শীতের দুপুর অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক। কিন্তু আরামের মধ্যে বেশি থাকতে সাধ জাগে বলে আরামের স্থায়ীত্বও কম থাকে। এই কঠিন কথাটা বুঝতে রিপনের মাথা খাটাতে হয়নি, বরং কথাটা সে গায়ের চামড়া দিয়ে উপলব্ধি করেছে। তবে এই উপলব্ধি রিপনকে পরিণত না করে আরও কাবু আর ছোট করে ফেলেছে। রিপন অবশ্য বয়স ও লম্বায় ছোটই। তবে নয় বছরের তুলনায় ওর আকৃতি পাঁচ বছরের মনে হয়। সাথিরা ওকে ডাকে বাইট্টা ইপন। কবে যে এই ডাকের শুরু রিপনের মনে নেই।
পুরান ঢাকায় কিছু টেম্পো চলে, লক্কড়-ঝক্কর মার্কা এই টেম্পোগুলো যখন তীরের বেগে ছুটতে থাকে, যাত্রীদের প্রায়ই মাথা ঠুকাঠুকি লেগে যায়! স্টপেজগুলিতে যাত্রী উঠানামা যেন আর এক বিভীষিকা! টেম্পোর সিট দখলের জন্য চর দখলের মতই যুদ্ধ চলে, চলন্ত রাস্তায় ছিটকেও পড়ে কেউ কেউ! আশ্চর্য হল, এই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রায়ই রেফারির দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় নয়-দশ বছরের কিছু শিশুকে।
ঘোড়াটির রং ছিল দুধ সাদা
শুধু লেজের দিকটা নীল
খেত সে যাই পেত এক গাদা
চিনি, চাল-গম-ভুসি তিল |
এক প্রত্যুষে সব ছেড়ে দিল
পেট ফুলে তার ঢোল
ডাক্তার এলো, হেকিমও জুটিল
হায় সেকি শোরগোল |
কেউ বলে গ্যাস কেউ কয় বায়ু
সকলেই হিমশিম
এই বুঝি শেষ হয় তার আয়ু ,
এই যা: এযে ডিম !
বাহিরিয়া এলো ডিমখানি ফেটে
উদ্ধত নব প্রাণ
সবি লেখা আছে সার্টিফিকেটে
ওটাই মোহামেডান |
কেয়া হাসছে, ওর দারুণ সুন্দর দাঁতগুলো সব দেখা যায়। কেয়া এমনিতেই অনেক সুন্দর, গালে টোল না পড়লেও ওর হাসিটা চমৎকার। উল্টোদিকের চেয়ার থেকে আমি কেয়ার হাসি দেখি, এক নজরে তাকিয়ে থাকার বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে আমি এদিক সেদিক তাকাই। রেস্টুরেন্টটা নতুন, এর আগে আসা হয়নি আমার। কাল সন্ধ্যায় কেয়া ফোনটা করেছিল বলে আজ আসা। বেশ সাজিয়েছে ভিতরটা, তার উপর নিরিবিলি।
আপডেট ২: বিশেষ বিবেচনায় শিশু অধিকার সপ্তাহটি আপাতত স্থগিত করা হলো। পরিবর্তী তারিখ শিঘ্রী ঘোষণা করা হবে। তবে অনুগ্রহ করে আপনারা শিশু অধিকার বিষয়ে লেখা চালু রাখুন।
------------------------------------------------
সাম্প্রতিক ব্লগার হত্যার ঘটনায় শিশু অধিকারের বিষয়টি মূল আলোচনা থেকে সরে যাওয়ায়, লেখার সময় আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয়া হলো। নতুন ডেডলাইন আগস্ট ২০, ২০১৫।
------------------------------------------------
প্রিয় পাঠক,
অতি সম্প্রতি সিলেটের শিশু রাজন এবং খুলনার কিশোর রাকিব হত্যাকান্ড সর্ম্পকে আপনারা অবহিত আছেন। এই দুটি হত্যাকান্ড নিয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় শিশু অবহেলা একটি নিত্যদৃষ্ট বিষয়। সচলায়তনে নারী সপ্তাহের আলোচনায় নারী ছাড়াও শিশু নিযার্তনের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তাই এ বিষয়ে আমাদের একটি উদ্যোগ নেবার ইচ্ছা তখন থেকেই।
ফেসবুক জগতটার সাথে তখন নতুন পরিচয় হয়েছে, দেশ-বিদেশের নানা মানুষের তোলা ছবি দেখি, তাদের শখের, রুচির প্রতিফলন দেখি ভার্চুয়াল জগতে। বিশাল সেই মহাসাগরের নানা মুখী স্রোতে আলতো ভাবে কারো কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়, সেটা সময়ের সাথে আরও গাঢ় সম্পর্কে রূপান্তরিত হয়। শিশুকাল থেকে ডাকটিকেট সংগ্রহ করতাম, মূল কারণ ছিল নানা দেশের অধিবাসী এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা। পরে ভিউকার্ড থেকে পত্রবন্ধু হয়ে যখন বইয়ের
ফিঙ্গার এক্সারসাইজ করতে করতে কার কার আঙুল ব্যাথা হয়ে গেছে আঙুল, থুড়ি হাত তুলুন। জি না, ভাববেন না রেস্টু করতে দিবো। ফিঙ্গার এক্সারসাইজও বাদ হবেনা। আরও বিভিন্ন রকমের এক্সারসাইজ আছে। তবে বিশ্বাস করুন, কিছু বিশেষ ধরণের এক্সারসাইজ আছে যেগুলো প্র্যাকটিস করলে কর্ড ধরতে অনেক বেশি সহজ হবে। খুব সহজেই স্কেল এর প্র্যাকটিস করতে পারবেন। তাই বলি কি একটু কষ্ট হলেও এই এক্সারসাইজগুলো ভালো করে করুন, সবুরে মেওয়া ফলে আর ফিঙ্গার এক্সারসাইজে গিটারে সুর ফলে। তবে, একেবারেই হতাশ করছি না। এই পর্বে বিরক্তিকর ফিঙ্গার এক্সারসাইজের সাথে নতুন কিছুও থাকছে- নোট সার্কেল এবং প্রত্যেকটা তারের বিভিন্ন ফ্রেটের নোটের নামের চার্ট। ওহহো!! তার আগে তো জানানো দরকার গিটার টিউনিং কিভাবে করতে হয়...
হারপার লি’র টু কিল এ মকিংবার্ড পড়েছিলাম এইচএসসি পরীক্ষার পরপর। কালো মলাটের ছোটখাট পেপারব্যাকটা ফ্যান্টাসি বইপোকা এই আমার কাছে শুরুতে বেশ ধীরলয়ের লাগছিলো, কিন্তু একটু পর দেখলাম গল্পের ভেতরে ঢুকে গেছি, ১৯৩০ এর আমেরিকান সাউথের ছোট শহর মেকোম্ব শহরে হেঁটে বেড়াচ্ছি।