাওয়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে। এজন্য জল্পনা-কল্পনারও কমতি ছিলনা। এর আগে অবশ্য যাওয়া হয়েছে, কিন্তু পরিবারের সাথে।
প্রকারান্তরে হয়েছি বৈদেশিক
এখন আর হাত বাড়ালেই হাতে এসে
টুপটাপ বসে না পুষ্পপাপ
আমার কোনো অতীত নেই, কোনো
রথযাত্রায় নেই ফেলে আসা কোনো
শোলার টুপি, লাল শরবতী ফুল।
তোমাকে দেখেছি কতোকাল আগে
অন্ধকারের ছায়া দুই হাতে মেখে
হেঁটে আসছ ঘুম থেকে নির্ঘুম
বৃত্তের থেকে বেরিয়ে আসছ
মুমূর্ষু অন্ধকারের পাশে
জীবনের মতো, আলোর মতো
নিঃশ্বাসের মতো
আকাশের দিকে হেঁটে যাওয়া রূপকথার আশ্চর্য রোপওয়ে